দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে নির্বাচন কমিশন কঠিন পরিস্থিতিতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন অবস্থায় আছি। এটা বিলেতের নির্বাচন হচ্ছে না, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন না। সংকট আছে- আপনারা (বিশিষ্টজন) বলেছেন, আমরাও অনুধাবন করি। সেই সংকট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদের। এ কথা বারবার বলেছি- আমাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদরা যদি তৈরি করে না দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করাটা কষ্টসাধ্য হবে। আর যদি পরিবেশ অনুকূল করে দেন তাহলে কাজ সহজ হবে।’
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক ওই বৈঠকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যম সম্পাদক, নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ এমন ২৮ সুধীজনকে নিয়ে বৈঠকটি আয়োজন করে ইসি। এ সময় ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একটা পার্টি, বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে আরও তিনশ’ দল নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে পারবে না। জামালপুরের ডিসি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার চাই, তো এই ডিসিকে দিয়েই আপনাদের নির্বাচন করাতে হবে, ‘ইফ আই অ্যাম নট রং’। সেই প্রেক্ষাপটে আপনারা টাফ অবস্থানে থাকবেন।’
‘যেই প্রেক্ষাপটের কথা বললাম, সেই প্রেক্ষাপটের এই প্রশাসন নিয়ে আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না’ বলেও মত তার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োগ নিয়ে। ঢাকায় দেখলাম একটা প্রার্থীকে মারা হলো, এটা কীভাবে হলো? পলিটিক্যাল পার্টি সেন্টার পাহারা দেয়। কার ভোটার কে, এরা জানে? প্রত্যেক সেন্টারে পাহারা দেয়, এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ এদের কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘চাকরি জীবনে অনেক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও ফলাফলে ভোটার বেশি দেখানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছে। তাদের আমরাই ডেকে এনেছি। যদি আমরা ঠিক থাকতাম তাহলে এমনটা হতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক দলীয়করণ হচ্ছে। যেখানে জনগণ হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের মালিক, সেখানে এ অবস্থায় মানুষের অধিকার উপেক্ষিত। ইসিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে যে ক্ষমতা দেয়া আছে, তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যার কাজ তাকে করতে হবে। সব দায় কমিশনের ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না।’
ভোটের পরিবেশ না থাকলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কেন্দ্র ফেলে চলে আসার আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে, সেখান থেকে চলে আসবে? কারো কোন পাওয়ার নেই, পাওয়ার আছে শুধু সরকারের।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, ‘বর্তমান আমাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারছি না। নির্বাচনের সিডিউল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হবে, এই নিশ্চয়তা কে দেবে? নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের কথামতো কাজ করা কর্তব্য। কিন্তু কাজ না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। এই বিষয়ে কিছু নির্দেশনা থাকা উচিত।’
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘বাস্তবতা আপনাদের অনুকূলে নেই। সরকার না চাইলে কমিশনের পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব না। এখনও গাইবান্ধা নির্বাচনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই।’
কোন দলের পক্ষে বক্তব্য দেয়া কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ, ভোটারদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা বারবার সমঝোতার কথা বলেছি। চায়ের টেবিলে বসেন আপনারা। কিন্তু পলিটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে যে, কেউ কারো সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশন এ সমস্যার সমাধান করে না।’
নির্বাচনটা ভালো হবে কী হবে না, সেটা ‘পলিটিক্যাল উইল’ এর ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আন্তরিক পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে। এটা আমার থেকে আসবে না। পলিটিক্স থেকে আসতে হবে বা সরকার থেকে আসতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকার ও দলকে সব সময় তালগোল পাকিয়ে ফেলি আমরা। বিভাজনটা বুঝতে হবে। সরকার ও দল ভিন্ন জিনিস। সরকারি দল বলতে কোন শব্দ সংবিধানে নেই। এটা হয়তো মুখে বলে থাকি। যখনই একটা সরকার হয়ে যাবে, তখন সে সব দলের, সব জনগণের, পুরো দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশিশক্তি আছে। ফলে, প্রিসাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে পড়ে। আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারব। তবে, যার জন্য বাতিল হবে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশ্বস্তবোধ করছি। সরকারের তরফ থেকে ইদানীং বারবার বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীসহ, আগামী নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু করতে চায়। এ প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে। এর আগে কিন্তু সরকার কখনও এ প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী- উনারা সরকার শব্দটা ব্যবহার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে কয়েকবার বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আমি বলবো, আস্থা রাখতে চাই।’
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি -সংবাদ
