সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়া নির্বাচন করা প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই। উনি কেন বলেছেন জানি না, ওনার বলার বা সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন অথরিটি নেই। তার বক্তব্য দলের বক্তব্য নয় ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় প্রয়াত দলের চেয়ারম্যান এরশাদের পল্লী নিবাস বাস ভবনের চত্বরে অবস্থিত এরশাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা রওশন এরশাদকে সম্মানী ব্যক্তি হিসেবে দলের পৃষ্টপোষক রেখেছি। ওনার দলে কোন নির্বাহী বা নীতি নির্ধারণী বক্তব্য রাখার কোন ক্ষমতা নেই। উনি আমাদের দলের ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারেন আমরা তার কথা মানতে পারি নাও মানতে পারি। এ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি বলেন দলের প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের নীতি নির্ধারণী ব্যাপারে যেকোন বক্তব্য দেবেন দলের চেয়ারম্যান অথবা মহাসচিব। উনি যা বলেছেন ওটা দলের বক্তব্য নয় তার ব্যক্তিগত অভিমত। জিএম কাদের বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারও চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকা কালে একেবারে নিম্নতম পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। জিনিসপত্রের দাম কেন বেড়েছে সেটা জনগণ জানতো। তখন জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ার দরকার তখন বেড়েছে, আবার কমার দরকার তখন কমেছে। তখন সাধারণ মানুষের আস্থা ছিল এখন নানা অজুহাত দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণহীন করা হয়েছে। এমনকি দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। বিশ^ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক কমলেও আমাদের দেশে কমছে না। এখন বিশ^বাজারের চেয়ে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক অনেক বেশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী কর্তৃক ডিমি, আলু আর পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, তার ঘোষণার পর দাম কমেনি বরং আরও বেড়েছে। আর ডিমান্ড এবং সাপ্লাই এ দুটি বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কোন লাভ হবে না। ফলে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন কোন দিনই হবে না বলে জানান তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি কী করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৩শ’ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু ভবিষতে কি করবো তা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা অস্থিতিশীল আছে সব কিছু দেখে বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, এখনও সব রাজনৈতিক দল অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সরকারের বিপক্ষ আর এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কোন পক্ষ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে আমরা জানি না। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না সে নিয়েও জনগণের মাঝে সংশয় আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই নিজেদের অবস্থানে শক্তভাবে আছেন শেষ পর্যন্ত কে নড়বেন কে থাকবেন বলা মুশকিল বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সরাসরি রংপুরে দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের কবর জেয়ারত করতে আসেন। তিনি এরশাদের কবর জেয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মহানগর জাপা সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক দলের নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২ আশ্বিন ১৪৩০, ৩০ সফর ১৪৪৫
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়া নির্বাচন করা প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই। উনি কেন বলেছেন জানি না, ওনার বলার বা সিদ্ধান্ত দেয়ার কোন অথরিটি নেই। তার বক্তব্য দলের বক্তব্য নয় ব্যক্তিগত বক্তব্য। তিনি গতকাল দুপুরে রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় প্রয়াত দলের চেয়ারম্যান এরশাদের পল্লী নিবাস বাস ভবনের চত্বরে অবস্থিত এরশাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা রওশন এরশাদকে সম্মানী ব্যক্তি হিসেবে দলের পৃষ্টপোষক রেখেছি। ওনার দলে কোন নির্বাহী বা নীতি নির্ধারণী বক্তব্য রাখার কোন ক্ষমতা নেই। উনি আমাদের দলের ব্যাপারে কোন কথা বলতে পারেন আমরা তার কথা মানতে পারি নাও মানতে পারি। এ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি বলেন দলের প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের নীতি নির্ধারণী ব্যাপারে যেকোন বক্তব্য দেবেন দলের চেয়ারম্যান অথবা মহাসচিব। উনি যা বলেছেন ওটা দলের বক্তব্য নয় তার ব্যক্তিগত অভিমত। জিএম কাদের বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারও চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকা কালে একেবারে নিম্নতম পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। জিনিসপত্রের দাম কেন বেড়েছে সেটা জনগণ জানতো। তখন জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ার দরকার তখন বেড়েছে, আবার কমার দরকার তখন কমেছে। তখন সাধারণ মানুষের আস্থা ছিল এখন নানা অজুহাত দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণহীন করা হয়েছে। এমনকি দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি। বিশ^ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক কমলেও আমাদের দেশে কমছে না। এখন বিশ^বাজারের চেয়ে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক অনেক বেশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী কর্তৃক ডিমি, আলু আর পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, তার ঘোষণার পর দাম কমেনি বরং আরও বেড়েছে। আর ডিমান্ড এবং সাপ্লাই এ দুটি বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কোন লাভ হবে না। ফলে বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন কোন দিনই হবে না বলে জানান তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি কী করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে জিএম কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৩শ’ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু ভবিষতে কি করবো তা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা অস্থিতিশীল আছে সব কিছু দেখে বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, এখনও সব রাজনৈতিক দল অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সরকারের বিপক্ষ আর এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কোন পক্ষ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে আমরা জানি না। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে কি না সে নিয়েও জনগণের মাঝে সংশয় আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই নিজেদের অবস্থানে শক্তভাবে আছেন শেষ পর্যন্ত কে নড়বেন কে থাকবেন বলা মুশকিল বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে সরাসরি রংপুরে দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের কবর জেয়ারত করতে আসেন। তিনি এরশাদের কবর জেয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন। এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মহানগর জাপা সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকসহ বিপুল সংখ্যক দলের নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।