ভারতকে ২১৩ রানে থামালো শ্রীলঙ্কা

আগের দিন কলম্বোর একই মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে সাড়ে তিনশ’র ওপর স্কোর করে বড় ব্যবধানে জয়ী ভারত গতকাল সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কান স্পিনে অল-আউট হয় ২১৩ রানে। ইনংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে।

লঙ্কান দুই স্পিনার ওয়েল্লালাগে ৫টি ও আশালঙ্কা ৪ উইকেট নেন।

রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল শুরুটা যেমন করেছিলেন তাতে আরও একবার ৩০০-এর বেশি রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু দুনিথ ওয়েল্লালাগে বল হাতে নেয়ার পরেই ছবিটা বদলে যায়।

প্রথম ১০ ওভারে পিটিয়ে খেলছিলেন রোহিত ও শুভমন। রোহিত এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। লঙ্কান পেসারদের বেশ সাচ্ছন্দে খেলেন দুই ব্যাটার। কিন্তু অধিনায়ক দাসুন শনাকা স্পিনারের হাতে বল তুলে দেয়ার পরই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। তরুণ ওয়েল্লালাগে শুরুটা করেন শুভমনকে দিয়ে। বোল্ড হয়ে ফিরেন গিল ১৯ রানে, দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে, দলীয় ৮০ রানে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ওয়েল্লালাগে ফিরান আগের দিন শতরান করা কোহলিকে (৩) ও তৃতীয় ওভারে বোল্ড করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে(৫৩ রান)। ৯১ রানে ভারতের তিন সেরা ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়েল্লালাগে প্রায়ই একাই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণে নেন।

এই অবস্থায় ঈশান কিষাণ ও কেএল রাহুল চতুর্থ উইকেট জুটিকে ৬৩ রান যোগ করলে ভারতের স্কোর দেড়শ’ পার হয়। এই জুটি ভাঙার মধ্য দিয়ে রোহিতের দল ৫৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হয় ২১৩ রানে ৪৯.১ ওভারে। ঈশান করেন ৩৩ ও রাহুলকে ৩৯ রানে নিজের বলে ক্যাচ আউট করেন ওয়েল্লালাগে। এরপর প্যাটেল ২৬ ছাড়া আর কোন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।

ভারতের নীচের দিকের ব্যাটারদের আউট করেন আসালঙ্ক। ভারতের শেষ ভরসা জাডেজাকে ফেরান তিনি। পর পর দুই বলে আউট করেন বুমরা ও যাদবকে। ওয়েল্লালাগে ১০ ওভারে ৪০ রানে ৫ ও অফস্পিরান ৯ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩০, ২৭ সফর ১৪৪৫

ভারতকে ২১৩ রানে থামালো শ্রীলঙ্কা

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

রোহিত শর্মাকে বোল্ড করার পর ওয়েল্লালাগেকে সতীর্থদের অভিনন্দন

আগের দিন কলম্বোর একই মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে সাড়ে তিনশ’র ওপর স্কোর করে বড় ব্যবধানে জয়ী ভারত গতকাল সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কান স্পিনে অল-আউট হয় ২১৩ রানে। ইনংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে।

লঙ্কান দুই স্পিনার ওয়েল্লালাগে ৫টি ও আশালঙ্কা ৪ উইকেট নেন।

রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল শুরুটা যেমন করেছিলেন তাতে আরও একবার ৩০০-এর বেশি রানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু দুনিথ ওয়েল্লালাগে বল হাতে নেয়ার পরেই ছবিটা বদলে যায়।

প্রথম ১০ ওভারে পিটিয়ে খেলছিলেন রোহিত ও শুভমন। রোহিত এরই মধ্যে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। লঙ্কান পেসারদের বেশ সাচ্ছন্দে খেলেন দুই ব্যাটার। কিন্তু অধিনায়ক দাসুন শনাকা স্পিনারের হাতে বল তুলে দেয়ার পরই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। তরুণ ওয়েল্লালাগে শুরুটা করেন শুভমনকে দিয়ে। বোল্ড হয়ে ফিরেন গিল ১৯ রানে, দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে, দলীয় ৮০ রানে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ওয়েল্লালাগে ফিরান আগের দিন শতরান করা কোহলিকে (৩) ও তৃতীয় ওভারে বোল্ড করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে(৫৩ রান)। ৯১ রানে ভারতের তিন সেরা ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়েল্লালাগে প্রায়ই একাই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণে নেন।

এই অবস্থায় ঈশান কিষাণ ও কেএল রাহুল চতুর্থ উইকেট জুটিকে ৬৩ রান যোগ করলে ভারতের স্কোর দেড়শ’ পার হয়। এই জুটি ভাঙার মধ্য দিয়ে রোহিতের দল ৫৯ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হয় ২১৩ রানে ৪৯.১ ওভারে। ঈশান করেন ৩৩ ও রাহুলকে ৩৯ রানে নিজের বলে ক্যাচ আউট করেন ওয়েল্লালাগে। এরপর প্যাটেল ২৬ ছাড়া আর কোন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।

ভারতের নীচের দিকের ব্যাটারদের আউট করেন আসালঙ্ক। ভারতের শেষ ভরসা জাডেজাকে ফেরান তিনি। পর পর দুই বলে আউট করেন বুমরা ও যাদবকে। ওয়েল্লালাগে ১০ ওভারে ৪০ রানে ৫ ও অফস্পিরান ৯ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।