গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত সৌরচালিত সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় এবং চুরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম হবে শহর করার প্রথম ধাপ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্বাবধানে টিআর প্রকল্পের আওতায় ১৭ ইউনিয়নের রাস্তা, মসজিদ-মন্দির, গুরুত্বপূর্ণ ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় সৌরসড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। সন্ধ্যার পর পরই এই বাতিগুলো জ্বলে ওঠে আর পরদিন সকালে সুর্যের আলো ফোটা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। এই আলো থাকায় এলাকায় চুরি ও অসামাজিক কর্মকান্ডসহ নানা ধরনের অপতৎপরতা কমে যায়। বাতিগুলি সড়কের পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির এতিমখানা, কবরস্থান, হাট-বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করায় আলোতে ওই সব এলাকার মানুষ শহরেরমত সুবিধা ভোগ করতে থাকে। যে কারণে এই সৌর বিদ্যুতের সড়ক বাতিগুলো বেশ জনপ্রিয় ওঠে এলাকাবাসীর কাছে। কিন্তু, উপজেলার বেশকিছু এলাকার সৌরবাতি অকেজো হয়ে পড়ায় আবার কোন কোন এলাকায় নিরাপত্তা ও দেখভাল করার ব্যবস্থা না থাকায় বাতিগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে মহিমাগঞ্জ-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা থেকে ৪টি, সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ সড়ক থেকে ২, কাটা-ফাঁসিতলা সড়কে ৩টি সৌর সড়ক বাতি সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১শ বেশি টির বেশি সৌর সড়ক বাতি চুরি হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা থেকে এই বাতিগুলো স্থাপন করার পর থেকে গ্রামীণ সড়ক রাতে শহর শহর মনে হতো। চোরের উপদ্রুপ অনেকটা কমে এসেছিল। কিন্ত দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না হওয়ায় এবং দেখভালের কোন উদ্যোগ না থাকায় এলাকা নেশাখোর ও ছিচকে চোর রাতের আঁধারে এই সড়ক বাতিগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, লাইটগুলো থাকায় এই এলাকা অপরাধ কমে এসেছিল। কিন্তু, লাইট চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন ওই এলাকায় অপরাধ বেড়েছে। সাহেবগঞ্জ এলাকার লিটন বলেন ঘোড়াঘাট সড়ক থেকে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এক কিালোমিটারে আগে দুটি সৌর সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে নির্র্জন এই এলাকা দিয়ে রাত বিরাতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করত। যদিও মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট সড়কের মাথায় পরবর্তিতে অন্য একটি সৌর সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। সেটিও ৩/৪মাস ধরে নষ্ট হওয়ায় চলাচলকারীরা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছে। দ্রুত নষ্টবাতিগুলো মেরামত এবং যে সৌরসড়ক বাতি এখনও এলাকা আলোকিত করে রেখেছে তা সংরক্ষণের দাবী করছি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন তিন বছর আগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মসজিদসহ রাস্তাঘাটে সৌর সড়কবাতি লাগানো হয়। এরমধ্যে নষ্ট সৌরসড়কবাতি মেরামতের জন্য কোন ফান্ড না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ফান্ড পাওয়া মাত্র এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫
প্রতিনিধি, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)
গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত সৌরচালিত সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ায় এবং চুরি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম হবে শহর করার প্রথম ধাপ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্বাবধানে টিআর প্রকল্পের আওতায় ১৭ ইউনিয়নের রাস্তা, মসজিদ-মন্দির, গুরুত্বপূর্ণ ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় সৌরসড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। সন্ধ্যার পর পরই এই বাতিগুলো জ্বলে ওঠে আর পরদিন সকালে সুর্যের আলো ফোটা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। এই আলো থাকায় এলাকায় চুরি ও অসামাজিক কর্মকান্ডসহ নানা ধরনের অপতৎপরতা কমে যায়। বাতিগুলি সড়কের পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির এতিমখানা, কবরস্থান, হাট-বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থাপন করায় আলোতে ওই সব এলাকার মানুষ শহরেরমত সুবিধা ভোগ করতে থাকে। যে কারণে এই সৌর বিদ্যুতের সড়ক বাতিগুলো বেশ জনপ্রিয় ওঠে এলাকাবাসীর কাছে। কিন্তু, উপজেলার বেশকিছু এলাকার সৌরবাতি অকেজো হয়ে পড়ায় আবার কোন কোন এলাকায় নিরাপত্তা ও দেখভাল করার ব্যবস্থা না থাকায় বাতিগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে মহিমাগঞ্জ-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা থেকে ৪টি, সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ সড়ক থেকে ২, কাটা-ফাঁসিতলা সড়কে ৩টি সৌর সড়ক বাতি সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১শ বেশি টির বেশি সৌর সড়ক বাতি চুরি হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা থেকে এই বাতিগুলো স্থাপন করার পর থেকে গ্রামীণ সড়ক রাতে শহর শহর মনে হতো। চোরের উপদ্রুপ অনেকটা কমে এসেছিল। কিন্ত দীর্ঘদিন যাবত মেরামত না হওয়ায় এবং দেখভালের কোন উদ্যোগ না থাকায় এলাকা নেশাখোর ও ছিচকে চোর রাতের আঁধারে এই সড়ক বাতিগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, লাইটগুলো থাকায় এই এলাকা অপরাধ কমে এসেছিল। কিন্তু, লাইট চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন ওই এলাকায় অপরাধ বেড়েছে। সাহেবগঞ্জ এলাকার লিটন বলেন ঘোড়াঘাট সড়ক থেকে সাহেবগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এক কিালোমিটারে আগে দুটি সৌর সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে নির্র্জন এই এলাকা দিয়ে রাত বিরাতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করত। যদিও মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে ঘোড়াঘাট সড়কের মাথায় পরবর্তিতে অন্য একটি সৌর সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। সেটিও ৩/৪মাস ধরে নষ্ট হওয়ায় চলাচলকারীরা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছে। দ্রুত নষ্টবাতিগুলো মেরামত এবং যে সৌরসড়ক বাতি এখনও এলাকা আলোকিত করে রেখেছে তা সংরক্ষণের দাবী করছি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন তিন বছর আগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মন্দির-মসজিদসহ রাস্তাঘাটে সৌর সড়কবাতি লাগানো হয়। এরমধ্যে নষ্ট সৌরসড়কবাতি মেরামতের জন্য কোন ফান্ড না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ফান্ড পাওয়া মাত্র এগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।