শীতে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমজীবীরা

গত কয়েকদিনে ফরিদপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ভোরে শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। জেলার শ্রম বিক্রয় হাটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

মহি, আবুল, আওয়াল, কাশেম শেখ, ছরোয়ার হোসেন জানালেন, শীতে কারণে কয়েকদিন হলো কাজ নেই। এক রকম বসেই দিন পার করছি। এভাবে আরও কয়েকদিন চললে অর্থ কষ্টে পড়ে যাব।

ফরিদপুরের আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আমিন জানান, গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ফরিদপুর অঞ্চলের বেশ কম, শনিবার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রীতে।

এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, মধুমতি এবং আড়িয়ালখাঁ নদী পাড়ের মানুষগুলো শীতের দাপটে হিমশিম খাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর অঞ্চলে শীতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা ও বাতাস। সন্ধ্যার পরেই শিশির পড়তে থাকে সর্বত্র। কুয়াশার কারণে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে। দু’দিন আগে দুপুরের পরে সূর্যের দেখা মিললেও গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না।

ফরিদপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভায় ৪৬০টি করে সরকারি অনুদান শীতবস্ত্র কম্বল এসেছে। আমরা সেগুলো নয়টি উপজেলাতে বিতরণ শুরু করেছি। এছাড়া জরুরি বরাদ্দ হিসাবে আরও ৯ হাজার ১শ’ কম্বল পেয়েছি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার চরাঞ্চলে অগ্রাধিকার হিসেবে আগে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তিনি জানান, আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাদের শীতবস্ত্র নাই, তাদের মাঝে শীত নিবারণের জন্য শীতের কম্বল পৌঁছে দিতে।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

শীতে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমজীবীরা

হান্নান মিয়া, সদরপুর (ফরিদপুর)

গত কয়েকদিনে ফরিদপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ভোরে শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। জেলার শ্রম বিক্রয় হাটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

মহি, আবুল, আওয়াল, কাশেম শেখ, ছরোয়ার হোসেন জানালেন, শীতে কারণে কয়েকদিন হলো কাজ নেই। এক রকম বসেই দিন পার করছি। এভাবে আরও কয়েকদিন চললে অর্থ কষ্টে পড়ে যাব।

ফরিদপুরের আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আমিন জানান, গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ফরিদপুর অঞ্চলের বেশ কম, শনিবার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রীতে।

এদিকে, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, মধুমতি এবং আড়িয়ালখাঁ নদী পাড়ের মানুষগুলো শীতের দাপটে হিমশিম খাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে ফরিদপুর অঞ্চলে শীতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা ও বাতাস। সন্ধ্যার পরেই শিশির পড়তে থাকে সর্বত্র। কুয়াশার কারণে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে। দু’দিন আগে দুপুরের পরে সূর্যের দেখা মিললেও গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না।

ফরিদপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভায় ৪৬০টি করে সরকারি অনুদান শীতবস্ত্র কম্বল এসেছে। আমরা সেগুলো নয়টি উপজেলাতে বিতরণ শুরু করেছি। এছাড়া জরুরি বরাদ্দ হিসাবে আরও ৯ হাজার ১শ’ কম্বল পেয়েছি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার চরাঞ্চলে অগ্রাধিকার হিসেবে আগে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তিনি জানান, আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাদের শীতবস্ত্র নাই, তাদের মাঝে শীত নিবারণের জন্য শীতের কম্বল পৌঁছে দিতে।