কুমিল্লা থেকে রিহান নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলা হয় নরসিংদীর মেঘনা নদীতে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সুজানগর গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে ইমরান (২৮), জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩২) ও রুবেল (২৫)। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নগরীর শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক এ কে এম মুনিরুল আলম। নিহত শিশু রিহান কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার একমাত্র ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রিহান (১১) স্থানীয় জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। অপহরণকারীরা তাকে নরসিংদীতে নিয়ে হত্যা করে লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। ওইদিন রাতে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মেঘনা নদীর খাইল্লারচর এলাকায় পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই শিশুর ছবিসহ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন নরসিংদী গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
শিশু রিহানের বাবা শাহজাহান মিয়া জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার একমাত্র ছেলেকে অপহরণ করে নরসিংদী এলাকায় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ মেঘনায় ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নরসিংদীর পুলিশ বলছে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মামলা করতে, আবার কোতয়ালী থানার পুলিশ বলছে নরসিংদী থানায় মামলা করতে। অবশেষে গত বুধবার নরসিংদীর রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কুমিল্লাস্থ র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লায় শিশু রিহান অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ৩ -সংবাদ
আরও খবরশনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা
কুমিল্লায় শিশু রিহান অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ৩ -সংবাদ
কুমিল্লা থেকে রিহান নামের এক শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ফেলা হয় নরসিংদীর মেঘনা নদীতে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সুজানগর গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে ইমরান (২৮), জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে মোস্তফা (৩২) ও রুবেল (২৫)। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নগরীর শাকতলা এলাকায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক এ কে এম মুনিরুল আলম। নিহত শিশু রিহান কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার একমাত্র ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রিহান (১১) স্থানীয় জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। অপহরণকারীরা তাকে নরসিংদীতে নিয়ে হত্যা করে লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। ওইদিন রাতে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মেঘনা নদীর খাইল্লারচর এলাকায় পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই শিশুর ছবিসহ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন নরসিংদী গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
শিশু রিহানের বাবা শাহজাহান মিয়া জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার একমাত্র ছেলেকে অপহরণ করে নরসিংদী এলাকায় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ মেঘনায় ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নরসিংদীর পুলিশ বলছে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মামলা করতে, আবার কোতয়ালী থানার পুলিশ বলছে নরসিংদী থানায় মামলা করতে। অবশেষে গত বুধবার নরসিংদীর রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কুমিল্লাস্থ র্যাব-১১ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।