শ্রীবরদীতে ১০৮ প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ১০৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। অবসর, মৃত্যুজনিত ও সরাসরি নিয়োগ না থাকায় পদগুলো শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালানের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। এছাড়াও উপজেলায় সহকারি শিক্ষকের ৯৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদীতে ১৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষকের ১০৮টি পদ শূন্য। এরমধ্যে ৩০টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক ও সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রায়ই শিক্ষা অফিসসহ উপজেলা সদরে যেতে হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা এসব কাজ করতে গেলে সহকারি শিক্ষকরা ঠিকমতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। সব মিলিয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুদে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের দাবি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ হলে পাঠদান আরো গতিশীল হবে।

সাতানী মথুরাদী দক্ষিণপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নার্গিস আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছে। বাকী ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজের জন্য দৌড়ঝাপ করতে হয়। তাই ২জন শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবুয়ারপাড়া দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ে ৬টি পদের বিপরীতে ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাপ্তরিক কাজে বাইরে গেলে ৩জন শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান চালানো কঠিন হয়ে যায়। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সহ বাকী পদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, দীঘদিন থেকে নানা কারনে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো শূন্য রয়েছে। তালিকা করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতই পদগুলো পূরন করবে। তখন এই সংকট কেটে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

শ্রীবরদীতে ১০৮ প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য

প্রতিনিধি, শ্রীবরদী (শেরপুর)

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ১০৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। অবসর, মৃত্যুজনিত ও সরাসরি নিয়োগ না থাকায় পদগুলো শূন্য রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালানের পাশাপাশি পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। এছাড়াও উপজেলায় সহকারি শিক্ষকের ৯৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদীতে ১৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিভিন্ন জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষকের ১০৮টি পদ শূন্য। এরমধ্যে ৩০টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি শিক্ষকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দাপ্তরিক ও সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রায়ই শিক্ষা অফিসসহ উপজেলা সদরে যেতে হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা এসব কাজ করতে গেলে সহকারি শিক্ষকরা ঠিকমতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করেন না। সব মিলিয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুদে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের দাবি জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ হলে পাঠদান আরো গতিশীল হবে।

সাতানী মথুরাদী দক্ষিণপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নার্গিস আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছে। বাকী ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজের জন্য দৌড়ঝাপ করতে হয়। তাই ২জন শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবুয়ারপাড়া দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ে ৬টি পদের বিপরীতে ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাপ্তরিক কাজে বাইরে গেলে ৩জন শিক্ষকের পক্ষে পাঠদান চালানো কঠিন হয়ে যায়। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সহ বাকী পদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, দীঘদিন থেকে নানা কারনে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো শূন্য রয়েছে। তালিকা করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সব জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতই পদগুলো পূরন করবে। তখন এই সংকট কেটে যাবে।