পানি নিষ্কাশনে বাধা, চাষাবাদ ব্যাহত
রাঙ্গাবালীর সরকারি খালগুলো দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ঘন ঘন বাঁধ দিয়ে পুকুর আর মাছের ঘেরে রুপান্তরিত করেছে। বন্ধ করেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। জলাবদ্ধতার কারনে সময়মতো চাষাবাদ করতে না পেরে ফসল থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। দখলদাররা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায়, জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দের যুগেরও আগে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকে রাঙ্গাবালীতে শুরু হয় খাল দখলের প্রতিযোগিতা। যার যার বাড়ির সামনে বাঁধ দিয়ে পুকুর আর মাছের ঘেরে রুপান্ত?রিত করেছে খালগুলি। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ। বিপাকে পরেছে কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। জলাবদ্ধতার কারনে সময় মতো চাষাবাদ করতে না পেরে কাঙ্খিত ফসল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। অন্যদিকে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিন কাটে মৎস্যজীবীদের। চলতি বছরের শুরুতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সালেক মুহিদ অভিযান চালিয়ে, রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৪৮ টি বাঁধ কেটে দিয়েছে। প্রোক্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় স্থবির হয়ে পরেছে অভিযান। এখনো অনেক বাঁধ কাটার বাকি। ওইসব বাঁধ কেটে দিয়ে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করার দাবী করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের জমি মালিক স্বপন মাহমুদ, ইরান মিয়া, চরগঙ্গা মৌজার জব্বার হাওলাদার, কাজির হাওলার শাহিন হাওলাদারসহ অনেকে জানান, দক্ষিণ তুলাতলী মৌজায় নিশানবাড়িয়া, চা মাদবরের ভাঙ্গাখাল, মধুখালীর খাল, এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শের খাল, চরগঙ্গা মৌজার বিশাইর খালের শাখা প্রশাখা, কাজির হাওলা মৌজার লেংরার খালসহ অনেক খাল এখনও প্রভাবশালীদের দখলে। এইসব খাল উন্মুক্ত হলে আগুন মুখার শাখা ও দারছিরা নদীর সঙ্গে সরাসরি মিলিত হবে। পানি ওঠা নামায় কোন বাধা থাকবেনা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আসাদুজ্জামান ও মৎস্য অফিসার আলী আহমেদ আকন্দ জানান, উপজেলার অন্তত ৫৪ টি খালের শাখা প্রশাখায় এখনো অনেক বাঁধ রয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃ?ষ্টি হয়ে কৃষি কাজ ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিরা। প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধগুলো কেটে পানি প্রবাহ সচল রাখা একান্ত জরুরি।
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায় বন্ধ হয় পানি নিষ্কাশনের পথ-সংবাদ
আরও খবরশনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫
পানি নিষ্কাশনে বাধা, চাষাবাদ ব্যাহত
প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : সরকারি খাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায় বন্ধ হয় পানি নিষ্কাশনের পথ-সংবাদ
রাঙ্গাবালীর সরকারি খালগুলো দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। ঘন ঘন বাঁধ দিয়ে পুকুর আর মাছের ঘেরে রুপান্তরিত করেছে। বন্ধ করেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। জলাবদ্ধতার কারনে সময়মতো চাষাবাদ করতে না পেরে ফসল থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। দখলদাররা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায়, জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেন না।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দের যুগেরও আগে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নির্মানের পর থেকে রাঙ্গাবালীতে শুরু হয় খাল দখলের প্রতিযোগিতা। যার যার বাড়ির সামনে বাঁধ দিয়ে পুকুর আর মাছের ঘেরে রুপান্ত?রিত করেছে খালগুলি। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানি প্রবাহ। বিপাকে পরেছে কৃষক ও মৎস্যজীবীরা। জলাবদ্ধতার কারনে সময় মতো চাষাবাদ করতে না পেরে কাঙ্খিত ফসল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। অন্যদিকে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিন কাটে মৎস্যজীবীদের। চলতি বছরের শুরুতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সালেক মুহিদ অভিযান চালিয়ে, রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৪৮ টি বাঁধ কেটে দিয়েছে। প্রোক্ত কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় স্থবির হয়ে পরেছে অভিযান। এখনো অনেক বাঁধ কাটার বাকি। ওইসব বাঁধ কেটে দিয়ে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করার দাবী করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের জমি মালিক স্বপন মাহমুদ, ইরান মিয়া, চরগঙ্গা মৌজার জব্বার হাওলাদার, কাজির হাওলার শাহিন হাওলাদারসহ অনেকে জানান, দক্ষিণ তুলাতলী মৌজায় নিশানবাড়িয়া, চা মাদবরের ভাঙ্গাখাল, মধুখালীর খাল, এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শের খাল, চরগঙ্গা মৌজার বিশাইর খালের শাখা প্রশাখা, কাজির হাওলা মৌজার লেংরার খালসহ অনেক খাল এখনও প্রভাবশালীদের দখলে। এইসব খাল উন্মুক্ত হলে আগুন মুখার শাখা ও দারছিরা নদীর সঙ্গে সরাসরি মিলিত হবে। পানি ওঠা নামায় কোন বাধা থাকবেনা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আসাদুজ্জামান ও মৎস্য অফিসার আলী আহমেদ আকন্দ জানান, উপজেলার অন্তত ৫৪ টি খালের শাখা প্রশাখায় এখনো অনেক বাঁধ রয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃ?ষ্টি হয়ে কৃষি কাজ ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে মাছ ধরতে না পেরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিরা। প্রশাসনের সহায়তায় বাঁধগুলো কেটে পানি প্রবাহ সচল রাখা একান্ত জরুরি।