পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। উপজেলা সদর ছাড়িয়ে এখন গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি রয়েছেন ৩১ জন রোগী। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৪ জনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু কর্নার।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত আনোয়ার হোসেন (৩৫) জানান, প্রথমে আমার জ্বর হয়। পরে চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা রক্ত পরীক্ষা করাই। তাতে ডেঙ্গু ধরা পরলে হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত মোট ৩৮৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫৭ জন এবং লালবরু (৬০) নামে এক নারী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি উপজেলার কিসমত ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আশঙ্কাজনকহারে রোগীর চাপ থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কারণ রোগীর ধারণ ক্ষমতা ৫০ জন থাকলেও তার তিনগুণ বেশি রোগী অবস্থান করছে হাসপাতালে। তবে সারাদেশের ন্যায় ডেঙ্গু সচেতনতায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫
প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। উপজেলা সদর ছাড়িয়ে এখন গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি রয়েছেন ৩১ জন রোগী। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৪ জনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ডেঙ্গু কর্নার।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত আনোয়ার হোসেন (৩৫) জানান, প্রথমে আমার জ্বর হয়। পরে চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা রক্ত পরীক্ষা করাই। তাতে ডেঙ্গু ধরা পরলে হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত মোট ৩৮৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫৭ জন এবং লালবরু (৬০) নামে এক নারী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি উপজেলার কিসমত ঝাটিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আশঙ্কাজনকহারে রোগীর চাপ থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কারণ রোগীর ধারণ ক্ষমতা ৫০ জন থাকলেও তার তিনগুণ বেশি রোগী অবস্থান করছে হাসপাতালে। তবে সারাদেশের ন্যায় ডেঙ্গু সচেতনতায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ।