সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে ফোন দেয়া হয় খাদিজার পরিবারকে। জানায়, তারা গেলেই খাদিজাকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরিবারের সদস্যরা যাওয়ার পর কারাগার থেকে বের হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। এক বছর দুই মাস ২৩ দিন পর জামিনে মুক্তি পান গতকাল সকাল ৯টার দিকে। বেরিয়েই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
বড় বোন সিরাজুম মনিরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন ১১টার দিকে। তিনি জানান, পরীক্ষা ১০টার দিকে শুরু হলেও সাড়ে এগারোটায় হলে প্রবেশ করেন খাদিজা। দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেন। মাঝে দুই সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। পরীক্ষা শেষে তিনি মিরপুরের বাসায় ফেরেন।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। তাই আমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না।’ তবে, তার মুক্তির পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আলম সওদাগর বলেন, ‘খাদিজা দ্বিতীয় বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় আজ (গতকাল) অংশ নিয়েছে।
যেহেতু খাদিজা জামিন পেয়েছে তাই আপাতত তার একাডেমিক পড়াশোনায় আর কোনো সমস্যা নেই। সে স্বাভাবিকভাবেই ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তার এক বছর নষ্ট হয়েছে।’
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা দায়ের হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।
গত বছরের মে মাসে এই দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
কারামুক্তির পর পরীক্ষা হলে খাদিজাতুল কুবরা -সংবাদ
আরও খবরমঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
মাহমুদ তানজীদ, জবি
কারামুক্তির পর পরীক্ষা হলে খাদিজাতুল কুবরা -সংবাদ
সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে ফোন দেয়া হয় খাদিজার পরিবারকে। জানায়, তারা গেলেই খাদিজাকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরিবারের সদস্যরা যাওয়ার পর কারাগার থেকে বের হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। এক বছর দুই মাস ২৩ দিন পর জামিনে মুক্তি পান গতকাল সকাল ৯টার দিকে। বেরিয়েই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
বড় বোন সিরাজুম মনিরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন ১১টার দিকে। তিনি জানান, পরীক্ষা ১০টার দিকে শুরু হলেও সাড়ে এগারোটায় হলে প্রবেশ করেন খাদিজা। দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমিস্টারে পরীক্ষায় বসেন। মাঝে দুই সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। পরীক্ষা শেষে তিনি মিরপুরের বাসায় ফেরেন।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। তাই আমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না।’ তবে, তার মুক্তির পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আলম সওদাগর বলেন, ‘খাদিজা দ্বিতীয় বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় আজ (গতকাল) অংশ নিয়েছে।
যেহেতু খাদিজা জামিন পেয়েছে তাই আপাতত তার একাডেমিক পড়াশোনায় আর কোনো সমস্যা নেই। সে স্বাভাবিকভাবেই ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তার এক বছর নষ্ট হয়েছে।’
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা দায়ের হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অন্যটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ।
গত বছরের মে মাসে এই দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।