আজ আশ্বিন মাসের ৩ তারিখ। চলছে শরৎকাল। প্রকৃতির ভারসাম্যহীনআচরণে ঋতুর পরিবর্তনকে আমরা ঠিকমত ধরতে পারি না, কখন কোন মাস আসে আর কখন যায় শহরে বসে তা বুঝা কঠিন। সাধারণভাবে ভাদ্র শেষে আশ্বিনের আগমনে প্রকৃতি শুভ্রতায় ছেয়ে যায়। আশ্বিন মাসে গরম কমে আবহাওয়া একটা নরম ভাব থাকার কথা থাকলেও গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। ভাদ্রের তালপাকা গরম এখনও রয়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
গতকাল ঢাকাসহ দেশের ১২ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়া আজও থাকার কথা। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ থেকে বৃষ্টি হওয়ার কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। এতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস অনুযায়ী ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে কিছু জায়গা থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, তাপপ্রবাহ দুই দিনের মধ্যে দূর হতে পারে।
গতকাল সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া সারাদেশ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে শুধু ভোলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়।
তিন দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপ হয়ে ভারতের পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও এর কাছাকাছি এলাকায় আছে। মৌসুমি বায়ুর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এখনকার প্রচণ্ড গরমের একটি কারণ বৃষ্টি না থাকা বা একেবারেই কম থাকা। আবহাওয়া অফিস প্রতিদিন ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেখা গেছে, ৪৪টির মধ্যে মাত্র ৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সময়ই আবহাওয়াবিদেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশের উপকূলে সামান্য বৃষ্টি হলেও সারাদেশে এর কোন প্রভাব পড়বে না। বরং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম বাড়তে পারে। বাস্তবে হয়েছেও তা-ই। তবে লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন তারা।
সে অনুযায়ী আজ থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির। তিনি বলেন, কাল থেকে ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, আজ থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় হাতিয়ায় ২৭ মিলিমিটার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে গতকাল তিনি জানান, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে আজ ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামীকাল সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪ আশ্বিন ১৪৩০, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আজ আশ্বিন মাসের ৩ তারিখ। চলছে শরৎকাল। প্রকৃতির ভারসাম্যহীনআচরণে ঋতুর পরিবর্তনকে আমরা ঠিকমত ধরতে পারি না, কখন কোন মাস আসে আর কখন যায় শহরে বসে তা বুঝা কঠিন। সাধারণভাবে ভাদ্র শেষে আশ্বিনের আগমনে প্রকৃতি শুভ্রতায় ছেয়ে যায়। আশ্বিন মাসে গরম কমে আবহাওয়া একটা নরম ভাব থাকার কথা থাকলেও গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। ভাদ্রের তালপাকা গরম এখনও রয়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
গতকাল ঢাকাসহ দেশের ১২ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এমন আবহাওয়া আজও থাকার কথা। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজ থেকে বৃষ্টি হওয়ার কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। এতে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস অনুযায়ী ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে কিছু জায়গা থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, তাপপ্রবাহ দুই দিনের মধ্যে দূর হতে পারে।
গতকাল সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া সারাদেশ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে শুধু ভোলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়।
তিন দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপ হয়ে ভারতের পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও এর কাছাকাছি এলাকায় আছে। মৌসুমি বায়ুর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এখনকার প্রচণ্ড গরমের একটি কারণ বৃষ্টি না থাকা বা একেবারেই কম থাকা। আবহাওয়া অফিস প্রতিদিন ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেখা গেছে, ৪৪টির মধ্যে মাত্র ৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সময়ই আবহাওয়াবিদেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশের উপকূলে সামান্য বৃষ্টি হলেও সারাদেশে এর কোন প্রভাব পড়বে না। বরং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরম বাড়তে পারে। বাস্তবে হয়েছেও তা-ই। তবে লঘুচাপ চলে যাওয়ার পর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন তারা।
সে অনুযায়ী আজ থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির। তিনি বলেন, কাল থেকে ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, আজ থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় হাতিয়ায় ২৭ মিলিমিটার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে গতকাল তিনি জানান, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানিয়েছে আজ ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আগামীকাল সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।