কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেডআই ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) আয়োজিত এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। এ ফোরাম অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অর্জন ও গতিশীল শিল্প খাতের সম্ভাবনা প্রদর্শন করবে এবং প্রতিশ্রুতিশীল দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার চেষ্টা করছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিডব্লিউইআইসির চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্যে ২০২২ সালে প্রবর্তিত দ্বিতীয় ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। উগান্ডার ‘ইকো ব্রিকস’ পুরস্কার বিজয়ী হওয়ায় এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে এই পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

শুরুতেই বাংলাদেশে কমনওয়েলথ ব্যবসা ও সুযোগের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুই দিনব্যাপী ফোরামে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা ১২টিরও বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন।

কমনওয়েলথ হলো ৫৬টি দেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত হয় এবং বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের আবাসস্থল। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

image
আরও খবর
ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে বেড়েছে পোশাক রপ্তানি
জুলাই মাসে ব্যালান্স অব পেমেন্টে ৫৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত
টিসিবির জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
ছেলেকে শেয়ার উপহার দেবেন মির্জা আব্বাস
ক্রেতার চাপে উত্থানে শেয়ারবাজার
সোনালী ব্যাংকে অডিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহারবিষয়ক কর্মশালা
সাউথইস্ট ব্যাংক ও ড্রিম স্কয়ার রিসোর্টের মধ্যে চুক্তি
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং গ্রেস কক্স স্মার্ট হোটেলের মধ্যে সমঝোতা
ব্র্যাক ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ
আঞ্চলিক জলবায়ু সামিটে অংশগ্রহণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
এপিএ-তে প্রথম স্থান অর্জন করায় পুরস্কার পেল বিজিডিসিএল

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেডআই ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) আয়োজিত এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে। এ ফোরাম অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অর্জন ও গতিশীল শিল্প খাতের সম্ভাবনা প্রদর্শন করবে এবং প্রতিশ্রুতিশীল দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার চেষ্টা করছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিডব্লিউইআইসির চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষ্যে ২০২২ সালে প্রবর্তিত দ্বিতীয় ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। উগান্ডার ‘ইকো ব্রিকস’ পুরস্কার বিজয়ী হওয়ায় এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে এই পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

শুরুতেই বাংলাদেশে কমনওয়েলথ ব্যবসা ও সুযোগের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দুই দিনব্যাপী ফোরামে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা ১২টিরও বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন।

কমনওয়েলথ হলো ৫৬টি দেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত হয় এবং বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের আবাসস্থল। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।