থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা আছে-মুকুল সিরাজ

ছোটপর্দায় এই সময়ে অনেক কাজ করছেন মুকুল সিরাজ। তার অভিনীত একাধিক ধারাবাহিক নাটক বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন নিথর মাহবুব

অভিনয়ের শুরুটা বলুন

অভিনয়ের গোড়াপত্তন থিয়েটার দিয়ে। ১৯৯৮ সালে প্রভাতী নাট্য সম্প্রদায়ে যুক্ত হই। সেখান থেকে আসি নাট্যধারায় এ দলের হয়ে কাজ করেছেন ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ২০১৮ সালে কয়েকজনের সঙ্গে থিয়েটার ফেক্টরি নামে নতুন দল গঠন করি। তবে বর্তমানে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকের অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় আপাতত থিয়েটারে সময় দিতে পারছেন না।

বর্তমানে আপনার কোন কোন কাজ টিভিতে প্রচার হচ্ছে?

‘বর্তমানে কায়সার আহমেদের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘বকুলপুর’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে দিপ্ত টিভিতে। আমার অভিনয়ে কায়াসার আহমেদেরই পরিচালনায় ‘চান বিরিয়ানি’ নামে আরেকটি নাটক ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে মাছরাঙা টিভিতে প্রচার শুরু হবে। এছাড়া আল হাজেনের পরিচালনায় আমার অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে আরটিভিতে। একটির নাম ‘ছায়াছবি’, আরেকটির নাম ‘হুলুস্থূল’ দুটি নাটকই লিখেছেন মুহাম্মদ মামুন অর রশিদ। এশিয়ানে টিভিতে প্রচার হচ্ছে ‘লাক ভেলকী লাগ’। তৌফিকুল ইসলামের রচনায় এটি পরিচালনা করছেন ইমরান হাওলাদার। চ্যানেল নাইনে প্রচার হচ্ছে ‘সুখী মীরগঞ্জ’। এটির রাইটার ডিরেক্টর সুমন আনোয়ার। বৈশাখী টিভিতে প্রচার হচ্ছে আকাশ রঞ্জনের ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে সঞ্জীব সরকারের রচনা ও পরিচালনায় ‘চিটিং মাস্টার’। এছাড়া আমার অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারের অপেক্ষায় আছে।

নতুন কাজগুলো সম্পর্কে বলুন

নতুন কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকেও কাজ শুরু করছি। এর মধ্যে আছে আসাদুজ্জামানের রচনা ও পরিচালনায় ‘হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালা এখন ঢাকায়’, রুলিন রহমানের রচনা ও পরিচালনায় ‘সুতায় বাঁধা সুখের পায়রা’, আরেকটি আছে এবি আকাশের রচনা ও শফিকুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় ‘রঙিন স্বপ্ন’।

চলচ্চিত্রেও তো কাজ করেছেন

সম্প্রতি শেষ করলাম মীর সাব্বির পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রাতজাগা পাখি’ এর কাজ। চলতি বছরই ছবিটি মুক্তি পাবে। এখানে পুলিশ ইন্সপেক্টর নূরুল হকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মূকুল। গত ঈদে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ঈদের দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ছবি দুটি হলো আমীরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আলোয় ভুবন ভরা’ ও শহীদুল আলম সাচ্চুর পরিচালনায় ‘ভালোবাসার উত্তাপ’।

নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনয়ের মধ্যে কোন পার্থক উপলব্ধি করছেন?

আমার বড়পর্দায় কাজ করতে একটু ভয় আছে। আমার কাছে মনেহয় অভিনয়টা এখনো পুরুপুরি শেখা হয়নি। আরও অনেক কিছু শিখতে হবে আমাকে। প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রস্তুত করছি।

আপনার মঞ্চের কাজগুলো সম্পর্কে বলুন

‘মঞ্চে আমার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল প্রভাতি নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে ‘রোকনপুরের নতুন জন’। এটি আমার জীবনের অভিনিত প্রথম মঞ্চ নাটক। তারপ নাট্যধারার হয়ে কাজ করেছি ‘চাঁদের আমাবস্যা’, ‘অগ্নিজল’ সহ বেশকিছু নাটকে। আপাতত মঞ্চে অভিনয়টা না করলেও থিয়েটারে প্রতি ভালোবাসা আছে। মঞ্চে আবারও কাজ করব।’

মিডিয়ায় আসার গল্পটা জানতে চাই

মিডিয়ার প্রথম কাজ শুরু করেছিলাম গাজী রাকায়ত ভাইয়ের পরিচালনায় একটি ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। নাটকের নাম ছিল ‘রূপান্তর’। তবে আমার অভিনীত প্রথম প্রচারিত নাটক ছিল বেলাল আহমেদের পরিচালনায় ‘তারকালির হাটে’। এটি একটি আঞ্চলিক নাটক ছিল। এ নাটকে আমার চরিত্রে নাম ছিল ফারুক। চরিত্রটিতে অভিনয় করে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম।

বিজ্ঞাপনেও আপনাকে দেখা যায়

বিজ্ঞাপনে আমার শুরুটাই হয় অনেক ভালো ভাবে। রাঁধুনীর সরিষার তেলের একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু। এটি তৈরি করেছিলেন কিসলু ভাই। এছাড়াও আমি বিকাশ, গ্রামিনফো, ব্র্যাক ব্যাংকসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা আছে-মুকুল সিরাজ

