গাইবান্ধার জিনের বাদশা নোয়াখালীতে গ্রেফতার

গোবিন্দগঞ্জের জ্বীনের বাদশা নোয়াখালীর সুধারামে এসে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। এ ব্যাপারে সুধারাম থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। সুধারাম (সদর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মিরুপাড়া গ্রামের নুরুল হক গাছু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহেল ওরফে ভুলু মিয়া মোবাইলে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে চাটখিল থানার পরকোর্ট গ্রামের হারুনুর রসিদের স্ত্রীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করার ঘটনায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে রিমান্ডে আনা হবে। মামলার বাদী ও প্রতারিত নুর নাহার বেগম জানায়, ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর গভীর রাতে ০১৭৪৭৬৭৭২৯৩ নাম্বার থেকে গ্রেফতারকৃত এই সাইফুল ইসলাম নিজের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে নিজেকে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বলেন, আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ১ ড্রাম ভর্তি স্বর্ণ দান করেছে। এখন এ স্বর্ণ পেতে তাকে কিছু টাকা হাদিয়া স্বরূপ দিতে হবে। এ বিশ্বাসে তাকে ৬ দফায় তার উক্ত নাম্বারে এস.এ পরিবহনের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার পর সে হঠাৎ তার নাম্বার বন্ধ করে দেয়। গত কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ ফোন খোলা পেয়ে সে অন্য নাম্বার থেকে জ্বীনের বাদশাকে ফোন করে এবং বার বার ফোন করে তাকে নোয়াখালী আসতে বলে। জ্বীনের বাদশা সাইফুল শুক্রবার নোয়াখালী আসলে তাকে আটক করে সুধারাম থানায় সোপর্দ করে। সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বাতেন জানায়, এ ব্যাপারে নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে অপরের রূপ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করার অপরাধে সুধারাম থানায় মামলা করেছে।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

গাইবান্ধার জিনের বাদশা নোয়াখালীতে গ্রেফতার

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

গোবিন্দগঞ্জের জ্বীনের বাদশা নোয়াখালীর সুধারামে এসে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। এ ব্যাপারে সুধারাম থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। সুধারাম (সদর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মিরুপাড়া গ্রামের নুরুল হক গাছু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহেল ওরফে ভুলু মিয়া মোবাইলে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে চাটখিল থানার পরকোর্ট গ্রামের হারুনুর রসিদের স্ত্রীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করার ঘটনায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে রিমান্ডে আনা হবে। মামলার বাদী ও প্রতারিত নুর নাহার বেগম জানায়, ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর গভীর রাতে ০১৭৪৭৬৭৭২৯৩ নাম্বার থেকে গ্রেফতারকৃত এই সাইফুল ইসলাম নিজের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে নিজেকে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বলেন, আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ১ ড্রাম ভর্তি স্বর্ণ দান করেছে। এখন এ স্বর্ণ পেতে তাকে কিছু টাকা হাদিয়া স্বরূপ দিতে হবে। এ বিশ্বাসে তাকে ৬ দফায় তার উক্ত নাম্বারে এস.এ পরিবহনের মাধ্যমে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার পর সে হঠাৎ তার নাম্বার বন্ধ করে দেয়। গত কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ ফোন খোলা পেয়ে সে অন্য নাম্বার থেকে জ্বীনের বাদশাকে ফোন করে এবং বার বার ফোন করে তাকে নোয়াখালী আসতে বলে। জ্বীনের বাদশা সাইফুল শুক্রবার নোয়াখালী আসলে তাকে আটক করে সুধারাম থানায় সোপর্দ করে। সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বাতেন জানায়, এ ব্যাপারে নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে অপরের রূপ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করার অপরাধে সুধারাম থানায় মামলা করেছে।