বিএনপি ভোটে এলে পুনঃতফসিলের বিষয়ে বিবেচনা করবে ইসি : রাশেদা সুলতানা

বিএনপিসহ যেসব দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে ‘আইন অনুযায়ী’ পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে আসার কথা জানাতে হবে।

গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ, হরতাল ডেকে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা দলগুলোও একই দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। দাবি আদায় না হলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। হরতাল, অবরোধের প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটছে।

ভোটের বাইরে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য দল যদি ভোটে ফিরতে চায়, সে ক্ষেত্রে এ তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবেÑ এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসব। আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।’ তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এলে তো বিবেচনা করবই। অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।’

এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছেÑ জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কী পন্থা আছে, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে, ওনারা আসছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু ওনাদের জন্য একটু স্পেস (জায়গা) তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল (বিস্তারিত) আর কিছু বলব না।’

জাতীয় পার্টি (জাপা) তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তো তফসিল একটু পেছানো যায় কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনও আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব।’

রাশেদা সুলাতানা বলেন, ‘সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে, আমরা দেখব। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়াব। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেয়ার দরকার নেই।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলাতানা আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনও স্পেস (জায়গা) আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে নাÑ এমন কোনো কথা নয়। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।’

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

বিএনপি ভোটে এলে পুনঃতফসিলের বিষয়ে বিবেচনা করবে ইসি : রাশেদা সুলতানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপিসহ যেসব দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে ‘আইন অনুযায়ী’ পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে আসার কথা জানাতে হবে।

গতকাল ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ, হরতাল ডেকে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা দলগুলোও একই দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। দাবি আদায় না হলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। হরতাল, অবরোধের প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটছে।

ভোটের বাইরে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য দল যদি ভোটে ফিরতে চায়, সে ক্ষেত্রে এ তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা নাকি বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবেÑ এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানামতে পূর্বেও ওনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। ওনারা যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বিস্তারিত এখন কিছুই বলব না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসব। আইনকানুন দেখব। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারব না।’ তার মানে আপনারা বিবেচনা করবেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এলে তো বিবেচনা করবই। অবশ্যই করব। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।’

এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছেÑ জানতে চাইলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘কী পন্থা আছে, এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে, ওনারা আসছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু ওনাদের জন্য একটু স্পেস (জায়গা) তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করব। আমি ডিটেইল (বিস্তারিত) আর কিছু বলব না।’

জাতীয় পার্টি (জাপা) তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে, তো তফসিল একটু পেছানো যায় কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনও আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে, সেটাই বলব।’

রাশেদা সুলাতানা বলেন, ‘সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই যদি ওনারা আসেন, কাজেই এখনই কিছু বলব না। অতীতে যেভাবে হয়েছে, আমরা দেখব। যদি বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়াব। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এই তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেয়ার দরকার নেই।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলাতানা আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনও স্পেস (জায়গা) আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে নাÑ এমন কোনো কথা নয়। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।’