আবারও ভোট চুরির পাঁয়তারা, অভিযোগ বিএনপির

সরকারের পদত্যাগে ‘একদফা’ দাবিতে গতকাল রাজশাহীতে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ করে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এদিন বগুড়া থেকে শুরু হয়ে ‘রোডমার্চ’টি রাজশাহী পর্যন্ত প্রায় ১২৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

এরআগে গত শনিবার তারুণ্যের প্রথম ‘রোডমাচর্’ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দ্বিতীয়দিনের রাজশাহী বিভাগীয় ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি উপলক্ষে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। সমাবেশে প্রধান হিসেবে বক্তব্যে দেন বএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। ২০১৪ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না। গোটা বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি।’

আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ দাবি করে তিনি বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, লবণ—প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলে কথা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন চালের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মা–বোনেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পাতে ডিম দিতে পারে না। তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম তিন থেকে চার দফা বেড়েছে। সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই। সরকার বলে, দাম তো ফিক্সড করে দিয়েছি। ফিক্সড করলে কি দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো যায়?’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। ভোটচোরদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভোটচোর কারা, তাদের চিনে রাখতে হবে। চোরদের মধ্যে আছে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা, প্রশাসনের তোষামুদে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, লুটেরারা, বিচার বিভাগের একটি অংশের লোকজন। এদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। এদের ওপর চোখ রাখতে হবে। জেলায় জেলায় তালিকা করতে হবে।’

সমাবেশে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি, বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রাজশাহীর উদ্দেশে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর যাত্রা শুরু করে। ‘রোডমার্চে’ বগুড়া ছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন। বগুড়ার রোডমার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে আদমদীঘি, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের রোডমার্চ শেষ হয়।

সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪ আশ্বিন ১৪৩০, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আবারও ভোট চুরির পাঁয়তারা, অভিযোগ বিএনপির

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারের পদত্যাগে ‘একদফা’ দাবিতে গতকাল রাজশাহীতে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ করে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এদিন বগুড়া থেকে শুরু হয়ে ‘রোডমার্চ’টি রাজশাহী পর্যন্ত প্রায় ১২৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।

এরআগে গত শনিবার তারুণ্যের প্রথম ‘রোডমাচর্’ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দ্বিতীয়দিনের রাজশাহী বিভাগীয় ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি উপলক্ষে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি, কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। সমাবেশে প্রধান হিসেবে বক্তব্যে দেন বএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। ২০১৪ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০১৮ সালে ভোট চুরি করেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না। গোটা বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি।’

আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ দাবি করে তিনি বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, লবণ—প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলে কথা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন চালের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মা–বোনেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পাতে ডিম দিতে পারে না। তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম তিন থেকে চার দফা বেড়েছে। সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই। সরকার বলে, দাম তো ফিক্সড করে দিয়েছি। ফিক্সড করলে কি দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো যায়?’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে। ভোটচোরদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে। ভোটচোর কারা, তাদের চিনে রাখতে হবে। চোরদের মধ্যে আছে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা, প্রশাসনের তোষামুদে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, লুটেরারা, বিচার বিভাগের একটি অংশের লোকজন। এদের কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। এদের ওপর চোখ রাখতে হবে। জেলায় জেলায় তালিকা করতে হবে।’

সমাবেশে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি, বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রাজশাহীর উদ্দেশে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর যাত্রা শুরু করে। ‘রোডমার্চে’ বগুড়া ছাড়াও রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন। বগুড়ার রোডমার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে আদমদীঘি, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের রোডমার্চ শেষ হয়।