কাদেরকে ফখরুলের চ্যালেঞ্জ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আসুন- আপনি নৌকার জন্য করেন, আমি ধানের শীষের জন্য করি। লেট আস ফেইস দ্য চ্যালেঞ্জ। দেখা যাক জনগণ কার দিকে থাকে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। সমাবেশে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, ড্যাবের অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতা থেকে নেমে আসুন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। একটা নিরপেক্ষ সরকার বসিয়ে দেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করুক। সেই নির্বাচনে যদি আপনারা জেতেন, মাথা পেতে নেবে। কিন্তু আপনারা জানেন, সেটা কোন দিন হবে না। সেজন্য কৌশল করে বিভিন্নভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছেন। এটা কখনওই জনগণ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, যে মামলায় যে কোন মানুষ জামিন পায়। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা জামিন পায়, মহীউদ্দীন খান আলমগীর জামিন পায়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিন পায়, তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেন জামিন পাবেন না? কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে আপনাদের ওই তখতে তাউস, আপনাদের মসনদ জনগণ ভেঙে ফেলবে। এই কারণে আপনারা তাকে আটকিয়ে রেখেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এভাবে দখল করে, জোর করে, নির্যাতন করে, গুলি করে, গুম করে চিরদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। শেখ মুজিবুর রহমানের কথা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না’। বাংলার মানুষকে দাবায়ে রাখা যাবে না। নির্বাচন-নির্বাচন খেলা করছেন, আমরা জানি। তারপরেও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কাদেরকে ফখরুলের চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আসুন- আপনি নৌকার জন্য করেন, আমি ধানের শীষের জন্য করি। লেট আস ফেইস দ্য চ্যালেঞ্জ। দেখা যাক জনগণ কার দিকে থাকে।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। সমাবেশে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, ড্যাবের অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতা থেকে নেমে আসুন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। একটা নিরপেক্ষ সরকার বসিয়ে দেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করুক। সেই নির্বাচনে যদি আপনারা জেতেন, মাথা পেতে নেবে। কিন্তু আপনারা জানেন, সেটা কোন দিন হবে না। সেজন্য কৌশল করে বিভিন্নভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছেন। এটা কখনওই জনগণ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, যে মামলায় যে কোন মানুষ জামিন পায়। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা জামিন পায়, মহীউদ্দীন খান আলমগীর জামিন পায়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিন পায়, তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেন জামিন পাবেন না? কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে আপনাদের ওই তখতে তাউস, আপনাদের মসনদ জনগণ ভেঙে ফেলবে। এই কারণে আপনারা তাকে আটকিয়ে রেখেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এভাবে দখল করে, জোর করে, নির্যাতন করে, গুলি করে, গুম করে চিরদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। শেখ মুজিবুর রহমানের কথা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না’। বাংলার মানুষকে দাবায়ে রাখা যাবে না। নির্বাচন-নির্বাচন খেলা করছেন, আমরা জানি। তারপরেও আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি।