ভৈরবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০

ভৈরবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫০ জন আহত ও ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। গত রোববার সকালে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ২২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত রাশেদ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, গত ২ মাস আগে স্থানীয় সরকারের খাল খনন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নে গোছামারা কোদালকাটি খাল খননে ঠিকাদারি পান মমিনুল হক ট্রেডার্স এর মালিক সেলিম মিয়া। তিনি সময়ের আগেই নিয়ম না মেনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দফায় দফায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দেন। গত দুই মাসের ভিতর শিমুলকান্দি ইউনিয়নে বালু উত্তোলনের পক্ষে ও বিপক্ষে একাধিক গ্রুপিং এর সৃষ্টি ও মারামারি হয়। সিডিউল অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও বর্ষাকালেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কৃষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি এসে কৃষকদের আশ^স্ত করে যান বালু উত্তোলন বন্ধ রাখবেন এবং কৃষকদের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক ট্রেডার্স প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দেদারচ্ছে বালু উত্তোলন করে। গত ১৫ দিন আগে ভৈরব উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর নির্দেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় গত ১৬ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, বিজিবি সদস্য ও পুলিশ সদস্য সরেজমিনে শিমুলকান্দি ইউনিয়নসহ গোছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন। এতে করে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পেয়ে ড্রেজারে ফিটিং করা পাইপ খুলে ফেলে দেয় প্রশাসন। এ সময় স্থানীয়রা কিছু পাইপ ভেঙে ফেলে। এতে করে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া বাড়ি, হানকি বাড়ি ও সাত ভাই বাড়ি, ছাগইল্লা বাড়ি লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত ১৯ নভেম্বর রোববার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ৫০ জন আহত হয়।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

ভৈরবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

ভৈরবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫০ জন আহত ও ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। গত রোববার সকালে উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ২২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত রাশেদ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, গত ২ মাস আগে স্থানীয় সরকারের খাল খনন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নে গোছামারা কোদালকাটি খাল খননে ঠিকাদারি পান মমিনুল হক ট্রেডার্স এর মালিক সেলিম মিয়া। তিনি সময়ের আগেই নিয়ম না মেনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দফায় দফায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বাধা দেন। গত দুই মাসের ভিতর শিমুলকান্দি ইউনিয়নে বালু উত্তোলনের পক্ষে ও বিপক্ষে একাধিক গ্রুপিং এর সৃষ্টি ও মারামারি হয়। সিডিউল অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও বর্ষাকালেই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় শিমুলকান্দি ইউনিয়নের কৃষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি এসে কৃষকদের আশ^স্ত করে যান বালু উত্তোলন বন্ধ রাখবেন এবং কৃষকদের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক ট্রেডার্স প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দেদারচ্ছে বালু উত্তোলন করে। গত ১৫ দিন আগে ভৈরব উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর নির্দেশ অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় গত ১৬ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, বিজিবি সদস্য ও পুলিশ সদস্য সরেজমিনে শিমুলকান্দি ইউনিয়নসহ গোছামারা এলাকা পরিদর্শন করেন। এতে করে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পেয়ে ড্রেজারে ফিটিং করা পাইপ খুলে ফেলে দেয় প্রশাসন। এ সময় স্থানীয়রা কিছু পাইপ ভেঙে ফেলে। এতে করে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া বাড়ি, হানকি বাড়ি ও সাত ভাই বাড়ি, ছাগইল্লা বাড়ি লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত ১৯ নভেম্বর রোববার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ৫০ জন আহত হয়।