পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর স্থাপনার কিছু অংশ ভাঙাও হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তিনি অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাল বা জলাশয় দখলের খবর গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। শুধু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নয় বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে খাল দখলের ঘটনা ঘটে। দখল-দূষণের কারণে দেশের অনকে খাল ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেক খাল এখন মৃতপ্রায়। কেবল প্রভাবশালীরাই যে জলাশয় দখল করে তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যখন যেভাবে পারে তখন সেভাবে জলাশয় দখল করছে।
জলাশয় উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো দখলের বিষয়ে মানুষ সরব হলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তা সাধারণত উচ্ছেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে।
অভিযানে কিছু কিছু খাল দখলমুক্ত করা হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। অনেক খালই ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একদিকে উচ্ছেদ হলে অন্যদিক দখল হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে আবার পুরোনো চেহারায় ফিরে আসে খালগুলো। তখন এগুলোকে আর খাল বলে চিহ্নিত করার কোন উপায় থাকে না।
আমরা মনে করি, নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল বা জলাশয় কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। কোনোকিছু রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে।
আমরা বলতে চাই, দেশের খাল বা জলাশয় রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর স্থাপনার কিছু অংশ ভাঙাও হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তিনি অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাল বা জলাশয় দখলের খবর গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। শুধু পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নয় বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে খাল দখলের ঘটনা ঘটে। দখল-দূষণের কারণে দেশের অনকে খাল ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে, অনেক খাল এখন মৃতপ্রায়। কেবল প্রভাবশালীরাই যে জলাশয় দখল করে তা নয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যখন যেভাবে পারে তখন সেভাবে জলাশয় দখল করছে।
জলাশয় উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। কোনো কোনো দখলের বিষয়ে মানুষ সরব হলে, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তা সাধারণত উচ্ছেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে।
অভিযানে কিছু কিছু খাল দখলমুক্ত করা হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। অনেক খালই ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একদিকে উচ্ছেদ হলে অন্যদিক দখল হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে আবার পুরোনো চেহারায় ফিরে আসে খালগুলো। তখন এগুলোকে আর খাল বলে চিহ্নিত করার কোন উপায় থাকে না।
আমরা মনে করি, নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল বা জলাশয় কোনভাবেই দখল ও ভরাটের শিকার হতে পারে না। কোনোকিছু রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না, তেমনি দূষণের কবলেও পড়তে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে এসব ঘটে থাকে।
আমরা বলতে চাই, দেশের খাল বা জলাশয় রক্ষায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। একবার দখলমুক্ত হওয়ার পর আবারও যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যারা দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।