চাঁদপুরে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম বেশি, নেই তদারকি

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুরের বড়ষ্টেশন মাছঘাটে চলছে ইলিশ বেচাকেনার ধুম। মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো। পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা ক্রেতা ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালী, হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল থেকে ট্রলার এবং সড়ক পথে ট্রাকে করে ইলিশ আসছে চাঁদপুর ঘাটে।

বেশ কিছু সময় ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, মাছঘাট সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদী দিয়ে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা ইলিশ আড়তে এনে স্তুপ করছে। এরপর হাঁক ডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আবার কিছু ইলিশ রপ্তানি করার জন্য বাক্স ভর্তি করছেন শ্রমিকরা। আবার খুচরা কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা গেছে, এই মাছঘাটে প্রায় ৫০টিরও অধিক মৎস্য আড়ৎ আছে। এছাড়া ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়ার কারণে খুচরা বিক্রেতা আছে আরো কমপক্ষে ৫০জন। অনলাইনেও অনেকে ইলিশ বিক্রি করেন। তবে বেশ কয়েকজন খুচরা ইলিশ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে দামের বেশ তারতম্য পাওয়া গেছে। একই ইলিশ প্রতিকেজি ২০০-৩০০টাকা কম-বেশি দরে বিক্রি করছেন। জেলা সদরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযান থাকলেও মাছঘাটে কোন অভিযান নেই। এখানকার ব্যবসায়ীরাই তাদের মাছের দাম নির্ধারণ করেন।ভাদ্র মাস শেষের দিকে। তাই এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এই মৌসুম। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসছে বড় বড় সাইজের ইলিশ। একই সঙ্গে আড়তগুলো বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। ক্রেতাসাধারণ বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার তদাররিক না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত ইলিশের দাম নির্ধারণ করছেন। এ সময় চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনে রেল স্টেশনের পাশে দেখাগেলো বহু গাড়ী পার্কিং করে রাখা হয়েছে। নারী-পুরুষ অনেকেই শুধুমাত্র চাঁদপুরের ইলিশ নিজে দেখে পছন্দ করে কেনার জন্য এসেছেন।

ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে ইলিশ কিনতে এসেছেন রনি সাহা এ সময় তিনি বলেন, ৬শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে প্রতি কেজি ৭৮০টাকা। পেকিং খরচসহ ৮শ’ টাকা পড়েছে প্রতি কেজি। তবে আগের চাইতে দাম বেশি।একই সঙ্গে ইলিশ কিনতে আসা আলমগীর বাবু বলেন, ঢাকায় থেকে শুনেছি চাঁদপুরে ইলিশের দাম কম। কিন্তু এখানে এসে দেখি ঢাকার চাইতে বেশি দাম। তারপরেও কিনেছি। খেয়ে বুঝতে পারব, চাঁদপুরের নাকি সাগরের ইলিশ।

