রাজধানী ও আশপাশে ১২ সমাবেশ, পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ : বিএনপির নতুন কর্মসূচি

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘এক দফা’ দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। দলটির ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১২দিন কর্মসূচিতে থাকবে দলটি। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ১২টি সমাবেশ করবে। একই সঙ্গে সিলেট, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চলে ৫দিনের রোডমার্চ করবে। নতুন কর্মসূচির মধ্যে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলের কর্মসূচিও রয়েছে।

গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমমনা দলগুলো যেসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব সেগুলোতে অংশগ্রহণ করবে। আর কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে তা রাস্তাই বলে দেবে। মানুষের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। ইতিমধ্যে জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

বিএনপির নতুন কর্মসূচি হলো- ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা অথবা কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ; ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট পথে রোডমার্চ; ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, একই দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া; ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী পথে রোডমার্চ; ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে নয়াবাজার ও ঢাকা জেলা আমিন বাজারে সমাবেশ; ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোডমার্চ, একই দিনে ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন।

এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় জনসমাবেশ; ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ; ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন; ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পথে রোডমার্চ; ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম পথে রোডমার্চ।

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এসব কর্মসূচির পাশাপাশি আইনজীবীদের চলমান কর্মসূচি রাজধানী ও আশপাশে

অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে সেটা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী। সরকার যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়, তাহলে বিএনপি’র কৌশলেরও পরিবর্তন ঘটবে।’

এমন কর্মসূচিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা সম্ভব হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠার আন্দোলন করবে না। বিএনপি’র আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র দাবির পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের ইতোমধ্যেই নৈতিক পরাজয় ঘটে গেছে। সুতরাং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলন করেছিল দলটি। কিন্তু ওই আন্দোলনে ‘সফলতা’ পায়নি তারা। পরবর্তিতে রাজপথে অনেকটা ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে যাওয়া এই দলটি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্তু ওই নির্বাচনে দলটির ‘ভরাডুবি’ হয়। যদিও দলটি অভিযোগ, ওই নির্বাচনে ‘ব্যাপক ভোটচুরি’ হয়েছে, দিনের ভোট ‘রাতে’ হয়েছে। এরপর দীর্ঘ সময় রাজপথের আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় থাকা দলটি গতবছরের শেষ দিকে সক্রিয় হয়। ওই বছর নয়টি বিভাগে সমাবেশের পর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে মহাসমাবেশ করে।

ওই মহাসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এসব দাবির মূল ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও তাদের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করার সরকার সিদ্ধান্ত বাতিল ইত্যাদি। পরবর্তিতে ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ দলটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে’ ২৭ দফা ঘোষণা করে দলটি।

পরবর্তিতে আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবির ডাক দেয় বিএনপি। এর বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ রংপুর ও রাজশাহীতে বিভাগীয় ‘রোডমার্চ’ করে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন। ‘এক দফা’ দাবিতেই ‘অনড়’ বিএনপি এখন দুই সপ্তাহের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫ আশ্বিন ১৪৩০, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

রাজধানী ও আশপাশে ১২ সমাবেশ, পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ : বিএনপির নতুন কর্মসূচি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘এক দফা’ দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দুই সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। দলটির ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১২দিন কর্মসূচিতে থাকবে দলটি। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ১২টি সমাবেশ করবে। একই সঙ্গে সিলেট, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চলে ৫দিনের রোডমার্চ করবে। নতুন কর্মসূচির মধ্যে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলের কর্মসূচিও রয়েছে।

গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমমনা দলগুলো যেসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব সেগুলোতে অংশগ্রহণ করবে। আর কখন আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেবে তা রাস্তাই বলে দেবে। মানুষের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না। ইতিমধ্যে জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

বিএনপির নতুন কর্মসূচি হলো- ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা জেলার জিঞ্জিরা অথবা কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ; ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট পথে রোডমার্চ; ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, একই দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া; ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী পথে রোডমার্চ; ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরে নয়াবাজার ও ঢাকা জেলা আমিন বাজারে সমাবেশ; ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোডমার্চ, একই দিনে ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন।

এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় জনসমাবেশ; ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ; ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন; ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পথে রোডমার্চ; ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম পথে রোডমার্চ।

কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এসব কর্মসূচির পাশাপাশি আইনজীবীদের চলমান কর্মসূচি রাজধানী ও আশপাশে

অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে সেটা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী। সরকার যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়, তাহলে বিএনপি’র কৌশলেরও পরিবর্তন ঘটবে।’

এমন কর্মসূচিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা সম্ভব হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠার আন্দোলন করবে না। বিএনপি’র আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র দাবির পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের ইতোমধ্যেই নৈতিক পরাজয় ঘটে গেছে। সুতরাং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’

প্রায় ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলন করেছিল দলটি। কিন্তু ওই আন্দোলনে ‘সফলতা’ পায়নি তারা। পরবর্তিতে রাজপথে অনেকটা ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে যাওয়া এই দলটি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। কিন্তু ওই নির্বাচনে দলটির ‘ভরাডুবি’ হয়। যদিও দলটি অভিযোগ, ওই নির্বাচনে ‘ব্যাপক ভোটচুরি’ হয়েছে, দিনের ভোট ‘রাতে’ হয়েছে। এরপর দীর্ঘ সময় রাজপথের আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় থাকা দলটি গতবছরের শেষ দিকে সক্রিয় হয়। ওই বছর নয়টি বিভাগে সমাবেশের পর ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগে মহাসমাবেশ করে।

ওই মহাসমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এসব দাবির মূল ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্র্বতীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ও তাদের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করার সরকার সিদ্ধান্ত বাতিল ইত্যাদি। পরবর্তিতে ডিসেম্বরের ২৭ তারিখ দলটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে’ ২৭ দফা ঘোষণা করে দলটি।

পরবর্তিতে আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবির ডাক দেয় বিএনপি। এর বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করে। সর্বশেষ রংপুর ও রাজশাহীতে বিভাগীয় ‘রোডমার্চ’ করে বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন। ‘এক দফা’ দাবিতেই ‘অনড়’ বিএনপি এখন দুই সপ্তাহের নতুন কর্মসূচি দিয়েছে।