ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে চিঠি

ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চেয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ওই চিঠিতে বলা হয়, খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো দরকার।

অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা সই করা চিঠিটি ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দাম বাড়ানোর আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বেড়েছে। ভোজ্যতেল আমদানিতে ডলার কনভারসন মূল্য বর্তমানে ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর এলসি খোলায় প্রতি মার্কিন ডলারে ১১১ টাকার বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন বলছে, সবশেষ যখন ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তখন কনভারসন মূল্য ধরা হয়েছিল ১১১ টাকা। অথচ খোলাবাজারে ৭-১০ দিন ধরে মূলত ডলার কনভারসন রেট উঠেছে ১২২-১২৪ টাকায়। কিন্তু এ অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো এলসি করে কোনো পণ্য দেশে আনতে পারেনি। কারণ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে দেশে আনতে এক মাসের বেশি সময় দরকার। অথচ কোম্পানিগুলো অজুহাত তুলে এখনই মূল্য সমন্বয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম কমায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়। পাম অয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৩০ কার্তিক ১৪৩০, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৫

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে চিঠি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চেয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ওই চিঠিতে বলা হয়, খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো দরকার।

অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা সই করা চিঠিটি ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া হয়। এ বিষয়ে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দাম বাড়ানোর আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বেড়েছে। ভোজ্যতেল আমদানিতে ডলার কনভারসন মূল্য বর্তমানে ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর এলসি খোলায় প্রতি মার্কিন ডলারে ১১১ টাকার বেশি নেয়ার সুযোগ নেই।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন বলছে, সবশেষ যখন ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তখন কনভারসন মূল্য ধরা হয়েছিল ১১১ টাকা। অথচ খোলাবাজারে ৭-১০ দিন ধরে মূলত ডলার কনভারসন রেট উঠেছে ১২২-১২৪ টাকায়। কিন্তু এ অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো এলসি করে কোনো পণ্য দেশে আনতে পারেনি। কারণ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে দেশে আনতে এক মাসের বেশি সময় দরকার। অথচ কোম্পানিগুলো অজুহাত তুলে এখনই মূল্য সমন্বয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম কমায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়। পাম অয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।