রুশ সামরিক বিমান লক্ষ্য করে গুলি দক্ষিণ কোরিয়ার

রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় এ গুলি চালানো হয়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এসময় রুশ বিমানের পাশাপাশি চীনা বিমানের বিরুদ্ধেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া অধিকৃত ডকডো দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে। তবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও চীন। রুশ কর্র্তৃপক্ষ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পাইলটরা তাদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করছে। এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো একটি রুশ সামরিক বিমান দক্ষিণ কোরীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এতে সিউলের যুদ্ধবিমান থেকে গুলি ছোড়া হয়। এদিন স্থানীয় সময় সকালে দুটি রুশ ও দুটি চীনা বোমারু বিমান একসঙ্গে কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডিন্টিফিকেশন জোন (কাডিজ) এ প্রবেশ করে। আবার সকাল ৯টার পরপর আলাদা একটি রুশ বিমান ডোকডো দ্বীপের উপর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ডোকডো দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে জাপানও এর মালিকানা দাবি করে থাকে এবং একে ডাকে তাকেশিমা নামে। বার্তা সংস্থা আরআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের কৌশলগত বোমারু বিমানের দক্ষিণ কোরীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরীয় সামরিক বিমান হঠাৎ রুশ বোমারু বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল এবং তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন কোনও রাষ্ট্রাধীন আকাশসীমা নয়। সেখানে সব দেশের বিমানেরই চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা জানান, রুশ বিমান লক্ষ্য করে তার দেশের যুদ্ধবিমান থেকে ৩৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার বিমান কোনও হুমকিমূলক জবাব দেয়নি। বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা ছেড়ে গিয়েছিল। তবে ২০ মিনিট পর আবার সেটি প্রবেশ করে। এতে আরও বেশি করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় সিউল।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, সেদেশের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই ইয়ং রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভের কাছে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে কঠোর আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এ ঘটনাকে গভীরভাবে আমলে নিয়েছি। যদি এ ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ , ৯ শ্রাবন ১৪২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪০

রুশ সামরিক বিমান লক্ষ্য করে গুলি দক্ষিণ কোরিয়ার

সংবাদ ডেস্ক

image

চীন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় এ গুলি চালানো হয়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এসময় রুশ বিমানের পাশাপাশি চীনা বিমানের বিরুদ্ধেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া অধিকৃত ডকডো দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে। তবে আকাশসীমা লঙ্ঘনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া ও চীন। রুশ কর্র্তৃপক্ষ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পাইলটরা তাদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করছে। এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো একটি রুশ সামরিক বিমান দক্ষিণ কোরীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এতে সিউলের যুদ্ধবিমান থেকে গুলি ছোড়া হয়। এদিন স্থানীয় সময় সকালে দুটি রুশ ও দুটি চীনা বোমারু বিমান একসঙ্গে কোরিয়া এয়ার ডিফেন্স আইডিন্টিফিকেশন জোন (কাডিজ) এ প্রবেশ করে। আবার সকাল ৯টার পরপর আলাদা একটি রুশ বিমান ডোকডো দ্বীপের উপর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ডোকডো দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে জাপানও এর মালিকানা দাবি করে থাকে এবং একে ডাকে তাকেশিমা নামে। বার্তা সংস্থা আরআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের কৌশলগত বোমারু বিমানের দক্ষিণ কোরীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরীয় সামরিক বিমান হঠাৎ রুশ বোমারু বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল এবং তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন কোনও রাষ্ট্রাধীন আকাশসীমা নয়। সেখানে সব দেশের বিমানেরই চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা জানান, রুশ বিমান লক্ষ্য করে তার দেশের যুদ্ধবিমান থেকে ৩৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার বিমান কোনও হুমকিমূলক জবাব দেয়নি। বিমানটি দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা ছেড়ে গিয়েছিল। তবে ২০ মিনিট পর আবার সেটি প্রবেশ করে। এতে আরও বেশি করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় সিউল।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, সেদেশের শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই ইয়ং রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভের কাছে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে কঠোর আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এ ঘটনাকে গভীরভাবে আমলে নিয়েছি। যদি এ ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।’