একদফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনাদের সমাবেশ
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। গতকাল বেলা তিনটায় এই সমাবেশ শুরু হয়। এতে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। এছাড়াও একইদিন বিএনপির সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে আসা শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী জড়ো হন। বেলা তিনটার দিকে সরজমিনে দেখা যায় , নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন মডেল থানা পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকেল তিনটার পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার নিজেদের মতো করে নির্বাচন করতে ডিসি-এসপি-ইউএনও-ওসিদের সাজাচ্ছে। অন্যদিকে বলছে, আওয়ামী লীগের আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য বছরের সেরা কৌতুক।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে। সেখান থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে তরুনদের জেগে উঠতে হবে। আর কালবিলম্ব নয়,এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এ দানবীয় সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল তথা বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মামলা ও সাজা দিয়ে এ আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে পেতে দেশের জনগণ আজ মাঠে নেমেছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার জনগণকে বোকা বানাতে চায়। আজকে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি মানুষের ঘরের চাল নেই, ডাল নেই, তেল নেই। এদিকে সরকারের কোন খেয়াল নেই। সরকারের খেয়াল একটাই কীভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে এ দেশকে শোষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ তারা পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেভাবে পারো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দাও। দ্রুত আইনের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে সাজার ব্যবস্থা করো।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যেই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার; যার অধীনে নির্বাচন হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সেই দলই সরকার গঠন করবে। এতে যদি বিএনপি হেরেও যায় তাতে কোনও আপত্তি নেই আমাদের। জনগণ যাকে চাইবে তাকেই ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু সরকার আমাদের এই দাবি মানতে চাইছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকার জুতা মেরে গরু দান দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ না করে গরু-ছাগল বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মানুষ চায় তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে পেতে আর আমরা সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে আন্দোলন করছি। শুধু এই সরকার নয়, একইসঙ্গে এই প্রশাসনের অধীনেও কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অর্থাৎ প্রশাসনের সব স্তরে আওয়ামী লীগ খুঁটি গেড়ে বসেছে।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের প্রতিপক্ষ কোনও রাজনৈতিক দল নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র কুক্ষিগতকারীদের বিরুদ্ধে ও ভোট চোরের বিরুদ্ধে। এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখন রুখে দাঁড়িয়েছে, কোনও শক্তি তা আটকাতে পারে নাই। অচিরে এই আন্দোলন সফল হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আনতে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে।’
বিএনপির সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি
এদিকে গতকাল পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির সমমনা দলগুলো। এদিন বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ১২ দলীয় জোট, পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সমাবেশ করে।
বেলা ৩টায় পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি); বিকেল সাড়ে ৩টায় পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সমাবেশ করে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)।
এছাড়া বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, গণফোরাম (মন্টু) ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)সহ সমমনা দলগুলো একযোগে এক দফা দাবিতে এদিন একই কর্মসূচি পালন করে।
গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল করেছে তারা। এছাড়া গত শনিবার গণমিছিল করে বিএনপি। গতকালের সমাবেশ তাদের ‘একদফার’ সপ্তম কর্মসূচি।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫
একদফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনাদের সমাবেশ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। গতকাল বেলা তিনটায় এই সমাবেশ শুরু হয়। এতে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। এছাড়াও একইদিন বিএনপির সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর থেকে নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে আসা শুরু করেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী জড়ো হন। বেলা তিনটার দিকে সরজমিনে দেখা যায় , নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন মডেল থানা পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকেল তিনটার পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার নিজেদের মতো করে নির্বাচন করতে ডিসি-এসপি-ইউএনও-ওসিদের সাজাচ্ছে। অন্যদিকে বলছে, আওয়ামী লীগের আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য বছরের সেরা কৌতুক।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে। সেখান থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে তরুনদের জেগে উঠতে হবে। আর কালবিলম্ব নয়,এখনই সবাইকে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এ দানবীয় সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিরোধী দল তথা বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে তড়িঘড়ি করে সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মামলা ও সাজা দিয়ে এ আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে পেতে দেশের জনগণ আজ মাঠে নেমেছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার জনগণকে বোকা বানাতে চায়। আজকে দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি মানুষের ঘরের চাল নেই, ডাল নেই, তেল নেই। এদিকে সরকারের কোন খেয়াল নেই। সরকারের খেয়াল একটাই কীভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে এ দেশকে শোষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি এ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। কারণ তারা পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেভাবে পারো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দাও। দ্রুত আইনের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে সাজার ব্যবস্থা করো।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যেই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার; যার অধীনে নির্বাচন হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এতে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সেই দলই সরকার গঠন করবে। এতে যদি বিএনপি হেরেও যায় তাতে কোনও আপত্তি নেই আমাদের। জনগণ যাকে চাইবে তাকেই ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু সরকার আমাদের এই দাবি মানতে চাইছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকার জুতা মেরে গরু দান দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ না করে গরু-ছাগল বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মানুষ চায় তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে পেতে আর আমরা সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে আন্দোলন করছি। শুধু এই সরকার নয়, একইসঙ্গে এই প্রশাসনের অধীনেও কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অর্থাৎ প্রশাসনের সব স্তরে আওয়ামী লীগ খুঁটি গেড়ে বসেছে।’
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের প্রতিপক্ষ কোনও রাজনৈতিক দল নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র কুক্ষিগতকারীদের বিরুদ্ধে ও ভোট চোরের বিরুদ্ধে। এই লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখন রুখে দাঁড়িয়েছে, কোনও শক্তি তা আটকাতে পারে নাই। অচিরে এই আন্দোলন সফল হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আনতে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সব স্তরের মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে।’
বিএনপির সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি
এদিকে গতকাল পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির সমমনা দলগুলো। এদিন বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ১২ দলীয় জোট, পল্টনের আলরাজী কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সমাবেশ করে।
বেলা ৩টায় পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি); বিকেল সাড়ে ৩টায় পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সমাবেশ করে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)।
এছাড়া বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, গণফোরাম (মন্টু) ও পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)সহ সমমনা দলগুলো একযোগে এক দফা দাবিতে এদিন একই কর্মসূচি পালন করে।
গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল করেছে তারা। এছাড়া গত শনিবার গণমিছিল করে বিএনপি। গতকালের সমাবেশ তাদের ‘একদফার’ সপ্তম কর্মসূচি।