রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য নিয়ে নারীসহ ২ খুন

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় সৈয়দ আমিন নামের একজন এবং পৃথক আরেক ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছে।

গত রোববার রাতে পৃথক সময়ে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ও সি ব্লক এবং বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন। নিহত যুবক সৈয়দ আমিন কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দা।

এছাড়া পৃথক ঘটনায় নিহত রোহিঙ্গা নারী উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে তথ্য দিলেও তার নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।

শামীম হোসেন বলেন, গত রোববার রাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ও ডি ব্লকে আরসা ও আরএসও’র সন্ত্রাসী গ্রুপ অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলিতে সৈয়দ আমিন নামের এক রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। তারপরও কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

নিহত রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শামীম হোসেন।

এদিকে গত রোববার রাতে উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর মারধরে এক নারী নিহত হয়েছে জানান ওসি। তবে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করতে পারেননি।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য নিয়ে নারীসহ ২ খুন

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় সৈয়দ আমিন নামের একজন এবং পৃথক আরেক ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছে।

গত রোববার রাতে পৃথক সময়ে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ও সি ব্লক এবং বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন। নিহত যুবক সৈয়দ আমিন কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দা।

এছাড়া পৃথক ঘটনায় নিহত রোহিঙ্গা নারী উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে তথ্য দিলেও তার নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।

শামীম হোসেন বলেন, গত রোববার রাতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ও ডি ব্লকে আরসা ও আরএসও’র সন্ত্রাসী গ্রুপ অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলিতে সৈয়দ আমিন নামের এক রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে এপিবিএন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয় বলে জানা গেছে। তারপরও কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

নিহত রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শামীম হোসেন।

এদিকে গত রোববার রাতে উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর মারধরে এক নারী নিহত হয়েছে জানান ওসি। তবে তিনি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করতে পারেননি।