সর্বজনীন পেনশন : এক মাসে কিস্তি দিয়েছেন ১৩ হাজার গ্রাহক

বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর এক মাসে এর আওতায় এসেছেন ১২ হাজার ৯৭২ জন ব্যক্তি। গত ১৭ আগস্ট এটি চালুর পর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারটি স্কিমে নিবন্ধন করে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন তারা।

তবে নিবন্ধনের দিক দিয়ে হিসাব করলে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে না নিয়ে টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশনে মোট চারটি স্কিমের মধ্যে রয়েছেÑ প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এর মধ্যে প্রগতি স্কিমে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক চাঁদা জমা দিয়েছেন, যার সংখ্যা ৬ হাজার ১৯৪ জন। তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ ৪ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সবচেয়ে কম গ্রাহক প্রবাসী স্কিমে। এই স্কিমে গ্রাহক হয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন। তাদের জমা দেয়া টাকার পরিমাণ ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে চারটি স্কিমে জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ সাত কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেকটি স্কিম একেক শ্রেণীকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। তাই চাঁদার পরিমাণও একেক রকম। প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত। চাঁদা দেয়ার ক্ষেত্রে তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে সুরক্ষা স্কিমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রাহক দেখা গেছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিÑ কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, জেলে, কামার, কুমার, তাঁতী ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়েছেন পাঁচ হাজার ২০ জন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ধরণের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরও প্রচারণার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫ আশ্বিন ১৪৩০, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বজনীন পেনশন : এক মাসে কিস্তি দিয়েছেন ১৩ হাজার গ্রাহক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর এক মাসে এর আওতায় এসেছেন ১২ হাজার ৯৭২ জন ব্যক্তি। গত ১৭ আগস্ট এটি চালুর পর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারটি স্কিমে নিবন্ধন করে কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন তারা।

তবে নিবন্ধনের দিক দিয়ে হিসাব করলে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, আমরা শুধু নিবন্ধনের হিসাব আমলে না নিয়ে টাকা জমা দিয়ে আক্ষরিক অর্থে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের হিসাব নিচ্ছি।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশনে মোট চারটি স্কিমের মধ্যে রয়েছেÑ প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এর মধ্যে প্রগতি স্কিমে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক চাঁদা জমা দিয়েছেন, যার সংখ্যা ৬ হাজার ১৯৪ জন। তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ ৪ কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সবচেয়ে কম গ্রাহক প্রবাসী স্কিমে। এই স্কিমে গ্রাহক হয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন। তাদের জমা দেয়া টাকার পরিমাণ ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে চারটি স্কিমে জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ সাত কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেকটি স্কিম একেক শ্রেণীকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। তাই চাঁদার পরিমাণও একেক রকম। প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত। চাঁদা দেয়ার ক্ষেত্রে তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে সুরক্ষা স্কিমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রাহক দেখা গেছে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিÑ কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, জেলে, কামার, কুমার, তাঁতী ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়েছেন পাঁচ হাজার ২০ জন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ধরণের একটি প্রোগ্রামের জন্য এক মাস বেশি সময় না। যারা যুক্ত হয়েছেন তারা স্বতস্ফূর্ত তাগিদে যুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরও প্রচারণার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, আর একটি বিষয় হচ্ছে, মানুষ স্কিম করার আগে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও হিসাব করছে। মানুষকে সময় দিতে হবে, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা বাড়বে।