আরও খবরবৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি -সংবাদ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে নির্বাচন কমিশন কঠিন পরিস্থিতিতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন অবস্থায় আছি। এটা বিলেতের নির্বাচন হচ্ছে না, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন করতে যাচ্ছেন না। সংকট আছে- আপনারা (বিশিষ্টজন) বলেছেন, আমরাও অনুধাবন করি। সেই সংকট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদের। এ কথা বারবার বলেছি- আমাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদরা যদি তৈরি করে না দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করাটা কষ্টসাধ্য হবে। আর যদি পরিবেশ অনুকূল করে দেন তাহলে কাজ সহজ হবে।’
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক ওই বৈঠকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যম সম্পাদক, নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ এমন ২৮ সুধীজনকে নিয়ে বৈঠকটি আয়োজন করে ইসি। এ সময় ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একটা পার্টি, বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে আরও তিনশ’ দল নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে পারবে না। জামালপুরের ডিসি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার চাই, তো এই ডিসিকে দিয়েই আপনাদের নির্বাচন করাতে হবে, ‘ইফ আই অ্যাম নট রং’। সেই প্রেক্ষাপটে আপনারা টাফ অবস্থানে থাকবেন।’
‘যেই প্রেক্ষাপটের কথা বললাম, সেই প্রেক্ষাপটের এই প্রশাসন নিয়ে আপনারা নির্বাচন করতে পারবেন না’ বলেও মত তার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োগ নিয়ে। ঢাকায় দেখলাম একটা প্রার্থীকে মারা হলো, এটা কীভাবে হলো? পলিটিক্যাল পার্টি সেন্টার পাহারা দেয়। কার ভোটার কে, এরা জানে? প্রত্যেক সেন্টারে পাহারা দেয়, এদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ এদের কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘চাকরি জীবনে অনেক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও ফলাফলে ভোটার বেশি দেখানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছে। তাদের আমরাই ডেকে এনেছি। যদি আমরা ঠিক থাকতাম তাহলে এমনটা হতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক দলীয়করণ হচ্ছে। যেখানে জনগণ হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের মালিক, সেখানে এ অবস্থায় মানুষের অধিকার উপেক্ষিত। ইসিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে যে ক্ষমতা দেয়া আছে, তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যার কাজ তাকে করতে হবে। সব দায় কমিশনের ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না।’
ভোটের পরিবেশ না থাকলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কেন্দ্র ফেলে চলে আসার আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে, সেখান থেকে চলে আসবে? কারো কোন পাওয়ার নেই, পাওয়ার আছে শুধু সরকারের।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, ‘বর্তমান আমাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারছি না। নির্বাচনের সিডিউল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হবে, এই নিশ্চয়তা কে দেবে? নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের কথামতো কাজ করা কর্তব্য। কিন্তু কাজ না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। এই বিষয়ে কিছু নির্দেশনা থাকা উচিত।’
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘বাস্তবতা আপনাদের অনুকূলে নেই। সরকার না চাইলে কমিশনের পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব না। এখনও গাইবান্ধা নির্বাচনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই।’
কোন দলের পক্ষে বক্তব্য দেয়া কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এরমধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ, ভোটারদের ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা বারবার সমঝোতার কথা বলেছি। চায়ের টেবিলে বসেন আপনারা। কিন্তু পলিটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে যে, কেউ কারো সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশন এ সমস্যার সমাধান করে না।’
নির্বাচনটা ভালো হবে কী হবে না, সেটা ‘পলিটিক্যাল উইল’ এর ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আন্তরিক পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে। এটা আমার থেকে আসবে না। পলিটিক্স থেকে আসতে হবে বা সরকার থেকে আসতে হবে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকার ও দলকে সব সময় তালগোল পাকিয়ে ফেলি আমরা। বিভাজনটা বুঝতে হবে। সরকার ও দল ভিন্ন জিনিস। সরকারি দল বলতে কোন শব্দ সংবিধানে নেই। এটা হয়তো মুখে বলে থাকি। যখনই একটা সরকার হয়ে যাবে, তখন সে সব দলের, সব জনগণের, পুরো দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশিশক্তি আছে। ফলে, প্রিসাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে পড়ে। আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারব। তবে, যার জন্য বাতিল হবে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আশ্বস্তবোধ করছি। সরকারের তরফ থেকে ইদানীং বারবার বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীসহ, আগামী নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু করতে চায়। এ প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে। এর আগে কিন্তু সরকার কখনও এ প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী- উনারা সরকার শব্দটা ব্যবহার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে কয়েকবার বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আমি বলবো, আস্থা রাখতে চাই।’