ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (এনআইপিএসএম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ১০ গুণ এবং মৃত্যু প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
রাজধানী ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ডেঙ্গু। দেশের সব জেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে এপর্যন্ত মারা গেছেন আট শতাধিক মানুষ। ডেঙ্গু রোগে স্বজন হারানোর করুণগাথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিদিন। রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকে। মানুষের বেড়েছে চিকিৎসা ব্যয়।
ডেঙ্গু কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না সেটা একটা প্রশ্ন। রোগ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান একটি কাজ হচ্ছে এডিস মশা মারা। এ কাজ যাদের করবার কথা তারা সেটা ঠিকমতো করছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। শহর-নগরে মশা নিধনের কার্যক্রমে তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল। কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত নেয় তা কতটা বাস্তবায়ন হয়Ñ সেই প্রশ্ন রয়েছে। বছর দুয়েক আগে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাতে বিস্তৃতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য ১৬টি কাজ নির্ধারণ করা হয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ যাবত কী করেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।
মশা মারার কাজে সাফল্য পেতে হলে এর উৎস ধ্বংস করতে হবে। কেবল ফগার মেশিন দিয়ে মশা তাড়ালে ফল মিলবে না। এডিস মশার লার্ভা কোথায় পাওয়া যায় সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। এডিস মশার লার্ভার মূল উৎস বাসাবাড়িতে নির্মাণাধীন উন্মুক্ত আধার ও পরিষ্কার পানি। এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে মশার বংশবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। লার্ভা মারার ওষুধ ও তা ছিটানোর যন্ত্রের গুণগত মানে কোনো ছাড় দেয়া চলবে না। সারা বছর নিয়মিতভাবে মশা মারার ব্যবস্থাটাকে স্থায়ী চর্চায় পরিণত করা প্রয়োজন। কারণ ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের যে কোনো সময়ই ডেঙ্গু হতে পারে।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫ আশ্বিন ১৪৩০, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (এনআইপিএসএম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ১০ গুণ এবং মৃত্যু প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
রাজধানী ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ডেঙ্গু। দেশের সব জেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি হিসাবে এপর্যন্ত মারা গেছেন আট শতাধিক মানুষ। ডেঙ্গু রোগে স্বজন হারানোর করুণগাথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিদিন। রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকে। মানুষের বেড়েছে চিকিৎসা ব্যয়।
ডেঙ্গু কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না সেটা একটা প্রশ্ন। রোগ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান একটি কাজ হচ্ছে এডিস মশা মারা। এ কাজ যাদের করবার কথা তারা সেটা ঠিকমতো করছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। শহর-নগরে মশা নিধনের কার্যক্রমে তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল। কর্তৃপক্ষ যেসব সিদ্ধান্ত নেয় তা কতটা বাস্তবায়ন হয়Ñ সেই প্রশ্ন রয়েছে। বছর দুয়েক আগে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাতে বিস্তৃতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য ১৬টি কাজ নির্ধারণ করা হয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ যাবত কী করেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।
মশা মারার কাজে সাফল্য পেতে হলে এর উৎস ধ্বংস করতে হবে। কেবল ফগার মেশিন দিয়ে মশা তাড়ালে ফল মিলবে না। এডিস মশার লার্ভা কোথায় পাওয়া যায় সেটা খুঁজে বের করা জরুরি। এডিস মশার লার্ভার মূল উৎস বাসাবাড়িতে নির্মাণাধীন উন্মুক্ত আধার ও পরিষ্কার পানি। এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে মশার বংশবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। লার্ভা মারার ওষুধ ও তা ছিটানোর যন্ত্রের গুণগত মানে কোনো ছাড় দেয়া চলবে না। সারা বছর নিয়মিতভাবে মশা মারার ব্যবস্থাটাকে স্থায়ী চর্চায় পরিণত করা প্রয়োজন। কারণ ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের যে কোনো সময়ই ডেঙ্গু হতে পারে।