লঞ্চে করে ঢাকা থেকে চাঁদপুর ইলিশ কিনতে এবং ঘুরতে এসেছেন বেশ কয়েকজন যুবক যুবতী। এর মধ্যে কাকলী চক্রবর্তী নামে একজন জানান, ইলিশ নিয়ে চাঁদপুর ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে । ইলিশের কারণে চাঁদপুর দেশ ও বিদেশে পরিচিত। তাই ইলিশের আসল স্বাদ নেয়ার জন্য এসেছি। দাম ভাল হলে আশা করি ইলিশ কিনতে পারবো। এ সময় বিভিন্ন এলাকার ট্রলার মালিক ও মাঝিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এবার নদীতে চাহিদামতো মাছের দেখা মেলেনি। যে মাছ পেয়েছেন তাতে খরচের টাকা ওঠেনি। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। আরও কথা হয় বাজারে আসা কয়েক জন ইলিশ ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, বাড়ি থেকে ইলিশ কেনার নিয়তে আসলেও বাজারে ইলিশ কম থাকায় দাম খুবই চড়া।মাছঘাটের পাইকারী ও খুচরা ইলিশ বিক্রেতা ফয়সাল মাল বলেন, গত এক সপ্তাহে ইলিশের দাম কিছুটা কমছিল। ইলিশ আজকে আমদানি কিছুটা কম হয়েছে। যার কারণে প্রতিমণ ইলিশ ৫-৭ হাজার টাকা দাম বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল এক কেজি ওজনের ইলিশ ছিল ১৩০০ থেকে ১৩৫০টাকা। আজকে ১৪০০ থেকে সাড়ে ১৪শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১৭০০ থেকে ১৮০০টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত বলেন, দৈনিক গড় আমদানি চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার ইলিশ মাত্র ২০%। আর দাম চড়া হওয়ায় আড়তগুলোতে নামার ইলিশের জন্যই এই কর্মতৎপরতা বেড়েছে। তবে বড় সাইজের ইলিশ সবসময় হয়না বলে ছোট সাইজের ইলিশ কিনেই ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হচ্ছে। আমাদের চাঁদপুরে সাগরের ইলিশ আসে না। হাতিয়া, রামগতি ও আলেকজেন্ডার থেকে ইলিশ আসে। সাইজ অনুসারে দাম কম বেশি হয়। প্রতিদিনই ইলিশের দাম উঠানামা করে। গত একসপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত মূল্যে ইলিশ বিক্রি না করা। ইলিশের ক্রয় ভাউচার সংগ্রহ রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন। কিন্তু এরপর বাজার তদারকি কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। সিন্ডিকেট করে ইলিশ মাছের দাম বাড়ানো হয়েছে এর ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নেই বলে তিনি জানান। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদারকি অভিযান হয়নি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম থাকবে। তবে তখন মা ইলিশ রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞাও আসবে। ইলিশের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন প্রকার তথ্য নেই, আর ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কাজ আমাদের না।

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩ আশ্বিন ১৪৩০, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

চাঁদপুরে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম বেশি, নেই তদারকি

প্রতিনিধি, চাঁদপুর

image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুরের বড়ষ্টেশন মাছঘাটে চলছে ইলিশ বেচাকেনার ধুম। মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে আড়ৎগুলো। পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা ক্রেতা ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দক্ষিণাঞ্চলের নোয়াখালী, হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল থেকে ট্রলার এবং সড়ক পথে ট্রাকে করে ইলিশ আসছে চাঁদপুর ঘাটে।

বেশ কিছু সময় ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, মাছঘাট সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদী দিয়ে আসা ট্রলারগুলো থেকে শ্রমিকরা ইলিশ আড়তে এনে স্তুপ করছে। এরপর হাঁক ডাক দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আবার কিছু ইলিশ রপ্তানি করার জন্য বাক্স ভর্তি করছেন শ্রমিকরা। আবার খুচরা কেনার জন্য স্থানীয় ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।

জানা গেছে, এই মাছঘাটে প্রায় ৫০টিরও অধিক মৎস্য আড়ৎ আছে। এছাড়া ইলিশের ভরা মৌসুম হওয়ার কারণে খুচরা বিক্রেতা আছে আরো কমপক্ষে ৫০জন। অনলাইনেও অনেকে ইলিশ বিক্রি করেন। তবে বেশ কয়েকজন খুচরা ইলিশ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে দামের বেশ তারতম্য পাওয়া গেছে। একই ইলিশ প্রতিকেজি ২০০-৩০০টাকা কম-বেশি দরে বিক্রি করছেন। জেলা সদরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযান থাকলেও মাছঘাটে কোন অভিযান নেই। এখানকার ব্যবসায়ীরাই তাদের মাছের দাম নির্ধারণ করেন।ভাদ্র মাস শেষের দিকে। তাই এখন চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এই মৌসুম। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসছে বড় বড় সাইজের ইলিশ। একই সঙ্গে আড়তগুলো বেড়েছে ক্রেতার সংখ্যা। ক্রেতাসাধারণ বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বাজার তদাররিক না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমত ইলিশের দাম নির্ধারণ করছেন। এ সময় চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনে রেল স্টেশনের পাশে দেখাগেলো বহু গাড়ী পার্কিং করে রাখা হয়েছে। নারী-পুরুষ অনেকেই শুধুমাত্র চাঁদপুরের ইলিশ নিজে দেখে পছন্দ করে কেনার জন্য এসেছেন।

ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে ইলিশ কিনতে এসেছেন রনি সাহা এ সময় তিনি বলেন, ৬শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ কিনেছি। দাম নিয়েছে প্রতি কেজি ৭৮০টাকা। পেকিং খরচসহ ৮শ’ টাকা পড়েছে প্রতি কেজি। তবে আগের চাইতে দাম বেশি।একই সঙ্গে ইলিশ কিনতে আসা আলমগীর বাবু বলেন, ঢাকায় থেকে শুনেছি চাঁদপুরে ইলিশের দাম কম। কিন্তু এখানে এসে দেখি ঢাকার চাইতে বেশি দাম। তারপরেও কিনেছি। খেয়ে বুঝতে পারব, চাঁদপুরের নাকি সাগরের ইলিশ।

লঞ্চে করে ঢাকা থেকে চাঁদপুর ইলিশ কিনতে এবং ঘুরতে এসেছেন বেশ কয়েকজন যুবক যুবতী। এর মধ্যে কাকলী চক্রবর্তী নামে একজন জানান, ইলিশ নিয়ে চাঁদপুর ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে । ইলিশের কারণে চাঁদপুর দেশ ও বিদেশে পরিচিত। তাই ইলিশের আসল স্বাদ নেয়ার জন্য এসেছি। দাম ভাল হলে আশা করি ইলিশ কিনতে পারবো। এ সময় বিভিন্ন এলাকার ট্রলার মালিক ও মাঝিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এবার নদীতে চাহিদামতো মাছের দেখা মেলেনি। যে মাছ পেয়েছেন তাতে খরচের টাকা ওঠেনি। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। আরও কথা হয় বাজারে আসা কয়েক জন ইলিশ ক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, বাড়ি থেকে ইলিশ কেনার নিয়তে আসলেও বাজারে ইলিশ কম থাকায় দাম খুবই চড়া।মাছঘাটের পাইকারী ও খুচরা ইলিশ বিক্রেতা ফয়সাল মাল বলেন, গত এক সপ্তাহে ইলিশের দাম কিছুটা কমছিল। ইলিশ আজকে আমদানি কিছুটা কম হয়েছে। যার কারণে প্রতিমণ ইলিশ ৫-৭ হাজার টাকা দাম বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল এক কেজি ওজনের ইলিশ ছিল ১৩০০ থেকে ১৩৫০টাকা। আজকে ১৪০০ থেকে সাড়ে ১৪শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১৭০০ থেকে ১৮০০টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত বলেন, দৈনিক গড় আমদানি চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার ইলিশ মাত্র ২০%। আর দাম চড়া হওয়ায় আড়তগুলোতে নামার ইলিশের জন্যই এই কর্মতৎপরতা বেড়েছে। তবে বড় সাইজের ইলিশ সবসময় হয়না বলে ছোট সাইজের ইলিশ কিনেই ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হচ্ছে। আমাদের চাঁদপুরে সাগরের ইলিশ আসে না। হাতিয়া, রামগতি ও আলেকজেন্ডার থেকে ইলিশ আসে। সাইজ অনুসারে দাম কম বেশি হয়। প্রতিদিনই ইলিশের দাম উঠানামা করে। গত একসপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত মূল্যে ইলিশ বিক্রি না করা। ইলিশের ক্রয় ভাউচার সংগ্রহ রাখা ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন। কিন্তু এরপর বাজার তদারকি কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। সিন্ডিকেট করে ইলিশ মাছের দাম বাড়ানো হয়েছে এর ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নেই বলে তিনি জানান। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদারকি অভিযান হয়নি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম থাকবে। তবে তখন মা ইলিশ রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞাও আসবে। ইলিশের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন প্রকার তথ্য নেই, আর ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণ করার কাজ আমাদের না।