ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৫শ’ ছাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,১৯৭ জন

শীতেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থামছে না। তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির নিচে না নামা পর্যন্ত (অর্থাৎ বেশি শীত না পড়া পর্যন্ত) মশার উপদ্রব থেকেই যাবে। আক্রান্ত হয়তো বাড়বে কিংবা কমবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ১,১৯৭ জন ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ২৮৬ জন ও ঢাকার বাইরে ৯১১ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ৫ জন।

এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৪৫২ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১,৫৫৪ জন। এই ভাবে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।

হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪২ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৮৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৭ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৩১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ জন ও মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৬ জন ভর্তি আছে।

রাজধানীর ২০টি সরকারি হাসপাতালে ৭৩৬ জন ভর্তি আছে। অন্যরা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, খলিলুর রহমান জানান, বেশি শীত না পড়লে মশার আক্রমণ থামবে না।

তাপমাত্রা কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির নিচে গেলে মশার উপদ্রব কমবে। এরপরও বছর জুড়ে এডিস মশার উপদ্রব থাকবে।

বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় এডিস মশার উপদ্রব ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শহর থেকে গ্রামেও মশা বাড়ছে। গ্রাম-গঞ্জে মশার ওষুধ না দেয়ার কারণে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে।

আবার আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই শহর থেকে গ্রামে যায়। সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নতুন করে কোনো মশা কামড় দিলে সেই মশার শরীরেও ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত মশা নতুন করে কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলেও সেও আক্রান্ত হয়। এই ভাবে ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

আবার এখন শহরের মতো গ্রামে মানুষ নতুন দালান করছে। সেখানে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৫শ’ ছাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১,১৯৭ জন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শীতেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থামছে না। তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির নিচে না নামা পর্যন্ত (অর্থাৎ বেশি শীত না পড়া পর্যন্ত) মশার উপদ্রব থেকেই যাবে। আক্রান্ত হয়তো বাড়বে কিংবা কমবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ১,১৯৭ জন ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ২৮৬ জন ও ঢাকার বাইরে ৯১১ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ৫ জন।

এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৪৫২ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১,৫৫৪ জন। এই ভাবে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।

হাসপাতালের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪২ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৮৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৭ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ জন, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৩১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ জন ও মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১১৬ জন ভর্তি আছে।

রাজধানীর ২০টি সরকারি হাসপাতালে ৭৩৬ জন ভর্তি আছে। অন্যরা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, খলিলুর রহমান জানান, বেশি শীত না পড়লে মশার আক্রমণ থামবে না।

তাপমাত্রা কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির নিচে গেলে মশার উপদ্রব কমবে। এরপরও বছর জুড়ে এডিস মশার উপদ্রব থাকবে।

বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় এডিস মশার উপদ্রব ছড়িয়ে পড়েছে। এখন শহর থেকে গ্রামেও মশা বাড়ছে। গ্রাম-গঞ্জে মশার ওষুধ না দেয়ার কারণে এই অবস্থা দেখা দিয়েছে।

আবার আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই শহর থেকে গ্রামে যায়। সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নতুন করে কোনো মশা কামড় দিলে সেই মশার শরীরেও ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত মশা নতুন করে কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলেও সেও আক্রান্ত হয়। এই ভাবে ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

আবার এখন শহরের মতো গ্রামে মানুষ নতুন দালান করছে। সেখানে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে।