অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব গ্রহণের লক্ষ্যে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ গত ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ ভূঞা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। এসময় উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসায় সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার, ইনফ্লুয়েন্সার, নারী, প্রতিবন্ধী ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে অংশীজনগণ নিজ নিজ ক্ষেত্রে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ২০১০ সালের ৩রা আগস্ট প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সভা থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা গ্রহণের টাইমলাইন ও তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত রূপরেখা তুলে ধরেন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশের ডিজিটাল দক্ষতা, ৬০ শতাংশের ওপর স্মার্ট ডিভাইস ও ৩০ শতাংশের ওপর সেবা গ্রহণে স্মার্ট আইডির বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে এগ্রোটেক, ফিনটেক, হেলথটেক, স্মার্ট গ্রিড, এডুটেক প্রাধান্য পাবে। সভায় অংশীজনরা জানান, আমাদের দেশ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এগুলো মোকাবেলা করেই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে। এছাড়া সেক্টর-ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত নির্ভর ডিজিটাল সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি এটিকে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন। শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন এনে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক কারিকুলামের দিকে জোর দেয়া প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে বহির্বিশে^র প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে তরুণদের আরও সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বেসিস পরিচালক আহমেদুল হক বাবু, টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
অন্তর্ভুক্তিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনীমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব গ্রহণের লক্ষ্যে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ গত ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ ভূঞা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। এসময় উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যবসায় সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার, ইনফ্লুয়েন্সার, নারী, প্রতিবন্ধী ও গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে অংশীজনগণ নিজ নিজ ক্ষেত্রে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ, সুপারিশ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ২০১০ সালের ৩রা আগস্ট প্রথম ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স সভা থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা গ্রহণের টাইমলাইন ও তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাবিত রূপরেখা তুলে ধরেন। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জানান, স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশের ডিজিটাল দক্ষতা, ৬০ শতাংশের ওপর স্মার্ট ডিভাইস ও ৩০ শতাংশের ওপর সেবা গ্রহণে স্মার্ট আইডির বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে এগ্রোটেক, ফিনটেক, হেলথটেক, স্মার্ট গ্রিড, এডুটেক প্রাধান্য পাবে। সভায় অংশীজনরা জানান, আমাদের দেশ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এগুলো মোকাবেলা করেই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পেমেন্ট গেটওয়ে। এছাড়া সেক্টর-ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত নির্ভর ডিজিটাল সিস্টেম তৈরির পাশাপাশি এটিকে ইন্টারঅপারেবল সিস্টেম তৈরি করা প্রয়োজন। শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন এনে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক কারিকুলামের দিকে জোর দেয়া প্রয়োজন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে বহির্বিশে^র প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে তরুণদের আরও সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বেসিস পরিচালক আহমেদুল হক বাবু, টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।