স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে ইন্স্যুরটেক : পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘ইন্স্যুরটেক-স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে একটি নতুন মাইলস্টোন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বেসিস, ইডরা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে কাজ করলে ইন্স্যুরটেক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বেসিসের সহসভপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের ফিনটেক অ্যান্ড ডিজিটাল পেমেন্টসবিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফিদা হক।

ইডরা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, ‘জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ২০২১ সালে ছিল ০.৫ শতাংশ যা ২০২৩ সাল পর্যন্ত ০.৫ শতাংশই রয়ে গেছে। বীমা সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞান সীমিত হওয়ার দরুণ এবং সময়মতো বীমার দাবি না পাওয়ায় এই খাতে আস্থা হারিয়েছে মানুষ। বীমা খাতে সম্ভাবনা অনেক তাই প্রযুক্তির ব্যবহারে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বীমাকে সার্বজনীন করতে বীমা খাতকে অটোমেশনের পাশাপাশি একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বেসিসের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতকেও যুক্ত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম দুটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে ইন্সু্যুরটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বীমার ওপর এ দেশের মানুষের আস্থা এখনো খুব কম, এই ব্যাপারে বীমা কোম্পানিগুলোকে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এদেশের তরুণ প্রজন্ম ইন্সু্যুরটেক নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবে এবং নতুন ইন্সু্যুরটেক সেবা নিয়ে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া কী ধরনের বীমা প্রয়োজন, কী ধরনের প্রযুক্তি দরকার, নতুন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং জিডিপিতে কীভাবে বীমার অবদান বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও আইসিটি ও বীমা সংগঠনগুলোকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১ আশ্বিন ১৪৩০, ২৯ সফর ১৪৪৫

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে ইন্স্যুরটেক : পরিকল্পনামন্ত্রী

image

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘ইন্স্যুরটেক-স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে একটি নতুন মাইলস্টোন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বেসিস, ইডরা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন একসঙ্গে কাজ করলে ইন্স্যুরটেক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বেসিসের সহসভপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের ফিনটেক অ্যান্ড ডিজিটাল পেমেন্টসবিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফিদা হক।

ইডরা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, ‘জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ২০২১ সালে ছিল ০.৫ শতাংশ যা ২০২৩ সাল পর্যন্ত ০.৫ শতাংশই রয়ে গেছে। বীমা সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞান সীমিত হওয়ার দরুণ এবং সময়মতো বীমার দাবি না পাওয়ায় এই খাতে আস্থা হারিয়েছে মানুষ। বীমা খাতে সম্ভাবনা অনেক তাই প্রযুক্তির ব্যবহারে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বীমাকে সার্বজনীন করতে বীমা খাতকে অটোমেশনের পাশাপাশি একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বেসিসের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতকেও যুক্ত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম দুটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে ইন্সু্যুরটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বীমার ওপর এ দেশের মানুষের আস্থা এখনো খুব কম, এই ব্যাপারে বীমা কোম্পানিগুলোকে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এদেশের তরুণ প্রজন্ম ইন্সু্যুরটেক নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবে এবং নতুন ইন্সু্যুরটেক সেবা নিয়ে আসবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া কী ধরনের বীমা প্রয়োজন, কী ধরনের প্রযুক্তি দরকার, নতুন প্রজন্মকে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং জিডিপিতে কীভাবে বীমার অবদান বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও আইসিটি ও বীমা সংগঠনগুলোকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।