নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকায় নলকূপ বসানো নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে নিহত নলকূপ মিস্ত্রি জুয়েল হোসেন (২২) হত্যা মামলায় চার আসামির মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২২ জুন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডিমলা উপজেলার জুগিরডাঙ্গা এলাকা থেকে বাবা কালা মহির ও ছেলে ইদ্রিশ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দুই জন কালা মহিরের ছেলে নুর কালাম ও নুরুজ্জামান এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
নীলফামারী নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ গত ২০ জুন নীলফামারী থানায় অভিযোগ করে বলেন, রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকার প্রয়াত অফদ্দি মামুদের ছেলে কালা মহির(৫৪) তার বাড়িতে নলকুল বসানোর জন্য ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ এলাকার প্রয়াত সুলতান মিয়ার ছেলে মিস্ত্রি জুয়েল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুয়েল অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় নলকুপ পরে বসানোর কথা বললে কালা মহির, ছেলে ইদ্রিশ আলী, নুর কালাম ও নুরুজ্জামানসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট ও কিলঘুষি মারে। এলাকাবাসী ছুটে এসে গুরুতর আহত জুয়েলকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যায়। জুয়েল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাতিবান্ধা মোড়ে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০১৯ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৫, ২৯ শাওয়াল ১৪৪০
জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী
নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকায় নলকূপ বসানো নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে নিহত নলকূপ মিস্ত্রি জুয়েল হোসেন (২২) হত্যা মামলায় চার আসামির মধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২২ জুন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডিমলা উপজেলার জুগিরডাঙ্গা এলাকা থেকে বাবা কালা মহির ও ছেলে ইদ্রিশ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দুই জন কালা মহিরের ছেলে নুর কালাম ও নুরুজ্জামান এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
নীলফামারী নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ গত ২০ জুন নীলফামারী থানায় অভিযোগ করে বলেন, রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকার প্রয়াত অফদ্দি মামুদের ছেলে কালা মহির(৫৪) তার বাড়িতে নলকুল বসানোর জন্য ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ এলাকার প্রয়াত সুলতান মিয়ার ছেলে মিস্ত্রি জুয়েল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জুয়েল অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় নলকুপ পরে বসানোর কথা বললে কালা মহির, ছেলে ইদ্রিশ আলী, নুর কালাম ও নুরুজ্জামানসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট ও কিলঘুষি মারে। এলাকাবাসী ছুটে এসে গুরুতর আহত জুয়েলকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যায়। জুয়েল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাতিবান্ধা মোড়ে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে।