সাময়িকী কবিতা

জাতিতৃষ্ণা

নির্মলেন্দু গুণ

আপাতত এখানেই কিছুদিন ঘুরেফিরে দেখো,

এর নদীনালা আর গাছপালাগুলো দেখা শেষ হোক-

তারপর পার্শ্ববর্তী মাটি ও মানুষের প্রসঙ্গে ফেরা যাবে।

এখন ঐ প্রাকৃতিক মিলগুলো শুধু খুঁজে নাও। দেখো।

কিছু গাছ, কিছু নদীনালা, কিছু চড়াই-উৎরাই পথ

এ-ঘরের বাইরে থেকে গেল জানি,

তারা রয়েছে ডাকের অপেক্ষায়- আমরা চাইছি তারা

আপাতত বাইরে থাকুক। দিন থাক, পরে দেখা যাবে।

টানাটানির সংসারে কে কাকে ডাকবে?

তবু জানি আছে অভ্যন্তরে জাতিতৃষ্ণা, মধ্যরাতে

অবৈধ সঙ্গম চলে। চেকপোস্টের দৃষ্টি এড়িয়ে

এপারের পথ ছুটে যায়, ওপারের পথ চলে আসে,

ভালোবাসে গোপনে গোপনে।

পায়ে পায়ে পথ আসে, মাটি আসে, মাটির মানুষ আসে।

নদীনালা গাছপালা জল হাওয়া চেনা হলে, একদিন

আমাদের জংধরা বুকের পাঁজরগুলো খুলে যাবে।

এরকম স্বপ্ন আশা নিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকি-

যদি ভিতরে বাহিরে মেলে কোনোদিন।

ধুলোর সংসারে একা

হাসান হাফিজ

স্বপ্ন যদি হতে পারতে

থাকতো পাখা মন্দ্রিত পালক

উড়ে এসে আছড়ে পড়তে

মর্মাহত তৃষিতের বুকে,

স্বপ্নও, রোদেলা বাস্তব

কল্পনার ডানা ভাঙা

ক্ষতস্থানে ডুমো মাছি

শুকনো পুঁজ নিঃসঙ্গ আড়াল

এ জনমে আর কবে

স্বপ্ন হয়ে উঠতে পারবে তুমি!

দুরাশা উচ্চাশা আজ ধুলোয় মলিন

ছিন্নভিন্ন পড়ে আছি অসাড় একেলা!

যে গ্রামে জন্ম

অশোক কর

(বন্ধু মামুন হুসাইনকে ভালবাসাসহ)

যে গ্রামে জন্মেছিলাম সেখানে

হাতির দাঁতের স্তূপ ছিলো, জলে ভেসে যেত কচুরিপানা

কৃষিকাজ করা হৃদয়নাথ ভেসে গেল সে জলে।

নদীর পাড় ধরে হাঁটতাম, কথারা ভেসে যেত জলে

কারো কারো বাক্যবন্ধ

লেজ-ঘুড়ির পাশে উড়তো কেঁপে-কেঁপে।

সময় যাদুমন্ত্রে ধোঁয়া পাকিয়ে-পাকিয়ে

ইটভাঁটার চিমনিতে ঢুকে পড়তো

ধর্ষণের পর গলা টিপে ভাঁটার আগুনে পোড়ানো মেয়েটির

দেহ ঘিরে হাহাকার ছিলো সময়ের একমাত্র কাজ।

গ্রামটা শহর হয়ে যাবার পর

হাতির দাঁতের ‘টি-টেবল’ এখন ঘরে ঘরে

ছাদে দাঁড়িয়ে জলে ভেসে আসা লাশের গল্প শুনি

হৃদয়নাথ ভেসে নিরুদ্দেশই রয়ে গেছে

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জটিল রোগতত্ত্ব মিশিয়ে

ধোঁয়াটে বাক্যবন্ধে বুদ্ধি ধোঁয়াটে করে দিলে বুঝি

ভাটার চিমনীর বদলে

ফায়ারপ্লেস তার ঘরে।

তুমি হয়তো মানুষ না

ইকবাল হোসেন বুলবুল

মানুষগুলো হচ্ছে লাশ

যাচ্ছে তারা কবর কিবা শ্মশানে ,

দেখছো তুমি, ভাবছো বসে দেহটা তো আমার না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

মানুষ হত্যার প্রতিবাদে

খুঁজোছো তোমার ধর্মটারে,

নিজের দলের বাইরে তোমার

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের বিবেকটা তো জাগছে না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

বাড়িঘরে জ্বলছে আগুন

বোমায় বোমায় বসত ভিটে হচ্ছে নাই,

ভাবছো বসে, আছি তো বেশ নিরাপদেই

ঐ দেশটা তো আর আমার না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

আর্তনাদ আর হাহাকারে

জমিন ফাটে আকাশ ফাটে,

বলছো তুমি, জাতি বর্ণে ভিন্ন ওরা

তারা আমার আপন না;

অন্ধ তুমি, ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

আয়নাতে ঐ দেখছো যারে

চেহারা হয়তো যাচ্ছে মিলে

মানুষগুলো দেখতে যেমন;

ভেবেছো কী? দেখতে কেবল মানুষ হলে

মানুষ হওয়া সহজ না।

যখন মন খারাপ থাকে

নুরউদ্দিন সাদেক

মন যখন খারাপ থাকে,

রজনীগন্ধার নরম ডগা

কিংবা গোলাপের পাপড়িকেও

শিম গাছের আগার মতো

ধারালো-সুচালো মনে হয়।

মন খারাপ থাকলে,

প্রিয় চেনা সুরও বড়ই বেসুরা-অসুরা লাগে।

যেমন লাগে মধ্যরাতে ভাত ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়া

বেওয়ারিশ কুকুরের বিরামহীন ঘেউ ঘেউ।

কিংবা খুশির ঢেঁকুর হাঁকিয়ে আওয়াজ তোলা

আমাবস্যায় শিয়ালের হুক্কাহুয়া শব্দ।

মন খারাপ হয়ে গেলে,

অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী ‘মেরিনা বে স্যান্ডাস’কেও

নর্দমার পাশে অযতে্ন গজিয়ে-ওঠা

ব্যাঙের ছাতার মতো মনে হয়।

মন খারাপ থাকলে,

‘আইফেল টাওয়ার’কেও

পাটখড়ি বা হোগলা পাতায় তৈরি

কোনো এক আনাড়ির অনাসৃষ্টি

বাচ্চাদের খেলাঘরের মতো ঠুনকো লাগে।

যখন মন খারাপ থাকে,

‘পেট্রোনাস টাওয়ার’-এর মতো অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীকেও

টবে রক্ষিত বনসাই-ক্যাকটাসের মতো লাগে,

যেমনি লাগে সিডনির অপেরা হাউসকে

পলিথিন দিয়ে মোড়ানো কোনো এক শরণার্থী ক্যাম্প

আবার মন যখন ভালো থাকে, তখন

কোনো এক ভিন দেশে

ছবি প্রদর্শনীর গ্যালারির ফ্রেমে

স্থানীয় বাজার থেকে কিনে আনা

স্কচটেপ দিয়ে আঁটসাঁট করে বাঁধা কাঁচকলাকেও

‘অপূর্ব শিল্পকলা’র তকমায় হর্ষধ্বনি দিয়ে

যখন ওপেন অকশনে ১.২০ লাখ ডলারে বিকায়

“কিয়া বাত কিয়া বাত” বলে

তখন শিল্পের সমঝদার অনুরাগী বনি

মন খারাপের সাইমুম ঝড়ে মন থাকে না মনে,

চারদিকের সকরুণ আর্তি- কে কার কথা শোনে।

তাই বলে ভাই

মন খারাপ করা কি মোটেও বুদ্ধিমানের সাজে,

কারণে অকারণে মন খারাপ যথার্থ কাজ নয়

শনাক্ত করো তাই মন খারাপের বিবিধ কারণ

মনের উপর সৃষ্টি করো কঠোর নিয়ন্ত্রণ তাই।

অনাগত মুখ

লুৎফুন নাহার লোপা

লতাপাতাগুলো বেড়ে উঠছে দ্রুত

প্রচলিত এ ঘটনায় আমি বিস্মিত হচ্ছি খুব,

ভেবে নিচ্ছি তার সাথে নিবিড় সম্পর্ক আমার।

সময়ের টানে ভেসে যাওয়া আলোর বিবৃতি

তার জন্য,

চাইছি অনেক কথা হবে আমাদের

মুখোমুখি।

মেঘ কিংবা পাহাড়ের মতো নৈসর্গিক,

সেদিন আমরা সতন্ত্র হবো যে যার নিশ্বাসে।

ফিরে আসা সময়, পথ ও পথের ব্যবধান,

ব্যবধানে এগিয়ে যাচ্ছে সে,আঁকড়ে ধরছে রোদ,

টের পাই- সেই রোদ বুঝি আমি।

প্রতিরাতে বেড়ে উঠছে যে চাঁদ

আমি তার অপেক্ষায় থাকছি

কেবলই অপেক্ষা-

শীঘ্রই দেখা হবে আমাদের।

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৩০ কার্তিক ১৪৩০, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৫

সাময়িকী কবিতা

জাতিতৃষ্ণা

নির্মলেন্দু গুণ

আপাতত এখানেই কিছুদিন ঘুরেফিরে দেখো,

এর নদীনালা আর গাছপালাগুলো দেখা শেষ হোক-

তারপর পার্শ্ববর্তী মাটি ও মানুষের প্রসঙ্গে ফেরা যাবে।

এখন ঐ প্রাকৃতিক মিলগুলো শুধু খুঁজে নাও। দেখো।

কিছু গাছ, কিছু নদীনালা, কিছু চড়াই-উৎরাই পথ

এ-ঘরের বাইরে থেকে গেল জানি,

তারা রয়েছে ডাকের অপেক্ষায়- আমরা চাইছি তারা

আপাতত বাইরে থাকুক। দিন থাক, পরে দেখা যাবে।

টানাটানির সংসারে কে কাকে ডাকবে?

তবু জানি আছে অভ্যন্তরে জাতিতৃষ্ণা, মধ্যরাতে

অবৈধ সঙ্গম চলে। চেকপোস্টের দৃষ্টি এড়িয়ে

এপারের পথ ছুটে যায়, ওপারের পথ চলে আসে,

ভালোবাসে গোপনে গোপনে।

পায়ে পায়ে পথ আসে, মাটি আসে, মাটির মানুষ আসে।

নদীনালা গাছপালা জল হাওয়া চেনা হলে, একদিন

আমাদের জংধরা বুকের পাঁজরগুলো খুলে যাবে।

এরকম স্বপ্ন আশা নিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকি-

যদি ভিতরে বাহিরে মেলে কোনোদিন।

ধুলোর সংসারে একা

হাসান হাফিজ

স্বপ্ন যদি হতে পারতে

থাকতো পাখা মন্দ্রিত পালক

উড়ে এসে আছড়ে পড়তে

মর্মাহত তৃষিতের বুকে,

স্বপ্নও, রোদেলা বাস্তব

কল্পনার ডানা ভাঙা

ক্ষতস্থানে ডুমো মাছি

শুকনো পুঁজ নিঃসঙ্গ আড়াল

এ জনমে আর কবে

স্বপ্ন হয়ে উঠতে পারবে তুমি!

দুরাশা উচ্চাশা আজ ধুলোয় মলিন

ছিন্নভিন্ন পড়ে আছি অসাড় একেলা!

যে গ্রামে জন্ম

অশোক কর

(বন্ধু মামুন হুসাইনকে ভালবাসাসহ)

যে গ্রামে জন্মেছিলাম সেখানে

হাতির দাঁতের স্তূপ ছিলো, জলে ভেসে যেত কচুরিপানা

কৃষিকাজ করা হৃদয়নাথ ভেসে গেল সে জলে।

নদীর পাড় ধরে হাঁটতাম, কথারা ভেসে যেত জলে

কারো কারো বাক্যবন্ধ

লেজ-ঘুড়ির পাশে উড়তো কেঁপে-কেঁপে।

সময় যাদুমন্ত্রে ধোঁয়া পাকিয়ে-পাকিয়ে

ইটভাঁটার চিমনিতে ঢুকে পড়তো

ধর্ষণের পর গলা টিপে ভাঁটার আগুনে পোড়ানো মেয়েটির

দেহ ঘিরে হাহাকার ছিলো সময়ের একমাত্র কাজ।

গ্রামটা শহর হয়ে যাবার পর

হাতির দাঁতের ‘টি-টেবল’ এখন ঘরে ঘরে

ছাদে দাঁড়িয়ে জলে ভেসে আসা লাশের গল্প শুনি

হৃদয়নাথ ভেসে নিরুদ্দেশই রয়ে গেছে

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জটিল রোগতত্ত্ব মিশিয়ে

ধোঁয়াটে বাক্যবন্ধে বুদ্ধি ধোঁয়াটে করে দিলে বুঝি

ভাটার চিমনীর বদলে

ফায়ারপ্লেস তার ঘরে।

তুমি হয়তো মানুষ না

ইকবাল হোসেন বুলবুল

মানুষগুলো হচ্ছে লাশ

যাচ্ছে তারা কবর কিবা শ্মশানে ,

দেখছো তুমি, ভাবছো বসে দেহটা তো আমার না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

মানুষ হত্যার প্রতিবাদে

খুঁজোছো তোমার ধর্মটারে,

নিজের দলের বাইরে তোমার

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের বিবেকটা তো জাগছে না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

বাড়িঘরে জ্বলছে আগুন

বোমায় বোমায় বসত ভিটে হচ্ছে নাই,

ভাবছো বসে, আছি তো বেশ নিরাপদেই

ঐ দেশটা তো আর আমার না;

ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

আর্তনাদ আর হাহাকারে

জমিন ফাটে আকাশ ফাটে,

বলছো তুমি, জাতি বর্ণে ভিন্ন ওরা

তারা আমার আপন না;

অন্ধ তুমি, ভেবেছো কী

তুমি হয়তো মানুষ না।

আয়নাতে ঐ দেখছো যারে

চেহারা হয়তো যাচ্ছে মিলে

মানুষগুলো দেখতে যেমন;

ভেবেছো কী? দেখতে কেবল মানুষ হলে

মানুষ হওয়া সহজ না।

যখন মন খারাপ থাকে

নুরউদ্দিন সাদেক

মন যখন খারাপ থাকে,

রজনীগন্ধার নরম ডগা

কিংবা গোলাপের পাপড়িকেও

শিম গাছের আগার মতো

ধারালো-সুচালো মনে হয়।

মন খারাপ থাকলে,

প্রিয় চেনা সুরও বড়ই বেসুরা-অসুরা লাগে।

যেমন লাগে মধ্যরাতে ভাত ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়া

বেওয়ারিশ কুকুরের বিরামহীন ঘেউ ঘেউ।

কিংবা খুশির ঢেঁকুর হাঁকিয়ে আওয়াজ তোলা

আমাবস্যায় শিয়ালের হুক্কাহুয়া শব্দ।

মন খারাপ হয়ে গেলে,

অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী ‘মেরিনা বে স্যান্ডাস’কেও

নর্দমার পাশে অযতে্ন গজিয়ে-ওঠা

ব্যাঙের ছাতার মতো মনে হয়।

মন খারাপ থাকলে,

‘আইফেল টাওয়ার’কেও

পাটখড়ি বা হোগলা পাতায় তৈরি

কোনো এক আনাড়ির অনাসৃষ্টি

বাচ্চাদের খেলাঘরের মতো ঠুনকো লাগে।

যখন মন খারাপ থাকে,

‘পেট্রোনাস টাওয়ার’-এর মতো অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীকেও

টবে রক্ষিত বনসাই-ক্যাকটাসের মতো লাগে,

যেমনি লাগে সিডনির অপেরা হাউসকে

পলিথিন দিয়ে মোড়ানো কোনো এক শরণার্থী ক্যাম্প

আবার মন যখন ভালো থাকে, তখন

কোনো এক ভিন দেশে

ছবি প্রদর্শনীর গ্যালারির ফ্রেমে

স্থানীয় বাজার থেকে কিনে আনা

স্কচটেপ দিয়ে আঁটসাঁট করে বাঁধা কাঁচকলাকেও

‘অপূর্ব শিল্পকলা’র তকমায় হর্ষধ্বনি দিয়ে

যখন ওপেন অকশনে ১.২০ লাখ ডলারে বিকায়

“কিয়া বাত কিয়া বাত” বলে

তখন শিল্পের সমঝদার অনুরাগী বনি

মন খারাপের সাইমুম ঝড়ে মন থাকে না মনে,

চারদিকের সকরুণ আর্তি- কে কার কথা শোনে।

তাই বলে ভাই

মন খারাপ করা কি মোটেও বুদ্ধিমানের সাজে,

কারণে অকারণে মন খারাপ যথার্থ কাজ নয়

শনাক্ত করো তাই মন খারাপের বিবিধ কারণ

মনের উপর সৃষ্টি করো কঠোর নিয়ন্ত্রণ তাই।

অনাগত মুখ

লুৎফুন নাহার লোপা

লতাপাতাগুলো বেড়ে উঠছে দ্রুত

প্রচলিত এ ঘটনায় আমি বিস্মিত হচ্ছি খুব,

ভেবে নিচ্ছি তার সাথে নিবিড় সম্পর্ক আমার।

সময়ের টানে ভেসে যাওয়া আলোর বিবৃতি

তার জন্য,

চাইছি অনেক কথা হবে আমাদের

মুখোমুখি।

মেঘ কিংবা পাহাড়ের মতো নৈসর্গিক,

সেদিন আমরা সতন্ত্র হবো যে যার নিশ্বাসে।

ফিরে আসা সময়, পথ ও পথের ব্যবধান,

ব্যবধানে এগিয়ে যাচ্ছে সে,আঁকড়ে ধরছে রোদ,

টের পাই- সেই রোদ বুঝি আমি।

প্রতিরাতে বেড়ে উঠছে যে চাঁদ

আমি তার অপেক্ষায় থাকছি

কেবলই অপেক্ষা-

শীঘ্রই দেখা হবে আমাদের।