আমি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি : হিরো আলম

আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ নামের একটি সংগঠনে যোগদান করেছেন। তাকে সংগঠনের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

সংগঠনটিতে যোগ দিয়ে গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হিরো আলম। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের ব্যানারে অনেকে মিছিল নিয়ে তার সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রজন্ম লীগে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম টেলিফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে সংগঠনটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন আমি বুঝি আওয়ামী লীগে যোগ দিলাম। আসলে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক একটি সংগঠন।’

তিনি বলেন, ‘প্রজন্ম লীগ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের একটি সংগঠন। এখানে অনেক রাজনৈতিক দলের মানুষ আছেন। এটা আওয়ামী লীগের কোন সংগঠন নয়। আমি এখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি। তবে নির্বাচনের আগে যোগ দেব এবং সেই দল থেকেই নির্বাচন করব।’

জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন দুবাই গিয়েছিলাম তখন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি বড় দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেতার এলাকায় গিয়েছিলাম কিনা। তখন আমি বলেছিলাম যে আমি শুধু জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গিয়েছিলাম। আমি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাইনি। এটা বলতে গিয়ে লজ্জাও পেয়েছিলাম। সেজন্য আজ জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছি।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি বলেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। একজন সাহসী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করি না।’

বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখন কেবল সংযোগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসার সুবাদে তিনি মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা আলোচনা হয়। ২০১৮ সালে নির্বাচন করে তিনি আলোচনায় আসেন। পরে বগুড়া-৪ ও ৬ এবং ঢাকা-১৭ আসন থেকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সর্বশেষ ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলাকালে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত একটি যৌথ বিবৃতি দেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেজে ওই বিবৃতি প্রচার করে। হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসও টুইট করেছিলেন।

আরও খবর
দেশে ভয়ঙ্কর সিসা দূষণ, হৃদরোগে বছরে লাখো মানুষের মৃত্যু
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
কৃষি জমির মাটি বিক্রি নিষিদ্ধ
সংসদে বিল পাসভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল
বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে বড় চার চ্যালেঞ্জ দেখছেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ
সর্বশক্তি নিয়োগ করে, এ সরকারকে সরাতে হবে : মির্জা ফখরুল
আয় বাড়াতে সব আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে পণ্যবাহী কোচ
সরকারের পক্ষে ভোট চাইলেন জামালপুরের ডিসি
আট মাস পর বাড়ি ফিরলেন সেই নির্যাতিত বাবা
ফাস্টফুড শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আদালতে আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ, এডিসি-ওসিসহ আহত ১৬
৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫

আমি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি : হিরো আলম

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ নামের একটি সংগঠনে যোগদান করেছেন। তাকে সংগঠনের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।

সংগঠনটিতে যোগ দিয়ে গতকাল দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হিরো আলম। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের ব্যানারে অনেকে মিছিল নিয়ে তার সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রজন্ম লীগে যোগ দেয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম টেলিফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে সংগঠনটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন আমি বুঝি আওয়ামী লীগে যোগ দিলাম। আসলে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক একটি সংগঠন।’

তিনি বলেন, ‘প্রজন্ম লীগ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের একটি সংগঠন। এখানে অনেক রাজনৈতিক দলের মানুষ আছেন। এটা আওয়ামী লীগের কোন সংগঠন নয়। আমি এখন পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি। তবে নির্বাচনের আগে যোগ দেব এবং সেই দল থেকেই নির্বাচন করব।’

জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন দুবাই গিয়েছিলাম তখন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি বড় দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেতার এলাকায় গিয়েছিলাম কিনা। তখন আমি বলেছিলাম যে আমি শুধু জিয়াউর রহমানের সমাধিতে গিয়েছিলাম। আমি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাইনি। এটা বলতে গিয়ে লজ্জাও পেয়েছিলাম। সেজন্য আজ জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছি।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসি বলেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। একজন সাহসী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকেও শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করি না।’

বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখন কেবল সংযোগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসার সুবাদে তিনি মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। ইউটিউবে মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা আলোচনা হয়। ২০১৮ সালে নির্বাচন করে তিনি আলোচনায় আসেন। পরে বগুড়া-৪ ও ৬ এবং ঢাকা-১৭ আসন থেকে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সর্বশেষ ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলাকালে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত একটি যৌথ বিবৃতি দেন। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক পেজে ওই বিবৃতি প্রচার করে। হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসও টুইট করেছিলেন।