নিথর মাহবুব

image

ছোটপর্দায় এই সময়ে অনেক কাজ করছেন মুকুল সিরাজ। তার অভিনীত একাধিক ধারাবাহিক নাটক বর্তমানে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এই অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন নিথর মাহবুব

অভিনয়ের শুরুটা বলুন

অভিনয়ের গোড়াপত্তন থিয়েটার দিয়ে। ১৯৯৮ সালে প্রভাতী নাট্য সম্প্রদায়ে যুক্ত হই। সেখান থেকে আসি নাট্যধারায় এ দলের হয়ে কাজ করেছেন ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ২০১৮ সালে কয়েকজনের সঙ্গে থিয়েটার ফেক্টরি নামে নতুন দল গঠন করি। তবে বর্তমানে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকের অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় আপাতত থিয়েটারে সময় দিতে পারছেন না।

বর্তমানে আপনার কোন কোন কাজ টিভিতে প্রচার হচ্ছে?

‘বর্তমানে কায়সার আহমেদের পরিচালনায় আমার অভিনীত ‘বকুলপুর’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে দিপ্ত টিভিতে। আমার অভিনয়ে কায়াসার আহমেদেরই পরিচালনায় ‘চান বিরিয়ানি’ নামে আরেকটি নাটক ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে মাছরাঙা টিভিতে প্রচার শুরু হবে। এছাড়া আল হাজেনের পরিচালনায় আমার অভিনীত দুটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে আরটিভিতে। একটির নাম ‘ছায়াছবি’, আরেকটির নাম ‘হুলুস্থূল’ দুটি নাটকই লিখেছেন মুহাম্মদ মামুন অর রশিদ। এশিয়ানে টিভিতে প্রচার হচ্ছে ‘লাক ভেলকী লাগ’। তৌফিকুল ইসলামের রচনায় এটি পরিচালনা করছেন ইমরান হাওলাদার। চ্যানেল নাইনে প্রচার হচ্ছে ‘সুখী মীরগঞ্জ’। এটির রাইটার ডিরেক্টর সুমন আনোয়ার। বৈশাখী টিভিতে প্রচার হচ্ছে আকাশ রঞ্জনের ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে সঞ্জীব সরকারের রচনা ও পরিচালনায় ‘চিটিং মাস্টার’। এছাড়া আমার অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারের অপেক্ষায় আছে।

নতুন কাজগুলো সম্পর্কে বলুন

নতুন কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকেও কাজ শুরু করছি। এর মধ্যে আছে আসাদুজ্জামানের রচনা ও পরিচালনায় ‘হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালা এখন ঢাকায়’, রুলিন রহমানের রচনা ও পরিচালনায় ‘সুতায় বাঁধা সুখের পায়রা’, আরেকটি আছে এবি আকাশের রচনা ও শফিকুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় ‘রঙিন স্বপ্ন’।

চলচ্চিত্রেও তো কাজ করেছেন

সম্প্রতি শেষ করলাম মীর সাব্বির পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রাতজাগা পাখি’ এর কাজ। চলতি বছরই ছবিটি মুক্তি পাবে। এখানে পুলিশ ইন্সপেক্টর নূরুল হকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মূকুল। গত ঈদে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ঈদের দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। ছবি দুটি হলো আমীরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আলোয় ভুবন ভরা’ ও শহীদুল আলম সাচ্চুর পরিচালনায় ‘ভালোবাসার উত্তাপ’।

নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনয়ের মধ্যে কোন পার্থক উপলব্ধি করছেন?

আমার বড়পর্দায় কাজ করতে একটু ভয় আছে। আমার কাছে মনেহয় অভিনয়টা এখনো পুরুপুরি শেখা হয়নি। আরও অনেক কিছু শিখতে হবে আমাকে। প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রস্তুত করছি।

আপনার মঞ্চের কাজগুলো সম্পর্কে বলুন

‘মঞ্চে আমার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল প্রভাতি নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে ‘রোকনপুরের নতুন জন’। এটি আমার জীবনের অভিনিত প্রথম মঞ্চ নাটক। তারপ নাট্যধারার হয়ে কাজ করেছি ‘চাঁদের আমাবস্যা’, ‘অগ্নিজল’ সহ বেশকিছু নাটকে। আপাতত মঞ্চে অভিনয়টা না করলেও থিয়েটারে প্রতি ভালোবাসা আছে। মঞ্চে আবারও কাজ করব।’

মিডিয়ায় আসার গল্পটা জানতে চাই

মিডিয়ার প্রথম কাজ শুরু করেছিলাম গাজী রাকায়ত ভাইয়ের পরিচালনায় একটি ধারাবাহিক নাটক দিয়ে। নাটকের নাম ছিল ‘রূপান্তর’। তবে আমার অভিনীত প্রথম প্রচারিত নাটক ছিল বেলাল আহমেদের পরিচালনায় ‘তারকালির হাটে’। এটি একটি আঞ্চলিক নাটক ছিল। এ নাটকে আমার চরিত্রে নাম ছিল ফারুক। চরিত্রটিতে অভিনয় করে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম।

বিজ্ঞাপনেও আপনাকে দেখা যায়

বিজ্ঞাপনে আমার শুরুটাই হয় অনেক ভালো ভাবে। রাঁধুনীর সরিষার তেলের একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু। এটি তৈরি করেছিলেন কিসলু ভাই। এছাড়াও আমি বিকাশ, গ্রামিনফো, ব্র্যাক ব্যাংকসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি।