দেশে প্রতি বছর যক্ষ্মায় মারা যায় ৪২ হাজার মানুষ

‘চিকিৎসায় যক্ষা ভালো হয়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শাহরাস্তিতে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যেগে ও জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি ও ব্রাকের আয়োজনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, শিক্ষক, ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে যক্ষা বিষয়ক এক ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাকের যৌথ উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ব্র্যাক শাহরাস্তি অঞ্চলের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জিল্লুর রহমান। কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: নাসির উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো: আতিকুর রহমান। ডা. নাসির উদ্দিন তার বক্তব্য বলেন, প্রতি ১লক্ষ লোকের মধ্যে ২১ জন যক্ষায় আক্রান্ত হয় ও ৩৫ জন রোগী মারা যান। দেশে প্রতি বৎসর যক্ষায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়, ৪২ হাজার লোক মারা যায়। শাহরাস্তি উপজেলায় ২০২২ সালে ১ হাজার ৫ শত রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থ্য হয়েছেন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ শত ৩ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিনামূল্য কফ পরীক্ষা, এক্সরে, যাবতীয় সবাই টেষ্ট, ৬ মাসের ্ঔষধ বিনামূল্য বিতরণ করা হচ্ছে। কর্মশালায় ব্র্যাক প্রোগ্রাম অফিসার মো: আমজাদ হোসেন পলকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো: শাহাজান পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মাও: আবু তাহের।

, শিক্ষক মিজানুর রহমান, মসজিদের ইমাম আবু তাহের, যক্ষা ও কুষ্ঠ সহকারী মো: ইব্রাহিম খলিল, ফিল্ড অর্গানাইজার মো: আলমগীর হোসেন, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো: জুয়েল মিয়া, ইউপি সদস্য নুসরাত সাবরিন কবিতা প্রমুখ। কর্মশালায় শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যসেবীগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আগে যক্ষা হলে রোগীদের দূরে কোথাও কিছু খাদ্য দিয়ে রেখে আসা হতো। বর্তমানে সঠিক চিকিৎসায় যক্ষা সম্পূন্ন ভাবে নিমূল করা সম্ভব। যক্ষা হলে রক্ষা নেই এ কথাটি ভিওিহীন হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। দীর্ঘ ৬মাস যাবৎ সঠিক নিয়মে ঔষধ খেলে যক্ষা নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা রোগী সনাক্তকরণ ও বিনামূল্য সবাই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫

শাহরাস্তিতে আলোচনা সভায় বক্তারা

দেশে প্রতি বছর যক্ষ্মায় মারা যায় ৪২ হাজার মানুষ

প্রতিনিধি, শাহরাস্তি (চাঁদপুর)

‘চিকিৎসায় যক্ষা ভালো হয়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শাহরাস্তিতে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যেগে ও জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি ও ব্রাকের আয়োজনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, শিক্ষক, ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে যক্ষা বিষয়ক এক ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাকের যৌথ উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ব্র্যাক শাহরাস্তি অঞ্চলের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জিল্লুর রহমান। কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: নাসির উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো: আতিকুর রহমান। ডা. নাসির উদ্দিন তার বক্তব্য বলেন, প্রতি ১লক্ষ লোকের মধ্যে ২১ জন যক্ষায় আক্রান্ত হয় ও ৩৫ জন রোগী মারা যান। দেশে প্রতি বৎসর যক্ষায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়, ৪২ হাজার লোক মারা যায়। শাহরাস্তি উপজেলায় ২০২২ সালে ১ হাজার ৫ শত রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থ্য হয়েছেন। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ শত ৩ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিনামূল্য কফ পরীক্ষা, এক্সরে, যাবতীয় সবাই টেষ্ট, ৬ মাসের ্ঔষধ বিনামূল্য বিতরণ করা হচ্ছে। কর্মশালায় ব্র্যাক প্রোগ্রাম অফিসার মো: আমজাদ হোসেন পলকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো: শাহাজান পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেল, শাহরাস্তি প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মাও: আবু তাহের।

, শিক্ষক মিজানুর রহমান, মসজিদের ইমাম আবু তাহের, যক্ষা ও কুষ্ঠ সহকারী মো: ইব্রাহিম খলিল, ফিল্ড অর্গানাইজার মো: আলমগীর হোসেন, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো: জুয়েল মিয়া, ইউপি সদস্য নুসরাত সাবরিন কবিতা প্রমুখ। কর্মশালায় শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যসেবীগন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, আগে যক্ষা হলে রোগীদের দূরে কোথাও কিছু খাদ্য দিয়ে রেখে আসা হতো। বর্তমানে সঠিক চিকিৎসায় যক্ষা সম্পূন্ন ভাবে নিমূল করা সম্ভব। যক্ষা হলে রক্ষা নেই এ কথাটি ভিওিহীন হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। দীর্ঘ ৬মাস যাবৎ সঠিক নিয়মে ঔষধ খেলে যক্ষা নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা রোগী সনাক্তকরণ ও বিনামূল্য সবাই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।