উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী রূপসা ও সীমান্ত আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেল কোচ ছাড়াই চলছে। ট্রেন দুটির চারটি এসি কোচ মেরামতের জন্য সরিয়ে নেয়া হলেও দীর্ঘ পাঁচ মাসেও কোচগুলো মেরামত হয়নি। ফলে উত্তরের চিলাহাটি ও দক্ষিণের খুলনা রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে গত ১৪ মে ট্রেন দু’টির চারটি এসি কোচ খুলে রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ মাসেও কোচগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়নি। কোচ মেরামতে দেরি হওয়ায় প্রচন্ড গরমে এ রুটের যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চারটি এসি কোচের মধ্যে দুটি এসি চেয়ার ও দুটি এসি বাথ কোচ রয়েছে। এতে আসন রয়েছে ২০৬টি। অথচ কোচগুলো দীর্ঘ সময়ে মেরামত না হওয়ায় দৈনিক মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে রেলওয়ে।
সূত্র মতে, উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন দুটি ব্যবসা সফল। ট্রেন দুটিতে এসি কোচের সুবিধা থাকায় বিপুলসংখ্যক যাত্রী এতে ভ্রমণ করে থাকেন। বর্তমানে এসি কোচ না থাকায় এসি কোচের যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, এসি কোচে যান্ত্রিক সমস্যা হওয়ায় মেরামতের জন্য তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাসেও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কোচ মেরামত না হওয়ায় ট্রেন দুটিতে এসি কোচ সংযোজন করা যায়নি। এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি রেলওয়ে হারাচ্ছে প্রচুর রাজস্ব। তবে বিষয়টি রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (ডিইই) রিফাত শাকিল জানান, রূপসা ও সীমান্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলোতে ক্রটি দেখা দেয়ায় তা খুলে নেয়া হয়। এসব রেলকোচ মে মাসে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। মেরামত দেরি হওয়ায় এসব কোচ ট্রেন বহরে যুক্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোচগুলো ট্রেনে সংযোজন করার চেষ্টা চলছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, কোচগুলো যান্ত্রিক মেরামত কাজ করা হয়েছে। তবে এসবের শীতাতপ ব্যবস্থা সচল করা সম্ভব হয়নি। এটি রেলওয়ে কারখানার ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের কাজ। এটি সচল করার দায়িত্ব বৈদ্যুতিক শাখার। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শিগগির রেলকোচগুলো ট্রেনে যুক্ত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম -সংবাদ
আরও খবরশুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১ আশ্বিন ১৪৩০, ২৯ সফর ১৪৪৫
প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম -সংবাদ
উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী রূপসা ও সীমান্ত আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) রেল কোচ ছাড়াই চলছে। ট্রেন দুটির চারটি এসি কোচ মেরামতের জন্য সরিয়ে নেয়া হলেও দীর্ঘ পাঁচ মাসেও কোচগুলো মেরামত হয়নি। ফলে উত্তরের চিলাহাটি ও দক্ষিণের খুলনা রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে গত ১৪ মে ট্রেন দু’টির চারটি এসি কোচ খুলে রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ মাসেও কোচগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়নি। কোচ মেরামতে দেরি হওয়ায় প্রচন্ড গরমে এ রুটের যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চারটি এসি কোচের মধ্যে দুটি এসি চেয়ার ও দুটি এসি বাথ কোচ রয়েছে। এতে আসন রয়েছে ২০৬টি। অথচ কোচগুলো দীর্ঘ সময়ে মেরামত না হওয়ায় দৈনিক মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে রেলওয়ে।
সূত্র মতে, উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন দুটি ব্যবসা সফল। ট্রেন দুটিতে এসি কোচের সুবিধা থাকায় বিপুলসংখ্যক যাত্রী এতে ভ্রমণ করে থাকেন। বর্তমানে এসি কোচ না থাকায় এসি কোচের যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়েছেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, এসি কোচে যান্ত্রিক সমস্যা হওয়ায় মেরামতের জন্য তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পাঁচ মাসেও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কোচ মেরামত না হওয়ায় ট্রেন দুটিতে এসি কোচ সংযোজন করা যায়নি। এতে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনি রেলওয়ে হারাচ্ছে প্রচুর রাজস্ব। তবে বিষয়টি রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (ডিইই) রিফাত শাকিল জানান, রূপসা ও সীমান্ত ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলোতে ক্রটি দেখা দেয়ায় তা খুলে নেয়া হয়। এসব রেলকোচ মে মাসে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানো হয়েছে। মেরামত দেরি হওয়ায় এসব কোচ ট্রেন বহরে যুক্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোচগুলো ট্রেনে সংযোজন করার চেষ্টা চলছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, কোচগুলো যান্ত্রিক মেরামত কাজ করা হয়েছে। তবে এসবের শীতাতপ ব্যবস্থা সচল করা সম্ভব হয়নি। এটি রেলওয়ে কারখানার ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের কাজ। এটি সচল করার দায়িত্ব বৈদ্যুতিক শাখার। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে শিগগির রেলকোচগুলো ট্রেনে যুক্ত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।