লালমাইয়ে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল নিষ্ক্রিয়

কুমিল্লার লালমাইয়ের বড়ধর্মপুর গ্রামে একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সংস্থার বিশেষ টিমের সাহায্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।

জানা যায়, লালমাই পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বড়ধর্মপুর গ্রামের হাঁটার রাস্তার মাঝখানে দীর্ঘদিন যাবৎ এই মর্টারশেলটি মাটির নিচে পড়ে ছিল।

স্থানীয়রা বাড়ির সীমানা নির্ধারণকারী পিলার মনে করতো কিন্তু পাহাড়ে ভারি বৃষ্টির কারণে হঠাৎ মাটি সরে যাওয়াতে মর্টারশেলটি বেরিয়ে আসে যা দেখে স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। ঐসময় ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ইফতি দৌড়ে গিয়ে পাশে থাকা ফায়ারিং রেঞ্জে খবর দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে খরব পেয়ে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ ছুটে আসে এবং সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ টিম এসে মর্টারশেলটির বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে সম্মুখে বহুবার যুদ্ধ হয়েছিল সেই সময়ের রাখা বোমা এটি।

অল্পের জন্য বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

লালমাইয়ে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল নিষ্ক্রিয়

প্রতিনিধি, কুমিল্লা (লালমাই)

image

কুমিল্লার লালমাইয়ের বড়ধর্মপুর গ্রামে একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সংস্থার বিশেষ টিমের সাহায্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।

জানা যায়, লালমাই পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বড়ধর্মপুর গ্রামের হাঁটার রাস্তার মাঝখানে দীর্ঘদিন যাবৎ এই মর্টারশেলটি মাটির নিচে পড়ে ছিল।

স্থানীয়রা বাড়ির সীমানা নির্ধারণকারী পিলার মনে করতো কিন্তু পাহাড়ে ভারি বৃষ্টির কারণে হঠাৎ মাটি সরে যাওয়াতে মর্টারশেলটি বেরিয়ে আসে যা দেখে স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। ঐসময় ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ইফতি দৌড়ে গিয়ে পাশে থাকা ফায়ারিং রেঞ্জে খবর দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে খরব পেয়ে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ ছুটে আসে এবং সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ টিম এসে মর্টারশেলটির বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে সম্মুখে বহুবার যুদ্ধ হয়েছিল সেই সময়ের রাখা বোমা এটি।

অল্পের জন্য বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন এলাকাবাসী।