দুমকীতে আমনে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে রোপা। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেক কৃষক দুঃশ্চিন্তায় দিন যাপন করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু জমিতে কৃষকরা শ্রাবণ মাসে যে সবাই আমনের বীজ বপন করেছিল তা মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন কোন ক্ষেত নতুন আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর, পাঙ্গাশিয়া, আঙ্গারিয়া ও লেবুখালী ইউনিয়নের সর্বত্র?ই আগাম রোপণকৃত আমনের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের স্যানের চরের কৃষক মোশারফ হাং বলেন, আমাদের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে আমন রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় জমি চাষ করে আমনের বুনা বপন করব। মুরাদিয়ার ৩নং ওয়ার্ডের কালেখা’র কৃষক কালাম প্যাদা বলেন, আমাদের এখানে সবার জমির আমন ও ইরি ধানের রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ২ বার জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাইনি। মুরাদিয়ার ৬নং ওয়ার্ডের অপর এক কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, জমি চাষাবাদ করে বীজ রোপণ করতে ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে বেশ খরচ হয়। এরপর সার ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন শেষ রক্ষা হয়নি। আমাদের এলাকার সবাই কৃষকের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পাঙ্গাশিয়ার নলদোয়ানীর কৃষক শাহজাহান মুন্সি বলেন, আমার একপ্লটে তিন একর জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপনে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছ। এখন সম্পূর্ণ জমির রোপা মরে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস ডাল পোতা, আলোক ফাঁদ ও ভিরতাকো, ডাসবান ও বেল্টএক্সার্টসহ বিভিন্ন কীট নাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শামীম খান ও তানিয়া আক্তার বলেন, আমরা কৃষকদের সরেজমিনে গিয়ে এর প্রতিকারে পরামর্শ দিচ্ছি।

ইতিমধ্যে কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে ৫০-১০০ মিটার দূরত্বে পোকা নিধনের জন্য আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন সংবাদকে বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে গিয়ে তদারকি করেছেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ, জমিতে ডাল পোঁতা (পার্চিং), আলোক ফাঁদ, লিফলেট বিতরণ ও জমির গুনাগুণ বিবেচনা করে বালাইনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি।

image

দুমকী (পটুয়াখালী) : মাজরা পোকায় আক্রান্ত জমিতে কৃষক -সংবাদ

আরও খবর
পলি পড়ে সমতল ভূমিতে পরিণত খরস্রোতা শোলমারী নদী
কেরানীগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজ উদ্বোধন
রাজাপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা
কালকিনিতে বাবার বিরুদ্ধে সন্তান বিক্রির অভিযোগ
শ্রীবরদীতে ১০৮ প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য
উল্লাপাড়ায় ক্লিনিকের বর্জ্য রাস্তায়, দুর্ভোগে পথচারী
চাঁদপুরে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতু উদ্বোধন আগামী মাসে
পূর্বধলায় ৬টি গ্রাম বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা
লালমাইয়ে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল নিষ্ক্রিয়
মির্জাগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ১
কক্সবাজারে হোটেল থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

দুমকীতে আমনে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

প্রতিনিধি, দুমকী (পটুয়াখালী)

image

দুমকী (পটুয়াখালী) : মাজরা পোকায় আক্রান্ত জমিতে কৃষক -সংবাদ

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে রোপা। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেক কৃষক দুঃশ্চিন্তায় দিন যাপন করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু জমিতে কৃষকরা শ্রাবণ মাসে যে সবাই আমনের বীজ বপন করেছিল তা মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন কোন ক্ষেত নতুন আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর, পাঙ্গাশিয়া, আঙ্গারিয়া ও লেবুখালী ইউনিয়নের সর্বত্র?ই আগাম রোপণকৃত আমনের ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের স্যানের চরের কৃষক মোশারফ হাং বলেন, আমাদের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে আমন রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় জমি চাষ করে আমনের বুনা বপন করব। মুরাদিয়ার ৩নং ওয়ার্ডের কালেখা’র কৃষক কালাম প্যাদা বলেন, আমাদের এখানে সবার জমির আমন ও ইরি ধানের রোপা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ২ বার জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাইনি। মুরাদিয়ার ৬নং ওয়ার্ডের অপর এক কৃষক জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, জমি চাষাবাদ করে বীজ রোপণ করতে ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে বেশ খরচ হয়। এরপর সার ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন শেষ রক্ষা হয়নি। আমাদের এলাকার সবাই কৃষকের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পাঙ্গাশিয়ার নলদোয়ানীর কৃষক শাহজাহান মুন্সি বলেন, আমার একপ্লটে তিন একর জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপনে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছ। এখন সম্পূর্ণ জমির রোপা মরে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস ডাল পোতা, আলোক ফাঁদ ও ভিরতাকো, ডাসবান ও বেল্টএক্সার্টসহ বিভিন্ন কীট নাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, শামীম খান ও তানিয়া আক্তার বলেন, আমরা কৃষকদের সরেজমিনে গিয়ে এর প্রতিকারে পরামর্শ দিচ্ছি।

ইতিমধ্যে কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে ৫০-১০০ মিটার দূরত্বে পোকা নিধনের জন্য আলোক ফাঁদ বসানো হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন সংবাদকে বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে গিয়ে তদারকি করেছেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ, জমিতে ডাল পোঁতা (পার্চিং), আলোক ফাঁদ, লিফলেট বিতরণ ও জমির গুনাগুণ বিবেচনা করে বালাইনাশক ঔষধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি।