প্রথম থেকে নবম শ্রেণী, একবছরে শিক্ষার্থী কমেছে ২৮ লাখ

এক বছরে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে। এ কারণে প্রায় পৌনে তিন কোটি পাঠ্যবইও কম ছাপা হচ্ছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই স্তরে সারাদেশে মোট তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য এবার মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি পাঠ্যবই ছাপছে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (এনসিটিবি)।

রাজধানীর আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সভায় গতকাল পাঠ্যবই ছাপার এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে ওই তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য গত বছর মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়। গত বছর সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ধরা হয়েছিল চার কোটি ১৫ লাখ ৩৮১ জন।

এ হিসেবে এক বছরে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে। এ কারণে প্রায় পৌনে তিন কোটি পাঠ্যবই কম ছাপছে এনসিটিবি।

আগামী বছরের শুরুর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে এবার নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর অন্তত দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এনসিটিবি। দরপত্র আহ্বানের পর নানা জটিলতায় এ কার্যক্রমে কিছুটা পিছিয়েছে।

এরপরও অষ্টম শ্রেণী ছাড়া অন্যান্য শ্রেণীর শতভাগ পাঠ্যবই নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, এবার দেশের ২২টি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ পেয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের মোট ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বইয়ের মধ্যে ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৪ কপি উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ তিন হাজার ৪২৩ কপি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে পাঁচ কোটি ২০ লাখ ছয় হাজার ৪৮৩ কপি বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ পর্যায়ে রয়েছে।

আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর তিন কোটি ৩৬ লাখ এক হাজার ২৭৪ কপি পাঠ্যবইয়ের ছাপার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ২৬৮ কপি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘পুরোদমে বই ছাপার কাজ চলছে। আমরা নভেম্বরের মধ্যেই ৯০ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ৯৩ শতাংশ বই ইতোমধ্যে ছাপা শেষে উপজেলায় পৌঁছে গেছে। বাকি বই ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চলে যাবে।’

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সব বই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ছাপা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত (মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ) প্রাথমিক স্তরে এবার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরা হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ২১১ জন।

আর মাধ্যমিক স্তরে (মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ) এবার মোট এক কোটি ৬৭ লাখ ছয় হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।

মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য মোট ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি বইয়ের মধ্যে এক কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৮ কপি বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ কাজ চলমান রয়েছে।

আর সপ্তম শ্রেণীর চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার বইয়ের মধ্যে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৫ কপি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ের স্কুলে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া অষ্টম শ্রেণীর জন্য এবার মোট পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণীর জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি ছাপা হচ্ছে। এই দুই শ্রেণীর বই ছাপার কাজ সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপার কাজ এখনও শুরু হয়নি।

এনসিটিবির অন্য এক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় এবার মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এরপরও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই স্তরের বই ছাপার কাজ শেষ করার ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দুটি ছাপাখানার মালিক সংবাদকে জানিয়েছেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কাগজ ও এ সংক্রান্ত পণ্যের উচ্চমূল্য এবং বাজারে কাগজ সংকটের কারণে গত বছর পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কাজে কিছুটা দেরি হয়েছিল। এবার এসব সমস্যা ‘খুব একটা’ নেই। এ কারণে এনসিটিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে পাঠ্যবই ছাপা শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী ছাপাখানা মালিকরা।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হবে। এসব বইয়ের পান্ডুলিপি (পাঠ্যক্রম) প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীতে ১৩টি করে বিষয়ের বই পাঠদান হবে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে মোট দশটি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতি শ্রেণীতে মোট বই ১৩টি।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন বছরের শুরুতে সারাদেশের শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতি বছর বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে।

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ , ০৪ কার্তিক ১৪৩০, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৫

প্রথম থেকে নবম শ্রেণী, একবছরে শিক্ষার্থী কমেছে ২৮ লাখ

রাকিব উদ্দিন

এক বছরে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে। এ কারণে প্রায় পৌনে তিন কোটি পাঠ্যবইও কম ছাপা হচ্ছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই স্তরে সারাদেশে মোট তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য এবার মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি পাঠ্যবই ছাপছে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (এনসিটিবি)।

রাজধানীর আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সভায় গতকাল পাঠ্যবই ছাপার এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তা সংবাদকে ওই তথ্য জানিয়েছেন।

চলতি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য গত বছর মোট ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়। গত বছর সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ধরা হয়েছিল চার কোটি ১৫ লাখ ৩৮১ জন।

এ হিসেবে এক বছরে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে। এ কারণে প্রায় পৌনে তিন কোটি পাঠ্যবই কম ছাপছে এনসিটিবি।

আগামী বছরের শুরুর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে এবার নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর অন্তত দুই মাস আগে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল এনসিটিবি। দরপত্র আহ্বানের পর নানা জটিলতায় এ কার্যক্রমে কিছুটা পিছিয়েছে।

এরপরও অষ্টম শ্রেণী ছাড়া অন্যান্য শ্রেণীর শতভাগ পাঠ্যবই নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, এবার দেশের ২২টি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ পেয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের মোট ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮ কপি বইয়ের মধ্যে ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৪ কপি উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রথম, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ তিন হাজার ৪২৩ কপি পাঠ্যবইয়ের মধ্যে পাঁচ কোটি ২০ লাখ ছয় হাজার ৪৮৩ কপি বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ পর্যায়ে রয়েছে।

আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর তিন কোটি ৩৬ লাখ এক হাজার ২৭৪ কপি পাঠ্যবইয়ের ছাপার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) শিশুদের জন্য এবার মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩১ কপি বই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে এক লাখ ৮২ হাজার ২৬৮ কপি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ফরহাদুল ইসলাম গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘পুরোদমে বই ছাপার কাজ চলছে। আমরা নভেম্বরের মধ্যেই ৯০ শতাংশের বেশি পাঠ্যবই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ৯৩ শতাংশ বই ইতোমধ্যে ছাপা শেষে উপজেলায় পৌঁছে গেছে। বাকি বই ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চলে যাবে।’

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর সব বই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ছাপা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত (মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ) প্রাথমিক স্তরে এবার মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরা হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ২১১ জন।

আর মাধ্যমিক স্তরে (মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ) এবার মোট এক কোটি ৬৭ লাখ ছয় হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে।

মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য মোট ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৮ কপি বইয়ের মধ্যে এক কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৮ কপি বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা সরবরাহ কাজ চলমান রয়েছে।

আর সপ্তম শ্রেণীর চার কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার বইয়ের মধ্যে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৫ কপি বই ছাপা শেষে উপজেলা পর্যায়ের স্কুলে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া অষ্টম শ্রেণীর জন্য এবার মোট পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণীর জন্য পাঁচ কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি ছাপা হচ্ছে। এই দুই শ্রেণীর বই ছাপার কাজ সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্য বইয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৫২ কপি ‘ব্রেইল’ বই ছাপার কাজ এখনও শুরু হয়নি।

এনসিটিবির অন্য এক কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় এবার মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এরপরও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই স্তরের বই ছাপার কাজ শেষ করার ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চলছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

দুটি ছাপাখানার মালিক সংবাদকে জানিয়েছেন, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কাগজ ও এ সংক্রান্ত পণ্যের উচ্চমূল্য এবং বাজারে কাগজ সংকটের কারণে গত বছর পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কাজে কিছুটা দেরি হয়েছিল। এবার এসব সমস্যা ‘খুব একটা’ নেই। এ কারণে এনসিটিবির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে পাঠ্যবই ছাপা শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী ছাপাখানা মালিকরা।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হবে। এসব বইয়ের পান্ডুলিপি (পাঠ্যক্রম) প্রণয়নে বিলম্ব হয়েছে বলে এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীতে ১৩টি করে বিষয়ের বই পাঠদান হবে। এর মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে মোট দশটি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতি শ্রেণীতে মোট বই ১৩টি।

২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন বছরের শুরুতে সারাদেশের শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতি বছর বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে।