তিন পণ্যে বেঁধে দেয়া দাম

তৃতীয় দিনেও প্রভাব পড়েনি বাজারে

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ডিম, আলু ও পেঁয়াজ। তৃতীয় দিনেও প্রভাব পড়েনি বাজারে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্য তিনটি। বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে নির্ধারিত দামের পণ্য সঠিক দামে কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ী বলছেন, বেঁধে দেয়া দামের নিদের্শনা এখনও হাতে পাইনি। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার, অলি-গলির বেশকিছু দোকান ও বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্রই পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক হালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। পাশাপাশি দেশি হাঁস-মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, কেজি ৮০ থেকে ৯৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা আর আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায়।

রাজধানীর পল্টন এলাকার অলি-গলি ফুটপাতে ভ্যানে করে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সবজি বিক্রি করেন কাওসার মিয়া। ডিম ও আলুর দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে জানান, ‘ডিম হালি ৫৪ টাকা, ডজন ১৬০ টাকা আর আলু বিক্রি করছে কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।’

ডিম, পেঁয়াজ, আলুর দাম তো বেঁধে দিয়েছে, বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের টাকা দিয়ে মানুষ ব্যবসা করে নাকি? আমরা তো প্রতিদিন মাল (পণ্য) কিনি। কম কিনতে না পাইলে কম বেচমু কেমনে। আমরা যেমন কিনি তেমন বেচি।’

শান্তিনগর কাঁচাবাজার থেকে ডিম কিনে অন্য পণ্য কেনার জন্য বাজারে হাঁটছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শাহনাজ পারভিন। ডিমের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আরে ভাই ডিমের দাম শুনে কি করবেন? ডিম নিলাম দেড়শ’ টাকা ডজন।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সিন্ডিকেটের শেষ আছে, দুই নম্বরের শেষ আছে? সরকার তো কিছু করতে পারছে না। আমাদের মতো কি করবে। যারা সিন্ডিকেট করছে মজুদ করছে তাদেরকে ধরতে না পারলে দাম কখনো কমবে না?’

ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী ইলিয়াস মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘ডিমের হালি বিক্রি করছি ৫০ টাকা আর ডজন ১৫০ টাকা।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আজকে (গতকাল) তেজগাঁও সমিতিতে ডিম কিনতে পড়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা করে। এরপর ভ্যান ভাড়া দিয়ে নিয়ে আসতে হয়। আসতে আবার কিছু ডিম ভেঙে যায়, কিছু পচা ডিম থাকে। আমরা সমিতিতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে বললে তারা বলেন, নিলে নেন না নিলে না নেন। তাড়াতাড়ি কন রিসিট কাটবো কি না। সরকারের বাইরে ক্ষমতা কারো নেই। যারা আইন বানায় দেশ চালায় সমাজ চালায় তারাই দেশটা উল্ট দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

আলু, পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৮৫ টাকা থেকে ৯৫ টাকা।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশি পেঁয়াজ কিনতে পড়েছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। আমরা কম দামে কিনতে না পারলে নির্ধারিত দামি বেচমু কেমনে।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের মাল আমরা এখনো হাত পাইনি। কমদামের মাল হাতে পেলে কম দামে বিক্রি করবো করব।’

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৫০ থেকে ৫২ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আর আলুর কেজি ৪৩ থেকে ৫০ টাকা দেখানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেন। তাতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত শুক্রবার রংপুরে টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায়, তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটা দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে।’

তার কয়েকদিন আগে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে।’

বিপিআইসিসির তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত ডিমের উৎপাদন দিনে ৪ কোটির ওপরে থাকে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে তা আরেকটু বেশি। আবহাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ডিমের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। বড় খামার পর্যায়ে এখন ডিমের উৎপাদন দিনে ৬০ লাখের মতো। আর ছোট খামারি পর্যায়ে ৩ কোটি ৩৩ লাখ।

সব মিলিয়ে ডিমের উৎপাদন এখন ৪ কোটির নিচে। কিন্তু বাজারে চাহিদা বেশি। একই সঙ্গে মাছ ও মাংসের চড়া দামের কারণে সাধারণ মানুষ ডিমের প্রতি ঝুঁকছে।

এর আগে ডিমের বাজারের সার্বিক বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে ধরেবেঁধে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩ আশ্বিন ১৪৩০, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

