গত সপ্তাহে টানা ৫ কার্যদিবস পতনের পর গতকাল উত্থানে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। আগের সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবস বড় ধস হলেও গতকাল ছোট উত্থানে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের দিন থেকে কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২১২ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৫০ ও ১৪১৬ পয়েন্টে। ডিএসইর চালু হওয়া নতুন সূচক সিডিএসইটি ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৮৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৪০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০১ কোটি ৪১ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯টির বা ৫১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১২২টির বা ৩৪ শতাংশের এবং ৫৩টি বা ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের। এদিন কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ওঠে আসা খুলনা পাওয়ারের ১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার এবং ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে ওঠে আসে এডিএন টেলিকম। ডিএসইর টপটেন লেনদেনে ওঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে : নর্দার্ন জুট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বিকন ফার্মা, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিলস, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স এবং ইউনাইটেড পাওয়ার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০৩ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর। গতকাল সিএসইতে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ব্লক মার্কেট : গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৭টি কোম্পানি শেয়ার লেনদেন অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৬ লাখ ৯২ হাজার ৮১৭টি শেয়ার ১৯ বার হাত বদলের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার।

দ্বতীয় সর্বোচ্চ ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের। এছাড়া ফাস ফাইন্যান্সের ৬ লাখ ১২ হাজার টাকার, জিকিউ বলপেনের ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার এবং নাভানা সিএনজির ৩১ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।