বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাত আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে, বাংলাদেশ ৭ লাখেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে। এই হার ধরে থাকলে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতের আয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং দেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে অবদান রাখে।বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাত থেকে আয় ক্রমবর্ধমান। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশ ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে। এই পর্যটকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
ট্যুরিজম খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও চাকরিতে বা ক্যারিয়ার গঠন ট্যুরিজমের শিক্ষার্থীদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে? বাংলাদেশের প্রতিবছর ৫০টি সরকারি ও ১০০টিরও অধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ট্যুরিজমে সম্মান পাস করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগে তৈরি হচ্ছে নানান জটিলতা। বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি মূল্যায়িত হচ্ছে ব্যবহারিক জ্ঞান।
বাংলাদেশের প্রতিবছর ৩ লক্ষের অধিক শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ক্যাডার এবং নন ক্যাডার মিলিয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়। যেখানে চাকরির সুযোগ খুবই চ্যালেঞ্জিং। এরপরেও মোট ২৬টা ক্যাডার পদের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে যে বিশাল নিয়োগ হয় সেই ক্যাডার পদে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোন সুযোগ নেই। যার ফলে অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় যদি তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর বেশি নজর দেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা অধিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে এবং পিএসসি কর্তৃক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জন্য যদি শিক্ষা ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়া হোক। কলেজ পর্যায়ে যদি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালু করা হয় এবং বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শুধু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের বেশি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে ট্যুরিজম খাত আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
এ পরিকল্পনা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সকল শিক্ষার্থী মনে করেন।
সোহান হোসেন
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৬ অগ্রায়ন ১৪৩০, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫
বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাত আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে, বাংলাদেশ ৭ লাখেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে। এই হার ধরে থাকলে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করবে।
বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাতের আয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং দেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে অবদান রাখে।বাংলাদেশের ট্যুরিজম খাত থেকে আয় ক্রমবর্ধমান। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশ ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করেছে। এই পর্যটকদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
ট্যুরিজম খাতে অপার সম্ভাবনা থাকলেও চাকরিতে বা ক্যারিয়ার গঠন ট্যুরিজমের শিক্ষার্থীদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে? বাংলাদেশের প্রতিবছর ৫০টি সরকারি ও ১০০টিরও অধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ট্যুরিজমে সম্মান পাস করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগে তৈরি হচ্ছে নানান জটিলতা। বড় বড় হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য জায়গায় শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি মূল্যায়িত হচ্ছে ব্যবহারিক জ্ঞান।
বাংলাদেশের প্রতিবছর ৩ লক্ষের অধিক শিক্ষার্থী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ক্যাডার এবং নন ক্যাডার মিলিয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়। যেখানে চাকরির সুযোগ খুবই চ্যালেঞ্জিং। এরপরেও মোট ২৬টা ক্যাডার পদের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে যে বিশাল নিয়োগ হয় সেই ক্যাডার পদে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোন সুযোগ নেই। যার ফলে অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় যদি তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর বেশি নজর দেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা অধিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে এবং পিএসসি কর্তৃক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জন্য যদি শিক্ষা ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়া হোক। কলেজ পর্যায়ে যদি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ চালু করা হয় এবং বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শুধু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের বেশি মূল্যায়ন করা হয় তাহলে ট্যুরিজম খাত আরো সমৃদ্ধশালী হবে।
এ পরিকল্পনা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সকল শিক্ষার্থী মনে করেন।
সোহান হোসেন