আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভুল করবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনদিন ষড়যন্ত্র বা পাওয়ারে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র জনগণকে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের পাশে জনগণ আছে এবং থাকবে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভুল করবে না। আবারও এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি সারাবিশ্বের নন্দিত নেতা। সারাবিশ্বের যেখানেই যাই সেখানে তার প্রশংসা। যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আর থামবে না।

কোভিড সংকট মোকাবিলায় সফল হওয়ায় তাকে বিশ্বে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ বলা হয় বলে মন্তব্য করেন সরকারের এই মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার কথা শুনতে চায়, তার উন্নয়নের কথা শুনতে চায়। জনগণ বলছেন, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। কারণ এদেশের মানুষ নৃশংসতা, জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে, জঙ্গির উত্থান দেখেছে। আগে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদার জন্য টেলিফোন আসতো, এখন আসে না। এইটার জন্য বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতা-সম্পন্ন নেতা লাগে। তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের ‘নায়কদের’ মরণোত্তর বিচারের দাবি যথার্থ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। পুরো সময়টাতে শহরের প্রধান এই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সড়ক ছাড়লে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরে শহর।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য। সাদা পোশাকেও ছিল গোয়েন্দা নজরদারি।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩ আশ্বিন ১৪৩০, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভুল করবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনদিন ষড়যন্ত্র বা পাওয়ারে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র জনগণকে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের পাশে জনগণ আছে এবং থাকবে। আগামী নির্বাচনেও জনগণ ভুল করবে না। আবারও এদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

গত শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি সারাবিশ্বের নন্দিত নেতা। সারাবিশ্বের যেখানেই যাই সেখানে তার প্রশংসা। যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, আর থামবে না।

কোভিড সংকট মোকাবিলায় সফল হওয়ায় তাকে বিশ্বে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ বলা হয় বলে মন্তব্য করেন সরকারের এই মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার কথা শুনতে চায়, তার উন্নয়নের কথা শুনতে চায়। জনগণ বলছেন, শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। কারণ এদেশের মানুষ নৃশংসতা, জ্বালাও-পোড়াও দেখেছে, জঙ্গির উত্থান দেখেছে। আগে ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদার জন্য টেলিফোন আসতো, এখন আসে না। এইটার জন্য বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতা-সম্পন্ন নেতা লাগে। তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের ‘নায়কদের’ মরণোত্তর বিচারের দাবি যথার্থ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে এই সমাবেশ। পুরো সময়টাতে শহরের প্রধান এই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সড়ক ছাড়লে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরে শহর।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য। সাদা পোশাকেও ছিল গোয়েন্দা নজরদারি।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।