বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ। এই বাকশালী সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ। তাই একদিকে ডেঙ্গু তাড়াতে জনগণকে সচেতন করতে হবে, অন্যদিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই সরকারকে সরাতে হবে।’
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ঢাকা মহানগরীতে তিন দিনের প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুজন মেয়র আছেন। তারা জোর করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এডিস মশানিধনের নামে যে ওষুধ কিনে আনা হয়, সেখানে চুরি করা হয়। সবকিছুর মূলে চুরি।’ এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে ফ্রান্স থেকে উড়োজাহাজ ও স্যাটেলাইট কেনার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘এই যে দেখেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসেছেন। ভালো কথা, আমাদের অনেক বড় মেহমান। সেই মেহমানকে অনেক নাচ-গান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। দেশের মানুষ করুণ অবস্থার মধ্যে আছে। তারা ঠিকমতো খেতে পারছে না। ফ্রান্স থেকে ১০টা এয়ারবাস কেনা হবে। আসল লক্ষ্য, এই এয়ারবাসে ফিডব্যাক পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ফিডব্যাক মানে বোঝেন? ফিডব্যাক মানে হচ্ছে কমিশন। বোয়িংয়ে কমিশন পাওয়া যায় না। যে কারণে এখন ১০টা এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। আর স্যাটেলাইট-২ কেনা হবে। স্যাটেলাইট তৈরি করা হবে। অথচ মানুষকে খেতে দিতে পারে না।’
আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশি হামলার নিন্দা
এদিকে বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা ও ফরমায়েশি’ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট। আজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর সরকারি মদদে পুলিশ হামলা চালিয়ে সরকার আবারও এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের পুলিশ বাহিনী সমগ্র দেশটাকে এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আইনজীবীদের ওপর নগ্ন হামলায় অবৈধ সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিলো।’
তিনি বলেন, ‘আজ পুলিশের এই হামলার মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের এক হিংস্র আগ্রাসনের আরও একটি রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। জনসমর্থনহীন এই সরকার হিতাহিত-বিবেচনাহীন। অন্তঃহীন ক্ষমতালিপ্সার জন্য এরা জনগণের বদলে সন্ত্রাসকেই ভরসা করছে বেশি। তাই গু-ামির এই নতুন রূপ দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখারই ইঙ্গিতবহ। আদালত প্রাঙ্গণেই যদি দেশের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয় তাহলে অন্যত্র কী পরিস্থিতি হতে পারে, সেই ভাবনা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এখন শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকেই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদেরকেও। আইনজীবীদের কণ্ঠে প্রতিবাদী আওয়াজ উচ্চারিত হয়, আর এতে অবৈধ সরকারের ভিত্তি নড়ে ওঠে বলেই আজ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আশকারা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পুলিশের হামলায় আহত আইনজীবীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ। এই বাকশালী সরকার ডেঙ্গুর চেয়েও ভয়াবহ। তাই একদিকে ডেঙ্গু তাড়াতে জনগণকে সচেতন করতে হবে, অন্যদিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই সরকারকে সরাতে হবে।’
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ঢাকা মহানগরীতে তিন দিনের প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুজন মেয়র আছেন। তারা জোর করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এডিস মশানিধনের নামে যে ওষুধ কিনে আনা হয়, সেখানে চুরি করা হয়। সবকিছুর মূলে চুরি।’ এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে ফ্রান্স থেকে উড়োজাহাজ ও স্যাটেলাইট কেনার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘এই যে দেখেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এসেছেন। ভালো কথা, আমাদের অনেক বড় মেহমান। সেই মেহমানকে অনেক নাচ-গান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। দেশের মানুষ করুণ অবস্থার মধ্যে আছে। তারা ঠিকমতো খেতে পারছে না। ফ্রান্স থেকে ১০টা এয়ারবাস কেনা হবে। আসল লক্ষ্য, এই এয়ারবাসে ফিডব্যাক পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ ফিডব্যাক মানে বোঝেন? ফিডব্যাক মানে হচ্ছে কমিশন। বোয়িংয়ে কমিশন পাওয়া যায় না। যে কারণে এখন ১০টা এয়ারবাস কেনা হচ্ছে। আর স্যাটেলাইট-২ কেনা হবে। স্যাটেলাইট তৈরি করা হবে। অথচ মানুষকে খেতে দিতে পারে না।’
আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশি হামলার নিন্দা
এদিকে বিচার বিভাগের ‘স্বাধীনতা ও ফরমায়েশি’ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিলে পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ এখন ভয়াবহ দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট। আজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর সরকারি মদদে পুলিশ হামলা চালিয়ে সরকার আবারও এক ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। আইনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের পুলিশ বাহিনী সমগ্র দেশটাকে এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আইনজীবীদের ওপর নগ্ন হামলায় অবৈধ সরকার এক অশুভ বার্তা জানান দিলো।’
তিনি বলেন, ‘আজ পুলিশের এই হামলার মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের এক হিংস্র আগ্রাসনের আরও একটি রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। জনসমর্থনহীন এই সরকার হিতাহিত-বিবেচনাহীন। অন্তঃহীন ক্ষমতালিপ্সার জন্য এরা জনগণের বদলে সন্ত্রাসকেই ভরসা করছে বেশি। তাই গু-ামির এই নতুন রূপ দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখারই ইঙ্গিতবহ। আদালত প্রাঙ্গণেই যদি দেশের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয় তাহলে অন্যত্র কী পরিস্থিতি হতে পারে, সেই ভাবনা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এখন শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকেই নয়, তারা এখন টার্গেট করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদেরকেও। আইনজীবীদের কণ্ঠে প্রতিবাদী আওয়াজ উচ্চারিত হয়, আর এতে অবৈধ সরকারের ভিত্তি নড়ে ওঠে বলেই আজ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আশকারা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পুলিশের হামলায় আহত আইনজীবীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।