আদালতে আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ, এডিসি-ওসিসহ আহত ১৬

আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চার পুলিশ ও ১২ আইনজীবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৬ জন আহত হন। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কোতয়ালী জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, কোতয়ালী থানার ওসি শাহীনুর রহমান, এএসআই বশির, কনস্টেবল হারুন।

আহত আইনজীবীরা হলেন- মাহবুবুর রহমান খান, দেওয়ান রিপন, মোজাহিদুল ইসলাম সায়েম, কে এম মিরাজ হোসেন, সাইদুর রহমান সোহাগ, কে এম বরকত সবুজ, মাহবুব আলম আক্তার, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, হাজী মো. মহসীন, কাজী পনির, এস এম হুমায়ূন কবির।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, আমরা সুশৃঙ্খল পদযাত্রা করছিলাম। এরপর পুলিশ এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় আমাদের ১২ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

কোতয়ালী থানার ওসি শাহিনুর বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোর করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের আট থেকে ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, সব পুলিশ এডিসি হারুন হতে চায়।

কোতয়ালী জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা ফেরাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমিসহ আমাদের আট থেকে ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজ আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপূর্ণ পথযাত্রা। কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো। আইনে তো জঙ্গির ডেফিনেশন নেই। আজ পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচরণ। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পেটালো। তা জঙ্গিদেরও হার মানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছে। গায়ে হাত দিয়েছে। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়। এখন পুলিশের দুই রকম বিচার। এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছে। বিচার হয়নি। অথচ দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মেরে বরখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুই জন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজারও মানুষের ওপর হামলা করেছে, তার কোন বিচার নেই।

পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, আইনজীবী আমাদের পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের চার জন পুলিশ আহত হয়েছে। এ বিষয় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

image

গতকাল ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয় -সংবাদ

আরও খবর
দেশে ভয়ঙ্কর সিসা দূষণ, হৃদরোগে বছরে লাখো মানুষের মৃত্যু
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
কৃষি জমির মাটি বিক্রি নিষিদ্ধ
সংসদে বিল পাসভুয়া দলিল তৈরি করলে ৭ বছরের জেল
বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে বড় চার চ্যালেঞ্জ দেখছেন ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ
সর্বশক্তি নিয়োগ করে, এ সরকারকে সরাতে হবে : মির্জা ফখরুল
আয় বাড়াতে সব আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে পণ্যবাহী কোচ
সরকারের পক্ষে ভোট চাইলেন জামালপুরের ডিসি
আমি কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি : হিরো আলম
আট মাস পর বাড়ি ফিরলেন সেই নির্যাতিত বাবা
ফাস্টফুড শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫

আদালতে আইনজীবী-পুলিশ সংঘর্ষ, এডিসি-ওসিসহ আহত ১৬

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয় -সংবাদ

আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চার পুলিশ ও ১২ আইনজীবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়। এরপর মিছিলটি আদালতের সামনের প্রধান সড়কে আসলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আইনজীবীরা রাস্তায় বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ১৬ জন আহত হন। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কোতয়ালী জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, কোতয়ালী থানার ওসি শাহীনুর রহমান, এএসআই বশির, কনস্টেবল হারুন।

আহত আইনজীবীরা হলেন- মাহবুবুর রহমান খান, দেওয়ান রিপন, মোজাহিদুল ইসলাম সায়েম, কে এম মিরাজ হোসেন, সাইদুর রহমান সোহাগ, কে এম বরকত সবুজ, মাহবুব আলম আক্তার, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, হাজী মো. মহসীন, কাজী পনির, এস এম হুমায়ূন কবির।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, আমরা সুশৃঙ্খল পদযাত্রা করছিলাম। এরপর পুলিশ এসে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় আমাদের ১২ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

কোতয়ালী থানার ওসি শাহিনুর বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা জোর করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় তাদের হামলায় আমাদের আট থেকে ৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, সব পুলিশ এডিসি হারুন হতে চায়।

কোতয়ালী জোনের এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত বলেন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা ফেরাতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমিসহ আমাদের আট থেকে ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আজ আমাদের প্রোগাম ছিল শান্তিপূর্ণ পথযাত্রা। কোর্ট থেকে বের হলে পুলিশ জঙ্গির মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো। আইনে তো জঙ্গির ডেফিনেশন নেই। আজ পুলিশের আক্রমণ জঙ্গির মতো আচরণ। নির্বিচারে তারা আইনজীবীদের পেটালো। তা জঙ্গিদেরও হার মানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের আইনজীবী বোনদের টর্চার করেছে। গায়ে হাত দিয়েছে। সবাই এডিসি হারুন হতে চায়। এখন পুলিশের দুই রকম বিচার। এডিসি হারুন ছাত্রদের মারলো। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছে। বিচার হয়নি। অথচ দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মেরে বরখাস্ত হয়েছে। সরকারি দলের দুই জন আহত হওয়ায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। অথচ হাজারও মানুষের ওপর হামলা করেছে, তার কোন বিচার নেই।

পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন বলেন, আইনজীবী আমাদের পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়েছে। আমাদের চার জন পুলিশ আহত হয়েছে। এ বিষয় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।