ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর, ব্রিকস সম্মেলন ও জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ কূটনৈতিক সফলতা’ নিয়ে বিএনপি ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে’ লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়ার সই করা ওই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন এবং ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অনন্য গৌরব ও মর্যাদা বয়ে এনেছেন। এই সম্মেলনগুলোতে শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান এবং সুদক্ষনেতৃত্বের স্বীকৃতি প্রতীয়মান হয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাখোঁসহ শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং অসাধারণ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বনেতারা যখন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুপ্রসারিত করছেন, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশলতার কারণে বিএনপির সেই চক্রান্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ায় এখন তাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একদিকে বিএনপি তাদের চরম ব্যর্থতার অভিঘাতে পর্যুদস্ত। অন্যদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমেই হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছে বিএনপি। সে জন্য তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসে দেশবিরোধী কলাম লিখে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছিলেন। বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল অথচ তখন তারা উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। বরং দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর জনগণ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির কোন ষড়যন্ত্রই বাঙালি জাতির এই স্বপ্নযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর, ব্রিকস সম্মেলন ও জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ কূটনৈতিক সফলতা’ নিয়ে বিএনপি ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে’ লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়ার সই করা ওই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলন এবং ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য অনন্য গৌরব ও মর্যাদা বয়ে এনেছেন। এই সম্মেলনগুলোতে শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান এবং সুদক্ষনেতৃত্বের স্বীকৃতি প্রতীয়মান হয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাখোঁসহ শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ এবং অসাধারণ অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বনেতারা যখন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুপ্রসারিত করছেন, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি দেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানামুখী অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা ও মিথ্যাচারের মধ্য দিয়ে বিএনপি বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশলতার কারণে বিএনপির সেই চক্রান্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ায় এখন তাদের গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একদিকে বিএনপি তাদের চরম ব্যর্থতার অভিঘাতে পর্যুদস্ত। অন্যদিকে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমেই হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছে বিএনপি। সে জন্য তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ওয়াশিংটন টাইমসে দেশবিরোধী কলাম লিখে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছিলেন। বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল অথচ তখন তারা উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। বরং দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর জনগণ উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় আজ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির কোন ষড়যন্ত্রই বাঙালি জাতির এই স্বপ্নযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’