দ্বিতীয় দফা হরতাল শেষ হওয়ার আগেই আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ একদিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করলো দলটি। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে আজ আন্দোলনে বিরতি দেয়া হয়েছে কি না তা ব্যাখ্যা করেনি তারা।
সরকার পতনের ১ দফা, নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার, খালেদা জিয়াসহ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ষষ্ঠ দফায় অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় রিজভী এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ভিডিও বার্তায় রিজভী বলেন, ‘দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গণতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবি আদায়ের জন্য গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। আমি দেশবাসীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সব দলকে এই কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অবরোধের পর অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। গত ২৮ অক্টোবর দলটির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাতের পর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দেশব্যাপী পাঁচ দফায় ১১ দিন অবরোধ এবং ৩ দিন হরতাল পালন করেছে। মহাসমাবেশের পরদিন ২৯ অক্টোবর প্রথম দফা হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর এবং ৫ ও ৬ নভেম্বর দুই দফা অবরোধ পালন করে দলটি। ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফা, ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং সর্বশেষ ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও তার শরিক দলগুলো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ১৯ ও ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা হরতালের ডাক দেয়। ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতালের কর্মসূচি শেষ হয় আজ সকাল ৬টায়। আজ সশস্ত্র দিবস উপলক্ষে এদিন কোনো আন্দোলন কর্মসূচি রাখেনি বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে ২২ ও ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠবারের মতো অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে গত ২২ দিনে বিএনপির ১৫ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় সারাদেশে ছয় সহস্রাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ তিনি জানান, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি দল ও আওয়ামী লীগের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং নতুন ১৭টি মামলায় ১৯৯০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।’
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দ্বিতীয় দফা হরতাল শেষ হওয়ার আগেই আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ একদিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করলো দলটি। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে আজ আন্দোলনে বিরতি দেয়া হয়েছে কি না তা ব্যাখ্যা করেনি তারা।
সরকার পতনের ১ দফা, নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার, খালেদা জিয়াসহ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ষষ্ঠ দফায় অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল অজ্ঞাত স্থান থেকে এক ভিডিও বার্তায় রিজভী এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ভিডিও বার্তায় রিজভী বলেন, ‘দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গণতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবি আদায়ের জন্য গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। আমি দেশবাসীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সব দলকে এই কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অবরোধের পর অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। গত ২৮ অক্টোবর দলটির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাতের পর বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দেশব্যাপী পাঁচ দফায় ১১ দিন অবরোধ এবং ৩ দিন হরতাল পালন করেছে। মহাসমাবেশের পরদিন ২৯ অক্টোবর প্রথম দফা হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর এবং ৫ ও ৬ নভেম্বর দুই দফা অবরোধ পালন করে দলটি। ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফা, ১২ ও ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং সর্বশেষ ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও তার শরিক দলগুলো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ১৯ ও ২০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা হরতালের ডাক দেয়। ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতালের কর্মসূচি শেষ হয় আজ সকাল ৬টায়। আজ সশস্ত্র দিবস উপলক্ষে এদিন কোনো আন্দোলন কর্মসূচি রাখেনি বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে ২২ ও ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠবারের মতো অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে গত ২২ দিনে বিএনপির ১৫ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় সারাদেশে ছয় সহস্রাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’ তিনি জানান, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৪৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি দল ও আওয়ামী লীগের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং নতুন ১৭টি মামলায় ১৯৯০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।’