সংসদে সুশীল সমাজের সমালোচনায় ফরাজী, সুর মেলালেন আইনমন্ত্রী

সুশীল সমাজের একটি অংশের সমালোচনায় গতকাল সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সুরে সুর মেলালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

একটি বিল বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ যারা নিজেদের সুশীল সমাজ বলে মনে করে, তারা নিজেদের জনগণের গার্ডিয়ান (অভিভাবক) মনে করে। নানা ডিকটেশন (নির্দেশ) দেয়। দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে তাকান না। তারা তাকান সুদূর পশ্চিমে। সেখান থেকে যে বাণী আসে, সেভাবে তারা এখানে ছবক দেয়ার চেষ্টা করে।’

এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রদানকারী সুশীল সমাজের একটি অংশের কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ বার বার জোর করে সংসদকে অকার্যকর...সংসদ চলে না, নানা কথা বলেন। জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচনের সময় সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।

ভারতের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করে না দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত প্রশ্ন কেন। প্রধানমন্ত্রী চান সুষ্ঠু নির্বাচন। তাহলে এত প্রশ্ন কেন? দেশবাসী চান। বিশ্ববাসীও এটা চায়। এর বাইরে আর কিছু হবে না। এটা সবাইকে মানতে হবে। কেউ যদি সিট না পায়, জোর করে সিট দেয়া যায় না।’

রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এদেশের জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবে সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকের বাধ্যবাধকতা, সংবিধানের ব্যত্যয়

সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের সমর্থন থাকার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি করেন রুস্তম আলী ফরাজী।

আইন অনুযায়ী, দলীয় মনোনয়ন নেই এমন কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাইলে তার সমর্থক হিসেবে তাকে ওই এলাকার (সংসদীয় আসনের) মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা টিপসহি নিতে হবে। ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়। এই বিধানের পক্ষে তখনকার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত এবং যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই বিধানটি সহায়ক হবে। তবে কোন ব্যক্তি পূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।

সমর্থকের বাধ্যবাধকতা সংবিধানের ব্যত্যয় বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।

ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ পিটিশন

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি গত সপ্তাহে হয়েছে উল্লেখ করে সংসদকে আইনমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের অবকাশ শেষে আবার শুনানি হবে। সেই শুনানিতে এই পিটিশনের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কখন-কীভাবে নির্বাচন, অবস্থান পরিষ্কার করছে না সরকার

গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটি অস্পষ্টতা, আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ রয়েছে। অনেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কখন ও কীভাবে নির্বাচন হবে, এ বিষয়ে সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করছে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন বিএনপি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার দাপটে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সরকার গঠনের যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা দরকার, সেই সংখ্যক এমপি (সংসদ সদস্য) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। ২০১৮ সালে অধিকাংশ জায়গায় আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। এখানেও জনমতের প্রতিফলন হয়নি।’

সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের নির্বাচনী এলাকা

বিলের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন নিয়ে একটি মানসিক সমস্যা হয়। যারা নির্বাচিত হন তাদের কোনও নির্বাচনী এলাকা আছে কি না? এই বিষয়টি তারা বুঝতে পারে না। এটা নিয়ে তারা নিজেরাও বিব্রতবোধ করেন।’ নির্বাচনে মহিলাদের বেশি সংখ্যক নমিনেশন দেয়ার বিষয়টি বাধ্যবাধকতা করা যায় কি না সেই প্রস্তাব দেন এই আইন প্রণেতা।

মুজিবুল হক বলেন, ‘উচ্চ আদালতের তিন জন বিচারপতিকে দুর্নীতির অভিযোগে দায়িত্ব পালন থেকে অনেক দিন ধরে বিরত রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন। এই বিষয়টির সুরাহা করা প্রয়োজন।’

সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থীদের জামানত দ্বিগুণ, বিল পাস

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত হবে ২০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসন শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। বিলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরও খবর
আন্তর্জাতিক সংকটেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত
গণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে দেশের ৯১ শতাংশ মানুষ
সরকারের কূটনৈতিক সফলতা নিয়ে বিএনপি অপপ্রচারে লিপ্ত : কাদের
দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যানসারের মতো ছেয়ে গেছে : নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি
ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে হিরো আলম বললেন, আ’লীগ থেকে নির্বাচন করতে চাই
আংশিক উদ্বোধন পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্র স্পষ্ট করেছে : আইপিডি
আটজন রিমান্ডে, ৯৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার
দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, আরও সময় চায় তদন্ত কমিটি
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বন্যার পানি বিদ্যালয়ে, পাঠদান বন্ধ
দুই দিনের ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

