মেলবোর্নে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ আজ

আগের দুইবার প্রতিরোধ গড়েও বড় হার জুটেছিল বাংলাদেশের ভাগ্যে। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫-০ এবং হোম ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল লাল সবুজরা। একই টুর্নামেন্টে আজ আরও একবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে জামাল ভূঁইয়ারা। মেলবোর্নে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায়।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পার্থক্য যোজন যোজন। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যেখানে ২৭, সেখানে বাংলাদেশ ১৮৩। এই দেশটির সঙ্গে শিষ্যদের নিয়ে আজ অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকেই নজর বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। যদিও প্রচ- ঠান্ডা ভাবাচ্ছে তাকে। হাভিয়েরের কথায়, ‘আমরা এখানে চার-পাঁচদিন আগে এসেছি। এখানে আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ আবহাওয়া। ম্যাচের রাতে যদি ঠান্ডা কম না থাকে তা আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো কিছু হবে না। তারপরও আমরা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। বাস্তবতা হলো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা খেলতে যাচ্ছি। যারা কেবল এশিয়ারই নয়, বিশ্ব ফুটবলেও একটা ভালো অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আমাদের জন্য এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ অবশ্যই ইতিবাচক। আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকেই নজর দিতে হবে।’ কোচ যোগ করেন, ‘আমাদের নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। যদিও সেটা দেখানো চ্যালেঞ্জিং। কারণ, অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাঠে বিশেষ কিছু দেখাতে চাইবে। আমরা গত দুই বছর ধরে অনেক উন্নতি করেছি। সাম্প্রতিক সময় উপমহাদেশের ভালো দলগুলোর বিপক্ষে আমরা আশা জাগানিয়া ফুটবল খেলেছি। আমরা সেই ধারাবাহিকতাই ধরে রাখতে চাইবো।’ কিছুটা সতর্ক স্বরে কাবরেরা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ফিজিক্যালি আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। শারীরিক সামর্থ্যে একটি দলের বিপক্ষে খেলতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অযথা তাদের বেশি সেটপিস উপহার দেয়া যাবে না। ম্যাচের আগে আবারও আমি এ কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দেবো খেলোয়াড়দের।’

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের এটা অন্যতম একটি বড় ম্যাচ। চার বছর আগে আমরা যে দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিলাম তার চেয়ে অস্ট্রেলিয়া অনেক ভালো দল। অস্ট্রেলিয়া অন্য লেভেলের দল। আমাদের খেলোয়ড়দের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন হবে এ ম্যাচ খেলে। আমাদের কোচ এরই মধ্যে বলেছেন, আমরা আমাদের যোগ্যতা প্রদর্শন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করবো। ম্যাচটা অনেক কঠিন হবে।

আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।’ সমর্থকদের নিয়ে অধিনায়কের কথা, ‘আমরা দেশের বাইরে যেখানেই ম্যাচ খেলি না কেন বাংলাদেশের দর্শকরা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তারা সমর্থন দিয়ে আমাদের খুশি করে। যা আমাদের আরো মোটিভেশন করে। আমরা চেষ্টা করবো তাদেরও খুশি করতে। এটা বলবো যে, বাংলাদেশ ভালো দল এবং এখানে ভালো খেলোয়াড়ও আছে।’

অন্যদিকে মেলবোর্নে সকারুজদের কোচ গ্রাহাম আরনল্ড যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাগআউটে দাঁড়াবেন তখন ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে যাবে তার। তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি ৫৯টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ানো কোচ। ঠিক এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে রোমাঞ্চিত তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৫৮ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ডাগআউটে দাঁড়ানোর রেকর্ড ভাগ করছেন ফ্রাঙ্ক ফারিনার সঙ্গে।

২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফারিনা ৫৮ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ছিলেন। বাংলাদেশের ম্যাচের আগে আরনল্ডের কথা, ‘এ ম্যাচের জন্য আমি মুখিয়ে আছি। দীর্ঘদিন ধরে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ম্যাচটি জিতবো। আমার দল ভালো অবস্থায় আছে। পারফরম্যান্সের উন্নতি করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’ পরেই বাংলাদেশকে সমীহ করে আরনল্ড বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী দল। তাদের সম্মান করি। তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। কারণ এই ম্যাচটি জিতে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে চাই। আমার ধারণা ম্যাচটি কঠিন হবে।’

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৩০ কার্তিক ১৪৩০, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৫

মেলবোর্নে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ আজ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

আগের দুইবার প্রতিরোধ গড়েও বড় হার জুটেছিল বাংলাদেশের ভাগ্যে। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৫-০ এবং হোম ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল লাল সবুজরা। একই টুর্নামেন্টে আজ আরও একবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে জামাল ভূঁইয়ারা। মেলবোর্নে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায়।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে পার্থক্য যোজন যোজন। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়া যেখানে ২৭, সেখানে বাংলাদেশ ১৮৩। এই দেশটির সঙ্গে শিষ্যদের নিয়ে আজ অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকেই নজর বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। যদিও প্রচ- ঠান্ডা ভাবাচ্ছে তাকে। হাভিয়েরের কথায়, ‘আমরা এখানে চার-পাঁচদিন আগে এসেছি। এখানে আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ আবহাওয়া। ম্যাচের রাতে যদি ঠান্ডা কম না থাকে তা আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো কিছু হবে না। তারপরও আমরা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। বাস্তবতা হলো একটি শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমরা খেলতে যাচ্ছি। যারা কেবল এশিয়ারই নয়, বিশ্ব ফুটবলেও একটা ভালো অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আমাদের জন্য এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ অবশ্যই ইতিবাচক। আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকেই নজর দিতে হবে।’ কোচ যোগ করেন, ‘আমাদের নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। যদিও সেটা দেখানো চ্যালেঞ্জিং। কারণ, অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাঠে বিশেষ কিছু দেখাতে চাইবে। আমরা গত দুই বছর ধরে অনেক উন্নতি করেছি। সাম্প্রতিক সময় উপমহাদেশের ভালো দলগুলোর বিপক্ষে আমরা আশা জাগানিয়া ফুটবল খেলেছি। আমরা সেই ধারাবাহিকতাই ধরে রাখতে চাইবো।’ কিছুটা সতর্ক স্বরে কাবরেরা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ফিজিক্যালি আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। শারীরিক সামর্থ্যে একটি দলের বিপক্ষে খেলতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অযথা তাদের বেশি সেটপিস উপহার দেয়া যাবে না। ম্যাচের আগে আবারও আমি এ কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দেবো খেলোয়াড়দের।’

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের এটা অন্যতম একটি বড় ম্যাচ। চার বছর আগে আমরা যে দলগুলোর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিলাম তার চেয়ে অস্ট্রেলিয়া অনেক ভালো দল। অস্ট্রেলিয়া অন্য লেভেলের দল। আমাদের খেলোয়ড়দের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন হবে এ ম্যাচ খেলে। আমাদের কোচ এরই মধ্যে বলেছেন, আমরা আমাদের যোগ্যতা প্রদর্শন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করবো। ম্যাচটা অনেক কঠিন হবে।

আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।’ সমর্থকদের নিয়ে অধিনায়কের কথা, ‘আমরা দেশের বাইরে যেখানেই ম্যাচ খেলি না কেন বাংলাদেশের দর্শকরা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তারা সমর্থন দিয়ে আমাদের খুশি করে। যা আমাদের আরো মোটিভেশন করে। আমরা চেষ্টা করবো তাদেরও খুশি করতে। এটা বলবো যে, বাংলাদেশ ভালো দল এবং এখানে ভালো খেলোয়াড়ও আছে।’

অন্যদিকে মেলবোর্নে সকারুজদের কোচ গ্রাহাম আরনল্ড যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাগআউটে দাঁড়াবেন তখন ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে যাবে তার। তিনি হবেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি ৫৯টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ানো কোচ। ঠিক এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে রোমাঞ্চিত তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৫৮ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ডাগআউটে দাঁড়ানোর রেকর্ড ভাগ করছেন ফ্রাঙ্ক ফারিনার সঙ্গে।

২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফারিনা ৫৮ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কোচ ছিলেন। বাংলাদেশের ম্যাচের আগে আরনল্ডের কথা, ‘এ ম্যাচের জন্য আমি মুখিয়ে আছি। দীর্ঘদিন ধরে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ম্যাচটি জিতবো। আমার দল ভালো অবস্থায় আছে। পারফরম্যান্সের উন্নতি করতে কঠোর পরিশ্রম করছি।’ পরেই বাংলাদেশকে সমীহ করে আরনল্ড বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী দল। তাদের সম্মান করি। তবে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত। কারণ এই ম্যাচটি জিতে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে চাই। আমার ধারণা ম্যাচটি কঠিন হবে।’