আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলের অবস্থান কী হবে তা পরিষ্কার করেনি জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে গতকাল থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দিয়েছে দলটি।
প্রথম দিনে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাসহ সাড়ে ৫ শতাধিক প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বছর দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে ৩০ হাজার টাকা করে।
পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় থেকে আজ-আগামীকালও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া দেশের বিভাগভিত্তিক আলাদা বুথ থেকেও ফরম বিক্রির করা হবে বলে দলটির নেতারা জানায়।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।
গতকাল মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তবে তিনি ফরম সংগ্রহ করেননি। জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নেননি তারা।
‘পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। দলের চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন’, বলেন তিনি।
তবে জাপার মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন, ‘পরিবেশ হবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কার্যক্রম মিলিয়ে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হবে।’
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। এরপর গণ-আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি।
দলটি এরশাদ কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আসে। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ আসন পায় জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছিল।
এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নেয়। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২২টি আসন পায় জাতীয় পার্টি। দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) সংসদে প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় পার্টি।
এবার নির্বাচনকে ঘিরে এখনও দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেনি। এর মধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গত শনিবার পৃথক দুটি চিঠি দেয়া হয়।
এক চিঠিতে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানান।
ইসিতে পাঠানো চিঠিতে রওশন লেখেন, ‘জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছি। এটা হবে শুধু মাত্র নির্বাচনী জোট। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।’ তবে অন্য চিঠিতে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের ব্যাপারে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলে ইসিকে অবগত করান দলের মহাসচিব। এমন পরিস্থিতিতে দলটির অভ্যন্তরীণ ‘সিদ্ধান্তহীনতার’ বিষয়টি সামনে আসে।
তবে গতকাল জাপার মহাসচিব চুন্নু সাংবাদিকদের দাবি করেন, দলে কোনো ‘বিভেদ নেই’।
‘দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ইসিতে যে চিঠি দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত। দলের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা চেয়ারম্যানের এটি আইপিওতে উল্লেখ আছে।’
দলের একাধিক নেতাও সংবাদকে দাবি করেন, দলের ভেতরে কোনো ‘বিভক্তি নেই’। নির্বাচনের ব্যাপারে ‘সবাই একমত’। জাপা ‘নির্বাচনে যাবে’ বলেও অনেক নেতার ভাষ্য।
গতকাল দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তারা নির্বাচনে ‘অংশ নেবেন’।
‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। মানুষের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশে যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতি, দেশের স্বার্থ। বিদেশিরা এসে প্রেসক্রিপশন কেন দেবেন? আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
প্রথম দিন ফরম বিক্রি শুরু হতে দেরি
গতকল সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে আসেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেনসহ একে একে দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারাও কার্যালয়ে আসেন।
তবে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না। পরে সাড়ে ১১টার দিকে নেতারা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। এরপর দুপুর ১২টায় নেতারা একসঙ্গে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান।
শুরুতেই দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বলে দলীয় সুত্র জানায়। তবে এও শোনা যায়, প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের পক্ষে প্রথম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম। এটি পরে দল থেকে সেটি অবিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সবমিলিয়ে প্রথম দিন ৫৫৭টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে।
দলটি জানায়, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য বিভাগ অনুযায়ী আটটি বুথ করা হয়েছে। ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
২৪ নভেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, ২৫ নভেম্বর খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বলেও দলীয় সূত্র জানায়।
জাপা কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ -সংবাদ
আরও খবরমঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
জাপা কার্যালয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহ -সংবাদ
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলের অবস্থান কী হবে তা পরিষ্কার করেনি জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে গতকাল থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দিয়েছে দলটি।
প্রথম দিনে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাসহ সাড়ে ৫ শতাধিক প্রত্যাশী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বছর দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে ৩০ হাজার টাকা করে।
পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় থেকে আজ-আগামীকালও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া দেশের বিভাগভিত্তিক আলাদা বুথ থেকেও ফরম বিক্রির করা হবে বলে দলটির নেতারা জানায়।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।
গতকাল মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তবে তিনি ফরম সংগ্রহ করেননি। জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নেননি তারা।
‘পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে রাখছি। দলের চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন’, বলেন তিনি।
তবে জাপার মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন, ‘পরিবেশ হবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের কার্যক্রম মিলিয়ে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হবে।’
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। এরপর গণ-আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি।
দলটি এরশাদ কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আসে। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ আসন পায় জাতীয় পার্টি। ওই নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছিল।
এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হয়ে জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নেয়। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২২টি আসন পায় জাতীয় পার্টি। দশম (২০১৪) ও একাদশ (২০১৮) সংসদে প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় পার্টি।
এবার নির্বাচনকে ঘিরে এখনও দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেনি। এর মধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গত শনিবার পৃথক দুটি চিঠি দেয়া হয়।
এক চিঠিতে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানান।
ইসিতে পাঠানো চিঠিতে রওশন লেখেন, ‘জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছি। এটা হবে শুধু মাত্র নির্বাচনী জোট। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন।’ তবে অন্য চিঠিতে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের ব্যাপারে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলে ইসিকে অবগত করান দলের মহাসচিব। এমন পরিস্থিতিতে দলটির অভ্যন্তরীণ ‘সিদ্ধান্তহীনতার’ বিষয়টি সামনে আসে।
তবে গতকাল জাপার মহাসচিব চুন্নু সাংবাদিকদের দাবি করেন, দলে কোনো ‘বিভেদ নেই’।
‘দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ইসিতে যে চিঠি দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত। দলের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা চেয়ারম্যানের এটি আইপিওতে উল্লেখ আছে।’
দলের একাধিক নেতাও সংবাদকে দাবি করেন, দলের ভেতরে কোনো ‘বিভক্তি নেই’। নির্বাচনের ব্যাপারে ‘সবাই একমত’। জাপা ‘নির্বাচনে যাবে’ বলেও অনেক নেতার ভাষ্য।
গতকাল দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, তারা নির্বাচনে ‘অংশ নেবেন’।
‘আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। মানুষের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে নির্বাচনে যাচ্ছি। দেশে যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে দেশের অগ্রগতি, দেশের স্বার্থ। বিদেশিরা এসে প্রেসক্রিপশন কেন দেবেন? আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
প্রথম দিন ফরম বিক্রি শুরু হতে দেরি
গতকল সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে আসেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেনসহ একে একে দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতারাও কার্যালয়ে আসেন।
তবে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না। পরে সাড়ে ১১টার দিকে নেতারা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। এরপর দুপুর ১২টায় নেতারা একসঙ্গে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান।
শুরুতেই দলের কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বলে দলীয় সুত্র জানায়। তবে এও শোনা যায়, প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের পক্ষে প্রথম মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম। এটি পরে দল থেকে সেটি অবিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলে দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সবমিলিয়ে প্রথম দিন ৫৫৭টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে।
দলটি জানায়, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য বিভাগ অনুযায়ী আটটি বুথ করা হয়েছে। ২৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
২৪ নভেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, ২৫ নভেম্বর খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বলেও দলীয় সূত্র জানায়।