সংসদে সুশীল সমাজের সমালোচনায় ফরাজী, সুর মেলালেন আইনমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সুশীল সমাজের একটি অংশের সমালোচনায় গতকাল সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সুরে সুর মেলালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

একটি বিল বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ যারা নিজেদের সুশীল সমাজ বলে মনে করে, তারা নিজেদের জনগণের গার্ডিয়ান (অভিভাবক) মনে করে। নানা ডিকটেশন (নির্দেশ) দেয়। দেশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে তাকান না। তারা তাকান সুদূর পশ্চিমে। সেখান থেকে যে বাণী আসে, সেভাবে তারা এখানে ছবক দেয়ার চেষ্টা করে।’

এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী দেশের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রদানকারী সুশীল সমাজের একটি অংশের কঠোর সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ বার বার জোর করে সংসদকে অকার্যকর...সংসদ চলে না, নানা কথা বলেন। জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচনের সময় সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে।

ভারতের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করে না দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত প্রশ্ন কেন। প্রধানমন্ত্রী চান সুষ্ঠু নির্বাচন। তাহলে এত প্রশ্ন কেন? দেশবাসী চান। বিশ্ববাসীও এটা চায়। এর বাইরে আর কিছু হবে না। এটা সবাইকে মানতে হবে। কেউ যদি সিট না পায়, জোর করে সিট দেয়া যায় না।’

রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। এদেশের জনগণই নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক করবে সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কারা করবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হলে সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকের বাধ্যবাধকতা, সংবিধানের ব্যত্যয়

সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটারদের সমর্থন থাকার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি করেন রুস্তম আলী ফরাজী।

আইন অনুযায়ী, দলীয় মনোনয়ন নেই এমন কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাইলে তার সমর্থক হিসেবে তাকে ওই এলাকার (সংসদীয় আসনের) মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর বা টিপসহি নিতে হবে। ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়। এই বিধানের পক্ষে তখনকার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, নির্বাচনে প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত এবং যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই বিধানটি সহায়ক হবে। তবে কোন ব্যক্তি পূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।

সমর্থকের বাধ্যবাধকতা সংবিধানের ব্যত্যয় বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।

ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ পিটিশন

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি গত সপ্তাহে হয়েছে উল্লেখ করে সংসদকে আইনমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের অবকাশ শেষে আবার শুনানি হবে। সেই শুনানিতে এই পিটিশনের সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কখন-কীভাবে নির্বাচন, অবস্থান পরিষ্কার করছে না সরকার

গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটি অস্পষ্টতা, আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ রয়েছে। অনেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কখন ও কীভাবে নির্বাচন হবে, এ বিষয়ে সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করছে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন বিএনপি প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতার দাপটে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। সরকার গঠনের যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা দরকার, সেই সংখ্যক এমপি (সংসদ সদস্য) বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। ২০১৮ সালে অধিকাংশ জায়গায় আগের রাতে ভোট হয়ে যায়। এখানেও জনমতের প্রতিফলন হয়নি।’

সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের নির্বাচনী এলাকা

বিলের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন নিয়ে একটি মানসিক সমস্যা হয়। যারা নির্বাচিত হন তাদের কোনও নির্বাচনী এলাকা আছে কি না? এই বিষয়টি তারা বুঝতে পারে না। এটা নিয়ে তারা নিজেরাও বিব্রতবোধ করেন।’ নির্বাচনে মহিলাদের বেশি সংখ্যক নমিনেশন দেয়ার বিষয়টি বাধ্যবাধকতা করা যায় কি না সেই প্রস্তাব দেন এই আইন প্রণেতা।

মুজিবুল হক বলেন, ‘উচ্চ আদালতের তিন জন বিচারপতিকে দুর্নীতির অভিযোগে দায়িত্ব পালন থেকে অনেক দিন ধরে বিরত রাখা হয়েছে। কিন্তু তারা বেতন ভাতা পাচ্ছেন। এই বিষয়টির সুরাহা করা প্রয়োজন।’

সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থীদের জামানত দ্বিগুণ, বিল পাস

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ বাড়িয়ে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের জামানত হবে ২০ হাজার টাকা। বিদ্যমান আইনে সংরক্ষিত আসন শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আছে। সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। বিলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া নারী আসন বণ্টন পদ্ধতিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।