তিন পণ্যে বেঁধে দেয়া দাম

তৃতীয় দিনেও প্রভাব পড়েনি বাজারে

আমিরুল মোমিনিন সাগর

image

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ডিম, আলু ও পেঁয়াজ। তৃতীয় দিনেও প্রভাব পড়েনি বাজারে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্য তিনটি। বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে নির্ধারিত দামের পণ্য সঠিক দামে কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ী বলছেন, বেঁধে দেয়া দামের নিদের্শনা এখনও হাতে পাইনি। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার, অলি-গলির বেশকিছু দোকান ও বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চিত্রই পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক হালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। পাশাপাশি দেশি হাঁস-মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এছাড়া আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, কেজি ৮০ থেকে ৯৫ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা আর আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায়।

রাজধানীর পল্টন এলাকার অলি-গলি ফুটপাতে ভ্যানে করে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সবজি বিক্রি করেন কাওসার মিয়া। ডিম ও আলুর দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে জানান, ‘ডিম হালি ৫৪ টাকা, ডজন ১৬০ টাকা আর আলু বিক্রি করছে কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।’

ডিম, পেঁয়াজ, আলুর দাম তো বেঁধে দিয়েছে, বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের টাকা দিয়ে মানুষ ব্যবসা করে নাকি? আমরা তো প্রতিদিন মাল (পণ্য) কিনি। কম কিনতে না পাইলে কম বেচমু কেমনে। আমরা যেমন কিনি তেমন বেচি।’

শান্তিনগর কাঁচাবাজার থেকে ডিম কিনে অন্য পণ্য কেনার জন্য বাজারে হাঁটছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শাহনাজ পারভিন। ডিমের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আরে ভাই ডিমের দাম শুনে কি করবেন? ডিম নিলাম দেড়শ’ টাকা ডজন।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সিন্ডিকেটের শেষ আছে, দুই নম্বরের শেষ আছে? সরকার তো কিছু করতে পারছে না। আমাদের মতো কি করবে। যারা সিন্ডিকেট করছে মজুদ করছে তাদেরকে ধরতে না পারলে দাম কখনো কমবে না?’

ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী ইলিয়াস মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘ডিমের হালি বিক্রি করছি ৫০ টাকা আর ডজন ১৫০ টাকা।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আজকে (গতকাল) তেজগাঁও সমিতিতে ডিম কিনতে পড়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা করে। এরপর ভ্যান ভাড়া দিয়ে নিয়ে আসতে হয়। আসতে আবার কিছু ডিম ভেঙে যায়, কিছু পচা ডিম থাকে। আমরা সমিতিতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে বললে তারা বলেন, নিলে নেন না নিলে না নেন। তাড়াতাড়ি কন রিসিট কাটবো কি না। সরকারের বাইরে ক্ষমতা কারো নেই। যারা আইন বানায় দেশ চালায় সমাজ চালায় তারাই দেশটা উল্ট দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

আলু, পেঁয়াজের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি কেজি ৮৫ টাকা থেকে ৯৫ টাকা।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশি পেঁয়াজ কিনতে পড়েছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। আমরা কম দামে কিনতে না পারলে নির্ধারিত দামি বেচমু কেমনে।’

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করছেন না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সোহাগ বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের মাল আমরা এখনো হাত পাইনি। কমদামের মাল হাতে পেলে কম দামে বিক্রি করবো করব।’

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৫০ থেকে ৫২ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আর আলুর কেজি ৪৩ থেকে ৫০ টাকা দেখানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেন। তাতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত শুক্রবার রংপুরে টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত ডিম ও আলুর দাম নির্ধারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন যে পণ্যের মজুদ কমে যায়, তখন সেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সরকার। সেটা দেশি বা বিদেশি পণ্য হতে পারে।’

তার কয়েকদিন আগে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়োচিত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে।’

বিপিআইসিসির তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত ডিমের উৎপাদন দিনে ৪ কোটির ওপরে থাকে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসেবে তা আরেকটু বেশি। আবহাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ডিমের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। বড় খামার পর্যায়ে এখন ডিমের উৎপাদন দিনে ৬০ লাখের মতো। আর ছোট খামারি পর্যায়ে ৩ কোটি ৩৩ লাখ।

সব মিলিয়ে ডিমের উৎপাদন এখন ৪ কোটির নিচে। কিন্তু বাজারে চাহিদা বেশি। একই সঙ্গে মাছ ও মাংসের চড়া দামের কারণে সাধারণ মানুষ ডিমের প্রতি ঝুঁকছে।

এর আগে ডিমের বাজারের সার্বিক বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে ধরেবেঁধে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’