আংশিক উদ্বোধন পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্র স্পষ্ট করেছে : আইপিডি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্রকে স্পষ্ট করে তুলেছে, যা সামাজিক অসন্তোষের জন্ম দেয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

গতকাল ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত সমসাময়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এমন অভিমত তোলে ধরেন।

অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে যেন ঢাকা-টঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ লেন রেললাইন প্রকল্প কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়ে সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য প্রধানত ডিজাইন করা হয়নি; তদুপরি এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাৃযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। অথচ গণপরিবহন এর উন্নয়ন, বাস সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি, ফলে নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না।’

মূল প্রবন্ধে আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপযোগিতা সাধারণ মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে সিটি বাস সার্ভিসের জন্যেও ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজাইন সংশোধন করা ও বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে চালু হওয়া আংশিক অংশে ফার্মগেট-এয়ারপোর্ট সরাসরি বাস সার্ভিস ও মিনিবাস সার্ভিস চালু করার পাশাপাশি পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রাবাড়ী-এয়ারপোর্ট/উত্তরা বাস সার্ভিস চালু করার দাবি করে আইপিডি। টোল আদায়ে অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ নজরদারির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানায় আইপিডি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন হলেও পুরোটা চালু হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি ও বাণিজ্যে সুফল হলে অতি দ্রুত প্রকল্পের এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পুরোটা চালু করতে হবে। উত্তরাসহ টঙ্গী গাজীপুর, বিমানবন্দর ও পূর্বাচলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দ্রুততর হবে।

ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের দ্রুত যাতায়াতে ভূমিকা পালন করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। তবে এই ধরনের এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকার যানজট অনেক কমে যাবে, এ আশাবাদের বাস্তবতা নেই। বরং পুরোপুরি চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ের র?্যাম্পগুলোর আশপাশে যানজট আরও বাড়তে পারে বলেও মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা।

আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের পরিবহন ও যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ প্রকল্প ও উদ্যোগই গণমুখী নয়। ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়েরমত প্রকল্পসমূহকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আমরা সমতলের রাস্তা ও পরিবহন ব্যবস্থার চরম অবহেলা করেছি, যার উদাহরণ হচ্ছে হানিফ ফ্লাইওভার এর নিচের রাস্তার ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থা। এর দায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের র?্যাম্পে উঠানামার ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা দরকার, যেন এই পয়েন্টগুলোতে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’

আইপিডির পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মেগা প্রকল্প, পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন নতুবা এ ধরনের প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগিতা থাকবে না। ব্যক্তিগত গাড়িকে নয়, বরং বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে গণপরিবহনে প্রাধান্য দিতে হবে। ’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, আমাদের পরিবহন সংশ্লিষ্ট অনেক সম্ভাব্য যাচাই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ নয়। প্রকৃত চাহিদা নয়, বরং অনেকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আগ্রহের ভিত্তিতে অনেক পরিবহন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে, যা মানুষ ও শহরের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে।’

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. আফসানা হক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজট কমাবে এ ধরনের আশাবাদ করবার বস্তুনিষ্ঠতা নেই। এক্সপ্রেসওয়েটি যদি সার্কুলার রোডের এলাইমেন্ট এ ডিজাইন করা হতো তাহলে শহরের ওপর চাপ কমত।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা বলেন, ‘এই ধরনের প্রকল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হলে সেটা জনকল্যাণে কাজে আসবে।’

ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়িনির্ভর পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভীষ্ট টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর গড়া সম্ভবপর হবে না।’

আরও খবর
আন্তর্জাতিক সংকটেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত
সংসদে সুশীল সমাজের সমালোচনায় ফরাজী, সুর মেলালেন আইনমন্ত্রী
গণতান্ত্রিক শাসনের পক্ষে দেশের ৯১ শতাংশ মানুষ
সরকারের কূটনৈতিক সফলতা নিয়ে বিএনপি অপপ্রচারে লিপ্ত : কাদের
দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যানসারের মতো ছেয়ে গেছে : নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি
ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে হিরো আলম বললেন, আ’লীগ থেকে নির্বাচন করতে চাই
আটজন রিমান্ডে, ৯৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার
দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, আরও সময় চায় তদন্ত কমিটি
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বন্যার পানি বিদ্যালয়ে, পাঠদান বন্ধ
দুই দিনের ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ ঘোষণা বিএনপির তিন সংগঠনের

বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩০, ২৮ সফর ১৪৪৫

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

আংশিক উদ্বোধন পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্র স্পষ্ট করেছে : আইপিডি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার বৈষম্যমূলক চিত্রকে স্পষ্ট করে তুলেছে, যা সামাজিক অসন্তোষের জন্ম দেয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

গতকাল ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত সমসাময়িক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান এমন অভিমত তোলে ধরেন।

অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে যেন ঢাকা-টঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ লেন রেললাইন প্রকল্প কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়ে সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য প্রধানত ডিজাইন করা হয়নি; তদুপরি এই এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাৃযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে যানজট নিরসনে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার অধিকাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। অথচ গণপরিবহন এর উন্নয়ন, বাস সার্ভিস ও কমিউটার ট্রেন নেটওয়ার্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করা হয়নি, ফলে নগর পরিবহন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না।’

মূল প্রবন্ধে আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপযোগিতা সাধারণ মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে সিটি বাস সার্ভিসের জন্যেও ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডিজাইন সংশোধন করা ও বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে চালু হওয়া আংশিক অংশে ফার্মগেট-এয়ারপোর্ট সরাসরি বাস সার্ভিস ও মিনিবাস সার্ভিস চালু করার পাশাপাশি পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যাত্রাবাড়ী-এয়ারপোর্ট/উত্তরা বাস সার্ভিস চালু করার দাবি করে আইপিডি। টোল আদায়ে অটোমেশন পদ্ধতির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ নজরদারির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানায় আইপিডি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন হলেও পুরোটা চালু হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি ও বাণিজ্যে সুফল হলে অতি দ্রুত প্রকল্পের এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পুরোটা চালু করতে হবে। উত্তরাসহ টঙ্গী গাজীপুর, বিমানবন্দর ও পূর্বাচলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দ্রুততর হবে।

ঢাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারকারীদের দ্রুত যাতায়াতে ভূমিকা পালন করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। তবে এই ধরনের এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকার যানজট অনেক কমে যাবে, এ আশাবাদের বাস্তবতা নেই। বরং পুরোপুরি চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ের র?্যাম্পগুলোর আশপাশে যানজট আরও বাড়তে পারে বলেও মতামত দেন বিশেষজ্ঞরা।

আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের পরিবহন ও যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ প্রকল্প ও উদ্যোগই গণমুখী নয়। ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়েরমত প্রকল্পসমূহকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আমরা সমতলের রাস্তা ও পরিবহন ব্যবস্থার চরম অবহেলা করেছি, যার উদাহরণ হচ্ছে হানিফ ফ্লাইওভার এর নিচের রাস্তার ব্যবহার অনুপযোগী অবস্থা। এর দায় পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের র?্যাম্পে উঠানামার ক্ষেত্রে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা দরকার, যেন এই পয়েন্টগুলোতে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’

আইপিডির পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মেগা প্রকল্প, পিপিপি প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন নতুবা এ ধরনের প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগিতা থাকবে না। ব্যক্তিগত গাড়িকে নয়, বরং বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে গণপরিবহনে প্রাধান্য দিতে হবে। ’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, আমাদের পরিবহন সংশ্লিষ্ট অনেক সম্ভাব্য যাচাই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ নয়। প্রকৃত চাহিদা নয়, বরং অনেকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আগ্রহের ভিত্তিতে অনেক পরিবহন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে, যা মানুষ ও শহরের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে।’

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. আফসানা হক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শহরের যানজট কমাবে এ ধরনের আশাবাদ করবার বস্তুনিষ্ঠতা নেই। এক্সপ্রেসওয়েটি যদি সার্কুলার রোডের এলাইমেন্ট এ ডিজাইন করা হতো তাহলে শহরের ওপর চাপ কমত।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা বলেন, ‘এই ধরনের প্রকল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা হলে সেটা জনকল্যাণে কাজে আসবে।’

ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়িনির্ভর পরিবহন পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অভীষ্ট টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর গড়া সম্ভবপর হবে না।’